জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
সাদাস্রাব লাগলে সালোয়ার তিনবার ধোয়া লাগবে,এবং প্রত্যেক বার নিংড়িয়ে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে সালোয়ারে সাদা স্রাব লেগে থাকা স্থান নির্দিষ্ট ভাবে জেনে থাকলে শুধু সেই স্থান এভাবে তিনবার ধোয়া লাগবে।
(০২)
১ম উমরাহ এর কাজ শেষ করার পর মসজিদে আঈশাতে গিয়ে পুনরায় ২য় উমরাহ এর নিয়তে ইহরাম বাধতে হবে।
তার পর উমরাহ এর যাবতীয় কাজ ১ম উমরাহ এর ন্যায় আদায় করবে।
এভাবে সেই সফরে যতবার উমরাহ করতে চাইবে,প্রত্যেক বার মসজিদে আঈশাতে গিয়ে পুনরায় ইহরাম বাধতে হবে।
আরো জানুনঃ-
(০৩)
এটি সঠিক নয়।
তবে কাবা ঘরের দিকে তাকানো ইবাদত,ছওয়াব মর্মে কিছু হাদীস রয়েছে।
আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
[خمس من العبادة : قلة الطعام ، والقعود في المساجد ، والنظر إلى الكعبة ، والنظر في المصحف ، والنظر إلى وجه العالم [وهو حديث ضعيف جداً- ضعيف الجامع الصغير رقم:2855
“পাঁচটি জিনিস ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। যথা:
১) কম খাওয়া।
২) মসজিদে বসে থাকা।
৩) কাবার দিকে তাকানো।
৪) মুসহাফ (কুরআন) এর দিকে তাকানো।
৫) আলেমের চেহারার দিকে তাকানো।”
شعب الإيمان - (10 / 267):
"أخبرنا أبو عبد الله الحافظ، أخبرني أبو علي الحافظ، أنا أبو يعلى أحمد بن علي الموصلي، نا أبو ياسر عمار المستملي، نا سعيد بن زيد، عن محمد بن حجادة، عن طلحة بن مصرف، عن إبراهيم، عن علقمة، عن عبد الله، قال: "النظر إلى الوالد عبادة، والنظر إلى الكعبة عبادة، والنظر في المصحف عبادة، والنظر إلى أخيك حبا له في الله عبادة".
হযরত আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত,
মাতা পিতার দিকে তাকানো ইবাদত।
কা'বার দিকে তাকানো ইবাদত।
কুরআনের দিকে তাকানো ইবাদত।
নিজ ভাইয়ের প্রতি মুহাব্বতে তার দিকে তাকানো ইবাদত।
(বাইহাকি শুয়াবুল ঈমান ১০/২৬৭)
★হাদীস গুলো জয়ীফ।
(০৪)
এমতাবস্থায় এখন আর রিয়াজুল জান্নাহতে যাওয়ার কোনো উপায় আছে কিনা,সেটি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরত থেকে বা সংশ্লিষ্ট কাহারো থেকে জেনে নেয়ার পরামর্শ রইলো ।
(০৫)
যেহেতু এখানে রাস্তা নিরাপদ, আর নিরাপত্তাও রয়েছে,জানা মতে ফিতনার আশংকাও নেই।
সুতরাং আপনার স্বামী যদি হোটেলে থাকে আর আপনি যদি কয়েক মহিলার সাথে দিনের বেলা নফল তাওয়াফ করতে যান, তাহলে হবে।
এটি জায়েজ হবে।