আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
243 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
Assalamualaikum
আমার বিয়ের আগে প্রেম ছিল।  অন্য ছেলের সাথে বিয়ে হওয়ার পর ইজাব কবুলের মাসআলা পরে ওয়াসওয়াসা আসতো যে কখনো কারও সামনে ইজাব কবুল হয়েছে কি না। আমি এক আহলে হাদিস শায়েখ এর কাছে জিজ্ঞেস করি। সে আমাকে মাসআলা বোঝাচ্ছিল যে বিয়ে হয় না অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া কিন্তু বিয়ে হয়ছে মনে করে সহবাস করলে মোহর পাবে এগুলো। আমি  ভুল করে এমন বলে ফেলি মানে মুখফসকে বলে ফেলি আমার খালাতো বোনের সাথে এমন হইছে। মানে আমি খালাতো বোনের কথা বলে প্রশ্নটা করছিলাম। কিন্তু এটা ওয়াসওয়াসা এমন টা হয় নাই আমি শিওর। কখনোই ইজাব কবুল সাক্ষী দের সামনে কিছুই হয় নাই। আমি শিওর ওয়াসওয়াসা এমনকি ঐ ছেলের সাথে কথা বলছি সেও বলছে এমন কিছু হয় নাই। এমন কি তার সা থে কথা বলার আগেই আমি শিওর হইছি। এটা অনেক আগে বলে ফেলছি লাম শায়েখকে। ফোন রাখার পর ভাবলাম আমি তো ভুল করে মুখ ফসকে বলে ফেলছি এমনটা তো হয়নাই কিন্তু ভুল করে বলে ফেলছি আল্লাহ মাফ করবেন এবং এখনকার বৈবাহিক জীবনে কোন সম্যসা নাই।। এখন আমার প্রশ্ন হলো,
এই যে মুখ ফসকে আমি বলছি খালাতো বোনের সাথে এমন টাতো হইছে মানে নিজের কথাই এমনটা মুখ ফসকে ভুল করে বলে ফেলছি ঐ শায়েখকে ভুল করে বলে ফেলছি তাও বলি নাই। এখন আমার অন্য যার সাথে বিয়ে হইছে তার সাথে আমার বৈবাহিক জীবনে মিথ্যা স্বীকারোক্তি বা তালাক কি কিছু হবে? বৈবাহিক জীবন শুদ্ধ শায়েখ?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


বিবাহের ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন,

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

فى الدر المختار- ( و ) شرط ( حضور ) شاهدين ( حرين ) أو حر وحرتين ( مكلفين سامعين قولهما معا ) (الدر المختار ، كتاب النكاح،-3/9)

অনুবাদ-বিবাহ সহীহ হওয়ার শর্ত হল শরীয়তের মুকাল্লাফ [যাদের উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয়] এমন দুইজন আযাদ পুরুষ সাক্ষি বা একজন আযাদ পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষি হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল  বলার উভয় বক্তব্য স্বকর্ণে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। {আদ দুররুল মুখতার-৩/৯, ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এখন আপনার অন্য যার সাথে বিয়ে হইছে তার সাথে আপনার বৈবাহিক জীবনে মিথ্যা স্বীকারোক্তি বা তালাক জাতীয় কিছু হবেনা। আপনাদের বৈবাহিক জীবন শুদ্ধ।

ঐ শায়েখকে এমনটি বলায় আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...