জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মশা মারা জায়েজ আছে।
কয়েল বা অন্য পদ্ধতিতে মশা মরলে গুনাহ হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: خَمْسٌ فَوَاسِقُ يُقْتَلْنَ فِي الْحِلِّ وَالْحَرَمِ: الْحَيَّةُ وَالْغُرَابُ الْأَبْقَعُ وَالْفَأْرَةُ وَالْكَلْبُ الْعَقُورُ وَالْحُدَيَّا
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচটি ক্ষতিকর প্রাণী হিল্ ও হারাম (সর্বস্থানে) যে কোন স্থানেই হত্যা করা যেতে পারে। সেগুলো হলো সাপ, (সাদা কালো) কাক, ইঁদুর, হিংস্র কুকুর ও চিল।
(সহীহ : বুখারী ৩৩১৪, মুসলিম ১১৯৮, নাসায়ী ২৮৮২, ইবনু মাজাহ ৩০৮৭, আহমাদ ২৪৬৬১, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৬৬৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৩৬৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫৬৩৩, ইরওয়া ১০৩৬.মিশকাত ২৬৯৯।)
অনুরূপভাবে মশাও একটি ক্ষতিকর জীব, যাকে হারামের মধ্যেও হত্যা করা যায়’ (নববী, শরহ মুসলিম ৮/১১৪, অত্র হাদীছের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)।
(০২)
অযু না থাকলে নামাজের আগে অযু করা ফরজ।
অযু ছাড়া নামাজ হবেনা।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
يا ايها الذين امنوا اذا قمتم الي الصلوة فاغسلوا وجوهكم و ايديكم الي المرافق وامسحوا بروؤسكم وارجلكم الي الكعبين.....
“হে মু’মিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হইবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাতের কনূই পর্যন্ত ধৌত করিবে এবং তোমাদের মাথায় মসেহ্ করিবে এবং পা গ্রন্থি পর্যন্ত ধৌত করিবে; যদি তোমরা আপবিত্র থাক, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হইবে। তোমরা যদি পীড়িত হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেহ শৌচস্থান হইতে আগমন করে, অথবা তোমরা স্ত্রীদের সহিত সংগত হও এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করিবে এবং উহা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাতে মসেহ্ করিবে। আল্লাহ্ তোমাদিগকে কষ্ট দিতে চাহেন না; বরং তিনি তোমাদিগকে পবিত্র করিতে চাহেন ও তোমাদের প্রতি তাঁহার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিতে চাহেন, যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।“(সূরা মায়িদা, আয়াত:৬)।
،
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অযু না থাকলে নামাজের আগে অযু করা ফরজ।
অযু ছাড়া নামাজ হবেনা।
শরীর যদি পাক থাকে,অযু চলে না গিয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে অজু ছাড়া নামাজ হবে।
শরীর পাক থাকার ছুরতে যদি অযু চলে যায়,সেক্ষেত্রে
অজু ছাড়া নামাজ হবেনা।
নামাজের আগে অযু করতে হবে।
উল্লেখ্য, গোসলের দ্বারাই অযু হয়ে যায়,তাই গোসলের পর উক্ত গোসল দিয়ে নামাজ পড়া যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
গোসলের পরে যদি অযু ভেঙ্গে যাওয়ার মতো কোনো কিছু না হয়,সেক্ষেত্রে এ অবস্থায় অজু ছাড়া নামাজ শুদ্ধ হবে।
কেননা গোসলের দ্বারাই অযু হয়ে যায়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ وَيُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ وَصَلَاةَ الْغَدَاةِ وَلَا أُرَاهُ يُحْدِثُ وُضُوءًا بَعْدَ الْغُسْلِ . - صحيح
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসল করে দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করার পর ফজরের সলাত আদায় করতেন। আমি তাঁকে গোসলের পর পুনরায় অযু করতে দেখিনি।
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ গোসলের পর উযু করা, হাঃ ১০৭, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ গোসলের পর উযু না করা, হাঃ ২৫২), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ গোসলের পর উযু করা, হাঃ ৫৭৯), আহমাদ (৬/৬৮, ১১৯, ১৫৪, ১৯২, ২৫৩, ২৫৮) সকলেই আবূ ইসহাক সূত্রে।
আরো জানুনঃ