আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
172 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম
দুঃখিত প্রশ্নটা আবার করার জন্য এইবার ইনশাআল্লাহ গুছিয়ে বলবো.
১.আমার সাথে একটা মেয়ের হারাম সম্পর্ক ছিল এখন নেই মাশাআল্লাহ.হারাম সম্পর্ক থাকা কালে একদিন আমি  আর মেয়ে পার্কে দেখা করার কালে এক জায়গায় পাশাপাশি বসে ছিলাম আমাদের পিছনে ২ টা বা ৩ টা অচেনা ছেলে মানুষ ছিলো.যাদের কে আমি ও ওই মেয়ে কেউ ই চিনিনা.ওই সময় বিয়ের নিয়ত ছাড়া আমি এবং মেয়ে ৩ বার করে কবুল বলি .এখানে বিয়ের কোনো নিয়ত ছিলো না এমনকি মোহরানা বিষয়ে ও কোনো কথা হয়নি .যতদূর মনে পড়ে ওই সময় সুদু আমরা কবুল বলেছিলাম ২ জন.আর  যতদূর মনে পড়ে ওই সময় মুখে এমন কিছুই উচ্চরণ করে নি যে আমরা এখন বিয়ে করতে যাচ্ছি তার জন্য কবুল বলছি..কবুল টা এমনি বলার ইচ্ছা হইছিলো তাই বলেছিলাম  আর ওই লোকগুলা শুনতে পেরেছিল কি জানিনা.ওদের আর আমাদের মধ্যে কোনো যোগসূত্র ছিলো না  .ওনাদের না শুনার ই কথা .এখন আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে কিনা ??

২.আর বিয়ে হয়ে গেলে ওই মেয়েকে তালাক দিয়ে দিলাম মৌখিক ভাবে..এবং খুজ নিয়ে হয়তো জানতে পারলাম হয়তো ওই মেয়ের বিয়ে হয় নি..তাইলে সমস্যা নেই.আর বিয়ে হলে বললাম .  কিন্তু ওই মেয়ের যদি গোপনে বিয়ে করে থাকে তাহলে করনীয় কি ?

1 Answer

0 votes
by (573,660 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,

قال في "كشاف القناع" (5/ 37) : "ولا ينعقد النكاح إلا بالإيجاب والقبول ، والإيجاب هو اللفظ الصادر من قِبَل الولي أو من يقوم مقامه كوكيل.

সারমর্মঃ
ইজাব কবুল ব্যাতিত বিবাহ হবেনা।
ইজাব হলো যে শব্দটি অভিভাবক অথবা তার স্থলাভিষিক্ত এর থেকে বের হয়,যেমন উকিল।    

এমন সব শব্দে বিবাহ সংঘটিত হবে। যেমন বলা, (زوجت أو نكحت) আমি বিবাহ করলাম বা বিয়ে দিলাম। অথবা বলা, (قبلت هذا النكاح) আমি এ বিয়ে কবুল করলাম। অথবা (تزوجتها) আমি তাকে বিয়ে করলাম, বা (تزوجت) আমি বিয়ে করলাম, অথবা (رضيت) এ বিয়ে আমি রাজি আছি।

প্রস্তাব (الإيجاب): অলী তথা অভিভাবক অথবা যিনি তার স্থলাভিষিক্ত হবেন তার পক্ষ থেকে বিয়ে করার বা বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া। 

★ কবুল (القبول): স্বামী বা তার স্থলাভিষিক্ত থেকে বিয়ে কবুল করার শব্দ। যেমন বলা, (قبلت) আমি বিয়ে কবুল করলাম বা (رضيت هذا النكاح) এ বিয়ে আমি রাজি আছি বা শুধু কবুল করেছি বলা।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,    
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ-
যতদূর মনে পড়ে আমরা ওই সময় শুধু কবুল বলেছিলাম ২ জন.আর  যতদূর মনে পড়ে ওই সময় মুখে এমন কিছুই উচ্চরণ করে নি যে আমরা এখন বিয়ে করতে যাচ্ছি তার জন্য কবুল বলছি..কবুল টা এমনি বলার ইচ্ছা হইছিলো, তাই বলেছিলাম।

সুতরাং এটি ইজাব কবুল নয়,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিবাহ হবেনা।

(০২)
যেহেতু বিবাহই  হয়নি, তাই তাকে তালাক দেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। 
সুতরাং আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।
কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 375 views
...