আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by
পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক  ছেলেময়ে হঠাৎ মোবাইল এ কথা বলতে বলতে ইজাব কবুল হলে কি বিয়ে হয়ে যায়?এইভাবে বিয়ে হয় জানা ছিলোনা। সাক্ষী থাকার প্রশ্নই আসে না কিন্তু ছেলে কোন মেয়ের অজান্তে সাক্ষী রেখেছিলো কিনা সেটা নিয়ে যদি মেয়ের এখন ওয়াসওয়াসার কারণে সন্দেহ থাকে করণীয় কি?ছেলে কে জিজ্ঞেস করা সম্ভব না।আবার এইটাও ঠিক যে ওইরকম কোন সাক্ষী মেয়ের অজান্তে রাখলে সে পরবর্তীতে এইটা মেয়েকে জানাতো কারণ ছেলেটা মেয়েকে পরে অনেক ডিস্টার্ব করেছে।

প্রশ্ন ২))সাক্ষী ছিলোনা এইটা ১০০০% সিয়োর। এরপরো মেয়ের অজান্তে ছেলে ওপাশে সাক্ষী রেখেছিলো কিনা মেয়ের ওয়াসওয়াসার জন্য সন্দেহ হচ্ছে?সন্দেহ হলে করণীয়

প্রশ্ন৩))ছেলে মেয়ের অজান্তে প্রতারাণা করে সাক্ষী রাখলে কি বিয়ে হয়েছে ধরা হবে?হানাফি মাযহাব মতে কি এইভবে বিয়ে হয়েছে বলে ধরা হবে?যদিও এমন কিছুই হয়নি তারপরো জানার জন্য প্রশ্ন করা

প্রশ্ন ৪)বা যদি এমন হয় ছেলে মেয়ের সাথে এইসব কথা বলার সময় ছেলের পাশে কেউ ছিলো যে ছেলের এসব কথা শুনেছে  তবে সাক্ষী হিসেবে নয় একেএে  ও কি বিয়ে হয়ে যাবে,, যদি মেয়ে না জানে যে ছেলের পাশে কেউ আছে?যদিও কেউ ছিলোনা তারপরো প্রশ্ন করা জানার জন্য।

প্রশ্ন ৪))আধো ইজাব কবুল হয়েছে কিনা তাও সন্দেহ। ১০/১২ বছর আগের ঘটনা তাই আধো এমন কিছু হয়েছে কিনা তাও সিয়োর না।হুজুর এর ওয়াজ শোনার পর থেকে সন্দেহ হচ্ছ।সন্দেহের ভিওিতে কি বিয়ে হয়েছে বলে গণ্য হয়?জানার জন্য

প্রশ্ন:৫ যদি ইজাব কবুল হয়ে থাকেও কোন সাক্ষী ছিলোনা কারণ ছেলে মেয়ে সাক্ষী ছাড়া এইসব বললেইতো বিয়ে হয়ে যায় না।মেয়ে এখন অন্যকারো সাথে সংসার করছে তাই এই বিয়েতো অবশ্যই বৈধ হবে যার সাথে শরীয়তসম্মতভাবে বিয়ে হয়েছে তাইনা?

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
edited by
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,    
প্রশ্নের বিবরণ মতে মোবাইলের মাধ্যমে উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।

যদি সাক্ষীও থাকে,তবুও এই বিবাহ শুদ্ধ হবেনা। 

কেননা মোবাইলের মাধ্যমে এভাবে বিবাহ করলে বিবাহ শুদ্ধ হওয়াত শরয়ী শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে পাওয়া যায়না।

(০২)
সন্দেহ হোক বা নিশ্চিত হোক,উপরোক্ত ছুরতে মোবাইলের মাধ্যমে কোনো ভাবেই বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।

(০৩)
এই বিয়ে হয়েছে বলে ধরা হবেনা।
হানাফি মাযহাব মতে এইভবে বিয়ে হয়েছে বলে ধরা হবেনা।

(০৪)
না,এই বিবাহ হয়নি।

(০৫)
আগের বিবাহ হয়নি।
উপরোক্ত মেয়ে যে এখন অন্য কাহারো সাথে সংসার করছে, তার এই বিয়েতো অবশ্যই বৈধ, যার সাথে শরীয়তসম্মতভাবে বিয়ে হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...