আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (24 points)
edited by
১. আমি কোন কোরআনের আয়াত পাঠ করলে আমার খারাপ চিন্তা চলে আসে। তখন খারাপ চিন্তা আসার কারনে আবার পাঠ করি। এভাবে আমি সেই আয়াত একাধিক বার পাঠ করি। কিন্তু, চিন্তা দূর হয় না। এক্ষেত্রে, আমি যদি নিয়ত করি ১ বারই পাঠ করবো তখন মনে মনে চলে আসে আমি যেন অবজ্ঞা করেছি (নাউজুবিল্লাহ)। এসব কারণে এখন আমি আয়াত পড়লেও ভয় পাই। এক্ষেত্রে, কি খারাপ চিন্তা আসার কারণে বার বার পড়া উচিত?

২. আমি যদি কখনো কোন আয়াতের প্রতি এমন আচরণ করি যা করলে ঈমান নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কি সেই আয়াত আবার পাঠ করতে হবে নাকি তওবা করে ঈমান আনলেই চলবে?
৩. রাসূল সাঃ এর প্রশ্রাব কি পাক ছিল? উনার প্রশ্রাব কি পান করা হয়েছিল?

৪. রাসূল সাঃ এর সকল কর্ম-কান্ডই কি আমাদের জন্য অনুকরণীয়? নাকি এমন কোন কাজ আছে যেটা রাসূল সাঃ করেছেন কিন্তু আমাদের জন্য যায়েজ নয়?

৫. কোন অমুসলিমকে কি এভাবে বলা যাবে, "যদি কোন কিতাব বর্তমানে কেউ নাযিল করে এবং প্রমান করতে পারে এটা ইশ্বরের বাণী, তাহলে আমরা মেনে নিবো।"
৬. অমুসলিমকে কি এভাবে বলা যাবে, "যদি কেউ প্রমান করতে পারে পবিত্র কোরআনে ভুল আছে কিংবা গরমিল আছে তাহলে এটা আল্লাহর বানী নয়।" চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার জন্য এভাবে বলা উচিত হবে কি না?
৭. তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করার ক্ষেত্রে আমি যদি ইশ্বরের শানে বেয়াদবি হয় এবং বেয়াদবি বলতে তাদের ধারণাকৃত ইশ্বরকে বুঝিয়েছি এমন কথা বলি তাহলে কি ঈমান চলে যাবে? যেমনঃ আমি বললাম, "কোন ডিমে প্রান আছে কি নেই সেটা যদি ইশ্বর না জানে তাহলে সে আবার ইশ্বর হয় কি করে? ভবিষ্যতে কি হবে না হবে সেটা যদি না জানে তাহলে সে আবার ইশ্বর হয় হয় কি করে? ইশ্বর যদি শ্রেষ্ঠ ডাক্তার, বিজ্ঞানী না হয় তাহলে সে ইশ্বর হয় কি করে?"

৮. তারা শ্রীকৃষ্ণকে ইশ্বর মনে করে। অথচ শ্রীকৃষ্ণ এর জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ সবই আছে। এখন, শ্রীকৃষ্ণ যে ইশ্বর নয় এটা প্রমানের ক্ষেত্রে আমি কি এভাবে বলতে পারবো, "শ্রীকৃষ্ণ এর জন্ম মৃত্যু থাকার পরও যদি সে ইশ্বর হয় তাহলে আমি কেন ভগবান নই- এটা প্রমাণ করুন।"

৯. এই ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে কি ঈমান এর ক্ষতি হয়েছে?

১০. ঈমান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কোন লেখকের বই সবচেয়ে ভাল হবে? অর্থাৎ, কোন লেখকের উপর পূর্ণ আস্থা নিয়ে জ্ঞান অর্জন করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
না,বারবার পড়ার কোনো আবশ্যকীয়তা নেই।

(০২)
তওবা করে ঈমান আনলেই চলবে।

(০৩)
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পেশাব পাক,তবে কিছু স্কলারগন এক্ষেত্রে দ্বীমত পোষনও করেছেন। 

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পেশাব পান করা হয়েছে মর্মে হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وعن ابن جريج قال: أخبرت أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يبول في قدح من عيدان ثم يوضع تحت سريره، فجاء فإذا القدح ليس فيه شيء، فقال لامرأة يقال لها : بركة كانت تخدم أم حبيبة جاءت معها من أرض الحبشة: أين البول الذي كان في القدح؟ قالت: شربته، قال: صحة يا أم يوسف! فما مرضت قط حتى كان مرضها الذي ماتت فيه.
" فقال النبي صلى الله عليه وسلم: لقد احتظرت من النار بحظار "

ইবনু জুরাইজ হতে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেনঃ আমাকে সংবাদ দেয়া হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কাঠের পিয়ালাতে পেশাব করতেন অতঃপর তা তার খাটের নিচে রেখে দেয়া হতো। তিনি একদা এসে দেখলেন সে পেয়ালাতে কিছুই (পেশাব) নেই। তাই তিনি বারাকাহ নামের এক মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন যে উম্মু হাবীবার খেদমাত করত তাকে সে হাবশা থেকে সাথে করে নিয়ে এসেছিলঃ পেয়ালাতে থাকা পেশাবগুলো কোথায়? সে বললঃ আমি পেশাব পান করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ তোমার স্বাস্থ্যের উপকারের জন্য হে ইউসুফের মা! অতঃপর সে মহিলা আর কখনও রোগাক্রান্ত হয়নি সেই রোগ ব্যতীত যে রোগে সে মারা যায়।
"নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তো জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকারী বস্তুকে গ্রহণ করেছো" 
 {আলখাসায়েসুল কুবরা-১/৭১}

এ হাদীসটি আব্দুর রাযযাক তার "মুসান্নাফ" গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদও মুত্তাসিল হিসেবে ইবনু জুরায়েয সূত্রে হুকায়মাহ হতে, তিনি তার মা উমাইমাহ বিনতু বুকাইকাহ হতে বর্ণনা করেছেন।

এই হাদসীটি "আল-মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ" গ্রন্থে (৪/২৩১) উল্লেখ করা হয়েছে।

বাইহাকী তার “সুনান” গ্রন্থে (৭/৬৭) মুত্তাসিল সনদে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন তবে তিনি "তোমার স্বাস্থ্যের উপকারের জন্য হে ইউসুফের মা!..." এ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত অংশকে উল্লেখ করেননি।

অনুরূপভাবে হায়সামী "আল-মাজমা" গ্রন্থে (৮/২৭১) উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বাইহাকীর বাদ দেয়া অংশের পরিবর্তে "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তো জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকারী বস্তুকে গ্রহণ করেছো" এ অংশটুকু বৃদ্ধি করে বর্ণনা করে বলেছেনঃ ত্ববারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আর তার বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ ইবনে হাম্বাল ও হুকায়মাহ ছাড়া। আর তারা দু’জনই নির্ভরযোগ্য।

وَأخرج أَبُو يعلى وَالْحَاكِم وَالدَّارَقُطْنِيّ وَالطَّبَرَانِيّ وَأَبُو نعيم عَن أم أَيمن قَالَت قَامَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من اللَّيْل إِلَى فخارة فَبَال فِيهَا فَقُمْت من اللَّيْل وَأَنا عَطْشَانَة فَشَرِبت مَا فِيهَا فَلَمَّا أصبح أخْبرته فَضَحِك وَقَالَ أما أَنَّك لَا يتجعن بَطْنك أبدا وَلَفظ أبي يعلى إِنَّك لن تَشْتَكِي بَطْنك بعد يَوْمك هَذَا أبدا

একদা উম্মে আইমান রাঃ রাতের বেলা তৃষ্ণার্ত অবস্থায় রাতের বেলা পাত্রে রাখা রাসূল সাঃ এর পেশাব পান করেছেন। সকালে এ সংবাদ শুনে রাসূল সাঃ তাকে ভর্ৎসনা না করে বললেন, “আজ থেকে তোমার আর পেটের পীড়া হবে না” অন্য বর্ণনায় এসেছে আর কোনদিন তুমি তৃষিত হবে না”।
{আলখাসায়েসুল কুবরা-১/৭১}

(০৪)
রাসূল সাঃ এর সকল কর্ম-কান্ডই আমাদের জন্য অনুকরণীয় নয়।

এমনও অনেক কাজ ছিলো,যাহা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথেই খাছ ছিলো,যেমন চারের অধিক বিবাহ সহ বিবিধ বিষয়। 

তাই যেগুলো আমাদের জন্য অনুকরণীয় সেগুলোকেই সুন্নাহ বলা হয়,সেগুলোই অনুকরণীয়। 

(০৫)
এমনটি বলা যাবেনা।

(০৬)
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার জন্য এভাবে বলা যাবে।

(০৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এভাবে বলায় ঈমান চলে যাবেনা।

(০৮)
এভাবে বলতে পারবেন।

(০৯)
এই ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে ঈমান এর ক্ষতি হয়নি।

(১০)
আপনি মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন সাহেব দাঃবাঃ লিখিত "ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ" পড়তে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...