আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (19 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
হুজুর,

আমি খুবই বাজে ভাবে ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত। মনের মধ্যে আল্লাহকে নিয়ে বিভিন্ন রকম খারাপ চিন্তা ও তালাকের ওয়াসওয়াসা সর্বদা আসতে থাকে। ইতি মধ্যেই শায়েখ ইমদাদুল হুজুর আমার করা বিভিন্ন প্রশ্নে আমাকে ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত ব্যাক্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারপরেও কিছু প্রশ্ন আমাকে খুবই পেরেশান করছে। তাই আপনার নিকট প্রশ্ন করলাম ।

(১) একদিন আমার স্ত্রীর উপর রাগ করে আমি বলেছিলাম যে,
"আমি যদি আল্লাহকে বিশ্বাস করে থাকি তাহলে তোমার বাবার বাসায় আর কোনদিন যাবো না। "

এখন যদি আমার স্ত্রীর বাবার বাসায় যাই তাহলে কি আমি নাস্তিক হয়ে যাবো?
বা গেলে আমার কি কোন গুনাহ হবে?

(২) হাচি দেবার পর মনে মনে আলহামদুলিল্লাহ বলতে যাবো সেসময় মনে হচ্ছে আমি যেন "তালাক" উচ্চারন করছি, এমন মনে হচ্ছিল। এজন্য ভাল ভাবে আলহামদুলিল্লাহ বলতে পারলাম না। তাই পরে আবার আমি মনে মনে আলহামদুলিল্লাহ বলার ট্রাই করছিলাম আর বোঝার চেষ্টা করছিলাম যে, তখন তালাক বলে ফেলেছিলাম কিনা। এমন উচ্চারন নিয়ে সন্দেহ আমার একটার পর একটা আসতেই থাকে। এতে কি তালাক পতিত হবে শায়েখ??

(৩) মাঝে মাঝে আল্লাহকে নিয়ে এত নোংরা চিন্তা আসে যা আমি বলতে লজ্জাবোধ করছি। গতকাল বাইক চালানোর সময় চোখো পোকা পড়লে মনে হচ্ছে আমি মনে মনে আল্লাহকে গালি দিচ্ছি। কোন সুন্নাত যদি এমনিতে অলসতা করে পালন না করি তবে মনে হয় আমি মনে হয় ওই সুন্নাতটা মানি না। প্লেটে ভাত রাখলে মনে হয় আমি খাবার চেটে খাওয়াকে সুন্নত মনে করি না। এমন বহু আজে বাজে কথা আমার মনে চলে আসে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শিরিকি ও কুফুরি কথা আমার মনে আসে। এতে আমি হতাশ হই। নিজেকে অপরাধী মনে হয়। এতে কি আমার ঈমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
এখন যদি আপনি আপনার স্ত্রীর বাবার বাসায় যান, তাহলে আপনি নাস্তিক হয়ে যাবেননা।
এখানে যেহেতু আপনি মহান আল্লাহর নামে কসম করেননি,সুতরাং স্ত্রীর বাবার বাসায় গেলে কোনো গুনাহ হবেনা,কোনো কাফফারাও আবশ্যক হবেনা।

(০২)
শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এতে তালাক পতিত হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...