আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (28 points)
একজন সুদখোর আজীবন সুদ খেল এবং নামাজ, রোজাসহ সকল ইবাদত করে মারা গেল।

আবার আর একজন সুদখোর মারা গেল। তবে সে আজীবন কোনো ইবাদতই করে নি। শুধুমাত্র ইসলামের বিষয়গুলোর ওপর বিশ্বাস করত।

প্রশ্ন:

১. একজন ইবাদত করল এবং আরেকজন করল না। যদি হারাম খেলে ইবাদত কবুল না হয়, তাহলে তো সুদখোরের নামাজ পড়া আর না পড়া সমান ছিল। হ্যা, নামাজ মানুষকে হেদায়াতের পথে আনে। তবে সে ব্যক্তি নামাজ পড়লেও হেদায়াতের পথে আসে নি। হোক সেটা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। সে ব্যক্তির নামাজ কি কোনো কাজেই আসবে না? কারণ সে তো হেদায়াতের পথে আসে নি। শুধু নামাজ পড়েছে এবং মারা গেছে।

(হুজুর, ভাবিয়েন না আমি সুদ খাই। জানতে চাই দয়া করে বিস্তারিত বলুন)

২. আমি শুনেছি এবং ধারণা করছি এমনটা। তবে আমার জানার ভুলও থাকতে পারে-

❝হারামখোর নামাজ পড়লে তার নামাজ কবুল হয়তো হবে না, তবে সে নামাজ না পড়ার শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে। মানে সে আল্লাহর হুকুম মতো নামাজে হাজিরা দিয়েছে, তাই নাকি তার নামাজ না পড়ার শাস্তি হবে না। তবে নামাজ কবুল করবেন কিনা সেটা আল্লাহর ব্যাপার। কবুল হলে সওয়াব পাবে। নাহলে নাই। বেনামাজি নামাজ না পড়লে তার নামাজ না পড়ার শাস্তি হবে। আর হারামখোরের নাকি নামাজ না পড়ার শাস্তি হবে না। তবে হারামখোরের ইবাদত কবুল হবে না।❞

বিষয়টি কি এমন? যে, নামাজ, রোজা, হজ এসব ইবাদত আল্লাহর হুকুম মতো পালন করা হলো ১ম ধাপ আর কবুল হওয়া না হওয়া হলো ২য় ধাপ? মানে হারামখোর নামাজসহ অন্যান্য ইবাদত করলেও সে ১ম ধাপ পালন করেছে। ২য় ধাপ আল্লাহর হাতে।

বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।
(আমার জানা মতে আমি সুদ খাই না। আমি বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই হুজুর। দয়া করে আখিরাতের পারিণতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন রেফারেন্স সহ)

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


হারাম সম্পদ ভক্ষন কারীর ইবাদত দোয়া কিছুই কবুল হয়না।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "

 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
সেই ব্যক্তির নামাজ কোনো কাজেই আসবে না,এমন বলা সঠিক নয়।
সেই ব্যাক্তির যিম্মায় তো নামাজ কাজা নাই,তাই সে নামাজ না পড়ার শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে।

কবুল হলে ছওয়াব পেতো,কিন্তু কবুল না হলেও তার জিম্মাদারি থেকে উক্ত নামাজ আদায় হয়েই যায়।
সে ব্যক্তির নামাজ কোনো কাজেই আসবে না,এমন বলা যাবেনা।
তাকে কিন্তু সেই নামাজের কোনো হিসাব দিতে হবেনা।
তাকে সেই নামাজের কাজা আদায়ের জন্যেও বলা হবেনা।
কেননা সে তাহা আদায় করেছে,এটি আদায়কৃত নামাজের মধ্যে গন্য হবে। 

(০২)
আপনি যেটা শুনেছেন ও ধারনা করেছেন,বিষয়টি সহীহ।
উপরোক্ত সমস্ত কথাই সহীহ।

নামাজ, রোজা, হজ এসব ইবাদত আল্লাহর হুকুম মতো পালন করা হলো ১ম ধাপ আর কবুল হওয়া না হওয়া হলো ২য় ধাপ।

মানে হারামখোর নামাজসহ অন্যান্য ইবাদত করলেও সে ১ম ধাপ পালন করেছে। ২য় ধাপ আল্লাহর হাতে।
এটিও সহীহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...