আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
178 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর!আশাকরি আপনাদের সকলকে আল্লাহ তায়ালা ভালো রেখেছেন।আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক অনেক ভালো আছি পূর্বের থেকে।

আলহামদুলিল্লাহ হুজুর আমার সব সমস্যা দূর করেছেন আল্লাহ তায়ালা,এজন্য আপনার নিকট আমি অনেক শুকরগোজার,আপনি অনেক অনেক সময় দিয়ে আমার মত এই অধম কে সাহায্য করেছেন,দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

হুজুর আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আপনাকে আর প্রশ্ন করবোনা,বিশেষ করে তালাকের ওয়াসওয়াসা বিষয়ে। আমি এখন যে প্রশ্ন করবো সেটার উত্তর এর আগেও আপনি দিয়েছেন এবং আমি সেটাকে মান্য করি।মনের ভিতর একটা খুতখুতানি দিচ্ছে কিছুদিন ধরে যে মাসালা তে কোনো ভূল নাই তো! হুজুর নিজের অজান্তে কোনো ভূল করে নাই তো ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি মনের সাথে অনেক যুদ্ধ করেছি, পরে ভাবলাম শুধু একবার জিজ্ঞাসা করেই নেই।কারন মিনের ভিতর খুতখুতানি আসলে একদম ভালো লাগেনা।

হুজুর আমার বিগত প্রশ্ন গুলির লিংক https://ifatwa.info/64956/ & https://ifatwa.info/65004/  & https://ifatwa.info/65004/

★আমার প্রশ্ন ছিলো এইটা.................
হুজুর ধরেন একটা বিষয়ে শর্তারোপ করা হয়েছে এবং যে বিষয়ে শর্তারোপ করা হয়েছে তার কয়েকটি দিক রয়েছে।এখন কোন দিকটা শর্ত দেয়া হয়েছে তা নির্ধারণ করা হবে কিভাবে?? আপনি বলেছিলেন যখন মুখে উচ্চারিত শব্দের মাঝে বিরোধ দেখা দিবে তখন নিয়্যাত যেই ছুরুতের উপর ছিলো সেই ছুরুত কেই শর্ত হিসেবে ধরা হবে।আর মুখে যা উচ্চারণ করা হয়নাই এমন কোনো কিছুর নিয়্যাত করলে তা ধর্তব্য হবেনা।এইটা তো ঠিক আছে তাইনা?

হুজুর আপনি উত্তর দিয়েছিলেন এগুলা.......................
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এখানে যে শব্দ বলে কসম কাটবে, তার নিয়ত যদি ঐ শব্দের চাহিদার বিপরীত না হয়,বরং ঐ শব্দ সেই নিয়তেরও সম্ভাবনা রাখে,এমন হতে হবে।তার খেলাফ হওয়া যাবেনা।

★স্পষ্ট মুখে উচ্চারণ এর পর সেটির খেলাফ বা বহির্ভুত কোনো নিয়ত থাকলে সেটি গ্রহনযোগ্য হবেনা।তবে এর পক্ষে কোনো নিয়ত থাকলে বা কোনো ছুরতকে বাদ দেয়ার নিয়ত থাকলে সেই নিয়তটি গ্রহনযোগ্য হবে।

⚠️এখন আমার নতুন প্রশ্ন হলো.....

১/হুজুর আপনি যে নিয়ম বা মাসালা বলেছেন সেইটা তো একদম ঠিক আছে তাইনা?? মানে এটা তো সু প্রসিদ্ধ মাসালা?....... (হুজুর বেয়াদবি মাফ করবেন,,মনে যা ওয়াসওয়াসা দেয় তাই আপনাকে বললাম। আমি আপনাকে বিশ্বাস করি এবং আস্থা রাখি।আপনি একজন কওমি আলেম আলহামদুলিল্লাহ)

২/ হুজুর আমি এর আগে উদাহারন দিয়েছিলাম,আমি লিংক দিয়ে দিচ্ছি...লিংক: https://ifatwa.info/65004/..... হুজুর লিংকের ১&২ নং প্রশ্নের জবাব এবং আমার বুঝ টা তো সঠিক ছিলো তাইনা?.......................................(হুজুর আমি আবারো বলছি বেয়াদবি মাফ করবেন,আপনি বলেছিলেন যে আমার বুঝ ঠিক আছে তারপরো আমি আবার ওয়াসওয়াসা কে দূর করার জন্যে প্রশ্ন করলাম।কিছু মনে নিয়েন না প্লিজ)

৩/হুজুর আপনারা যে মাসালা গুলি দেন তা তো সব হানাফি ফিকহ অনুযায়ী দেন তাইনা?কারন আমরা তো হানাফি।আর সব তো যাচাই-বাছাই করে, গবেষণা করেই তারপর উত্তর দিয়ে থাকেন তাইনা?

৪/হুজুর শর্তযুক্ত তালাকের মাসালা আর কসমের মাসালা একই হয়? মানে উভয় যায়গা তেই তো শর্ত যুক্ত করা হয় সেজন্য বললাম।

৫/হুজুর এইটা আমার আবেদন।আপনারা যদি পারেন ওয়াসওয়াসা জানিত রুগিদের জন্যে একটা বিস্তারিত আর্টিকেল লিখতেন এবং সকল সমস্যা এবং সমাধান তুলে ধরতেন তাহলে মনে হয় খুবই উপকারে আসতো ওয়াসওয়াসা জানিত রুগিদের জন্যে। ওয়াসওয়াসা জানিত রুগিদের বিশেষ করে ধর্ম নিয়ে যাদের ওয়াসওয়াসা আসে তাদের মধ্যে ৯০% রুগিদের কে শয়তান পাকড়াও করে।মানসিক কোনো অসুস্থতা থাকেনা।খুবই কষ্ট হয়,,,,

আলহামদুলিল্লাহ হুজুর আশাকরি এরপরে আর প্রশ্ন করা জরুরত পরবেনা এই বিষয়ে আপনাদের নিকট।দোয়া করবেন আমার জন্যে।
by (16 points)
হুজুর একটু দ্রুত জবাব পাইলে খুব ভালো হতো।আমি অযথা প্যানিক হয়ে যাই।

1 Answer

0 votes
by (559,350 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}
   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

আরো জানুনঃ- 

★যে শব্দ বলে কসম কাটবে, তার নিয়ত যদি ঐ শব্দের চাহিদার বিপরীত না হয়,বরং ঐ শব্দ সেই নিয়তের সম্ভাবনা রাখে,এমন হতে হবে।
তার খেলাফ হওয়া যাবেনা। 

এখানে যে শব্দ বলে কসম কাটবে, নিয়ত ঐ শব্দের চাহিদার বিপরীত না হতে হবে।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
رد المحتار على الدر المختار 
كتاب الأيمان 
باب اليمين في الدخول والخروج والسكنى والإتيان والركوب وغير ذلك
جزء:  3        
صفحة: 743

[ ص: 743 ] باب اليمين في الدخول والخروج والسكنى والإتيان والركوب وغير ذلك الأصل أن الأيمان مبنية عند الشافعي على الحقيقة اللغوية ، وعند مالك على الاستعمال القرآني ، وعند أحمد على النية ، وعندنا على العرف ما لم ينو ما يحتمله اللفظ فلا حنث في لا يهدم إلا بالنية فتح .
সারমর্মঃ-
ইমাম শাফেয়ী রহঃ এর নিকট কসম এর ভিত্তি হাকিকি আভিধানিক অর্থের উপর।
ইমাম মালেক রহঃ এর নিকট কসম এর ভিত্তি কুরআনী ব্যবহার পদ্ধতির উপর।
ইমাম আহমদ রহঃ এর নিকট কসম এর ভিত্তি নিয়তের উপর।
আমাদের (হানাফিদের) নিকট কসম এর ভিত্তি সামাজিক প্রচলনের উপর,সামাজিক প্রচলিত অর্থের উপর। যতক্ষন পর্যন্ত শব্দ যে অর্থের সম্ভাবনা রাখেনা সেই অর্থের নিয়ত না করবে।,,,
(ফাতাওয়ায়ে শামী ৩/৭৪৩)

আরো জানুনঃ- 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
উক্ত মাসয়ালা, নিয়ম সঠিক।

(০২)
হ্যাঁ, আপনার বুঝটা সঠিক ছিলো।

(০৩)
হ্যাঁ, হানাফি ফিকহ অনুযায়ী জবাব দেয়া হয়।
ভিন্ন মতাদর্শী কেহ তাদের মত জানতে চাইলে সেটিও জানিয়ে দেয়া হয়।

কোনো মাসয়ালায় ভিন্ন মত থাকলে গুরুত্ব বিবেচনা করে কিছু ক্ষেত্রে সেটিও জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়।

(০৪)
হ্যাঁ, একই।

(০৫)
বিষয়টি সম্পর্কে IOM কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে তারা বিবেচনা করতে পারেন।
জাযাকাল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...