জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ এর উপস্থিতিতে পাত্র কনেকে বিবাহের প্রস্তাব দিবে,আর পাত্রী কবুল বলবে।
অথবা সেখানে পাত্ত্রী কনেকে বিবাহের প্রস্তাব দিবে,আর পাত্র কবুল বলবে।
আর উভয় সাক্ষী শুনবে,তাহলেই বিবাহ হয়ে যাবে।
(০২)
মোহরানা বিয়ে পড়ানোর আগে নির্ধারণ করতে হবে।
(০৩)
নতুন স্বামী বাসর যাপনের পরের দিনই তালাক দিতে পারবে।
এক্ষেত্রে সহবাস হয়ে হবে, সহবাস না হলে ১ম স্বামীর সাথে উক্ত স্ত্রীর বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
(০৪)
ইদ্দতের পরবর্তী খরচ নতুন স্বামীকেই বহন করতে হবে। অন্য কেউ দিলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী রাজি থাকলে সেটিও হবে।
(০৫)
মুসলিম প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ হলেই হবে।
নেককার হতে হবেনা।
(০৬)
হ্যাঁ, পারবে।
তবে এক্ষেত্রে সে তার কন্ঠের পর্দা নষ্ট হওয়ায় সে গুনাহগার হবে।
(০৭)
জায়েজ হবেনা।
গুনাহ হবে।
তবে এভাবে বিবাহ হলে সহবাসের পর তালাক দিলে তালাক পরবর্তী ইদ্দত পালনের পর উক্ত স্ত্রীকে ১ম স্বামী বিবাহ করতে হবে।
উল্লেখ্য, যে ১ম স্বামী কর্তৃক তিন তালাকের পর উক্ত স্ত্রী ইদ্দত পালন শেষে ২য় স্বামীর সাথে বিবাহ বসবে।
১ম স্বামী কর্তৃক তিন তালাকের পর উক্ত স্ত্রী ইদ্দত পালনের আগেই ২য় স্বামীর সাথে বিবাহ বসলে সেই বিবাহই শুদ্ধ হবেনা।
তখন পরবর্তী কোনো কাজই জায়েজ হবেনা।
(০৮)
এই পদ্ধতি জায়েজ নয়।
এটি স্পষ্ট হাদীস বিরোধী কথা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلاً طَلَّقَ امْرَأَتَه“ ثَلاَثًا فَتَزَوَّجَتْ فَطَلَّقَ فَسُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَتَحِلُّ لِلأَوَّلِ قَالَ لاَ حَتّٰى يَذُوقَ عُسَيْلَتَهَا كَمَا ذَاقَ الأَوَّلُ.
আম্মাজান আয়েশা রা. থেকে বরণিত, রাফায়ার স্ত্রী বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার স্বামী রাফায়া আমাকে এক সাথে তিন তালাক দিয়েছে? এরপর আমি আব্দুর রাহমানের সাথে বিবাহ করেছি। এখন রাফায়ার কাছে যেতে পারবো কিনা? নবীজী বললেন, আবদুর রহমান তোমার সাথে সহবাস করলে এরপর রাফায়ার নিকট যেতে পারবে। (সহীহ বুখারী ৫২৬১)
(০৯)
বিবাহের সর্বনিম্ন মহর দশ দিরহাম।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا- قَالَ: زَوَّجَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - رَجُلًا امْرَأَةً بِخَاتَمٍ مِنْ حَدِيدٍ.
وَعَنْ عَلَيٍّ - رضي الله عنه - قَالَ: «لَا يَكُونُ الْمَهْرُ أَقَلَّ مِنْ عَشَرَةِ دَرَاهِمَ». أَخْرَجَهُ الدَّارَقُطْنِيُّ
সাহল বিন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি লোহার আংটির বিনিময়ে একজন লোকের সাথে এক মহিলার বিবাহ দিয়েছিলেন।
‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, মোহর (সাধারণত) দশ দিরহামের কমে হয় না।
(দারাকুতনী ৩য় খণ্ড ২০০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৩৪৯ ও ৩য় খণ্ড ২৪৫ পৃষ্ঠা হাদীস নং ১৩.বুলুগুল মারাম ১০৩৪।)
০১ দিরহাম=৩.০৬১৮ গ্রাম।
১০*৩.০৬১৮= ৩০.৬১৮ গ্রাম রূপা।অর্থাৎ দুই তোলা সাড়ে সাত মাশা।
বর্তমানে প্রতি তোলা রূপার মূল্য ১২০০/- টাকা।
১০(১০*১২০০)দিরহামের মূল্য দাঁড়ায় ৩,১৫০/- টাকা।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এটা হলো প্রত্যেক মহিলার জন্য শরীয়তের পক্ষ্য থেকে সর্বশেষ নির্ধারিত মহর।যাকে শরীয়তের হক বলা হয়ে থাকে।এর চেয়ে কম মহর নির্ধারণ করা যাবে না।সুতরাং বর্তমান হিসেব অনুযায়ী ৩,১৫০ টাকা এর নিম্নে মহর নির্ধারণ করা যাবে না।
★উল্লেখ্য রুপার মূল্য এলাকা ভেদে কমবেশি হতে পারে।
১০দিরহামের কম মহরের উপর স্ত্রী সন্তুষ্ট থাকলেও শরীয়ত মহিলার উপর মহরে মিছিল ওয়াজিব করবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৩,১৫০ টাকা মোহরানা নির্ধারন করতে পারবে।
(১০)
১ম স্বামী যে তিন তালাক দিয়েছিলো,সেক্ষেত্রে ২য় বিবাহের আগে তিন হায়েজ ইদ্দত পালন করতে হবে।তারপর ২য় স্বামীর সাথে বিবাহ বসবে।
২য় স্বামী তালাক প্রদানের পর এক্ষেত্রেও আবারো পূর্ণ তিন হায়েজ ইদ্দত পালন করতে হবে।
এ সময় উক্ত স্বামীর বাড়িতে থাকতে হবে,বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবেনা।
সাজ সজ্জা করা যাবেনা,অলংকার পড়া যাবেনা।
বিস্তারিত জানুনঃ-