বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
না,বারবার পড়ার কোনো আবশ্যকীয়তা নেই।
(০২)
তওবা করে ঈমান আনলেই চলবে।
(০৩)
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পেশাব পাক,তবে কিছু স্কলারগন এক্ষেত্রে দ্বীমত পোষনও করেছেন।
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর পেশাব পান করা হয়েছে মর্মে হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وعن ابن جريج قال: أخبرت أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يبول في قدح من عيدان ثم يوضع تحت سريره، فجاء فإذا القدح ليس فيه شيء، فقال لامرأة يقال لها : بركة كانت تخدم أم حبيبة جاءت معها من أرض الحبشة: أين البول الذي كان في القدح؟ قالت: شربته، قال: صحة يا أم يوسف! فما مرضت قط حتى كان مرضها الذي ماتت فيه.
" فقال النبي صلى الله عليه وسلم: لقد احتظرت من النار بحظار "
ইবনু জুরাইজ হতে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেনঃ আমাকে সংবাদ দেয়া হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কাঠের পিয়ালাতে পেশাব করতেন অতঃপর তা তার খাটের নিচে রেখে দেয়া হতো। তিনি একদা এসে দেখলেন সে পেয়ালাতে কিছুই (পেশাব) নেই। তাই তিনি বারাকাহ নামের এক মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন যে উম্মু হাবীবার খেদমাত করত তাকে সে হাবশা থেকে সাথে করে নিয়ে এসেছিলঃ পেয়ালাতে থাকা পেশাবগুলো কোথায়? সে বললঃ আমি পেশাব পান করে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ তোমার স্বাস্থ্যের উপকারের জন্য হে ইউসুফের মা! অতঃপর সে মহিলা আর কখনও রোগাক্রান্ত হয়নি সেই রোগ ব্যতীত যে রোগে সে মারা যায়।
"নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তো জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকারী বস্তুকে গ্রহণ করেছো"
{আলখাসায়েসুল কুবরা-১/৭১}
এ হাদীসটি আব্দুর রাযযাক তার "মুসান্নাফ" গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। আবু দাউদও মুত্তাসিল হিসেবে ইবনু জুরায়েয সূত্রে হুকায়মাহ হতে, তিনি তার মা উমাইমাহ বিনতু বুকাইকাহ হতে বর্ণনা করেছেন।
এই হাদসীটি "আল-মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ" গ্রন্থে (৪/২৩১) উল্লেখ করা হয়েছে।
বাইহাকী তার “সুনান” গ্রন্থে (৭/৬৭) মুত্তাসিল সনদে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন তবে তিনি "তোমার স্বাস্থ্যের উপকারের জন্য হে ইউসুফের মা!..." এ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত অংশকে উল্লেখ করেননি।
অনুরূপভাবে হায়সামী "আল-মাজমা" গ্রন্থে (৮/২৭১) উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বাইহাকীর বাদ দেয়া অংশের পরিবর্তে "নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তো জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষাকারী বস্তুকে গ্রহণ করেছো" এ অংশটুকু বৃদ্ধি করে বর্ণনা করে বলেছেনঃ ত্ববারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন আর তার বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থের বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ ইবনে হাম্বাল ও হুকায়মাহ ছাড়া। আর তারা দু’জনই নির্ভরযোগ্য।
وَأخرج أَبُو يعلى وَالْحَاكِم وَالدَّارَقُطْنِيّ وَالطَّبَرَانِيّ وَأَبُو نعيم عَن أم أَيمن قَالَت قَامَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من اللَّيْل إِلَى فخارة فَبَال فِيهَا فَقُمْت من اللَّيْل وَأَنا عَطْشَانَة فَشَرِبت مَا فِيهَا فَلَمَّا أصبح أخْبرته فَضَحِك وَقَالَ أما أَنَّك لَا يتجعن بَطْنك أبدا وَلَفظ أبي يعلى إِنَّك لن تَشْتَكِي بَطْنك بعد يَوْمك هَذَا أبدا
একদা উম্মে আইমান রাঃ রাতের বেলা তৃষ্ণার্ত অবস্থায় রাতের বেলা পাত্রে রাখা রাসূল সাঃ এর পেশাব পান করেছেন। সকালে এ সংবাদ শুনে রাসূল সাঃ তাকে ভর্ৎসনা না করে বললেন, “আজ থেকে তোমার আর পেটের পীড়া হবে না” অন্য বর্ণনায় এসেছে আর কোনদিন তুমি তৃষিত হবে না”।
{আলখাসায়েসুল কুবরা-১/৭১}
(০৪)
রাসূল সাঃ এর সকল কর্ম-কান্ডই আমাদের জন্য অনুকরণীয় নয়।
এমনও অনেক কাজ ছিলো,যাহা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সাথেই খাছ ছিলো,যেমন চারের অধিক বিবাহ সহ বিবিধ বিষয়।
তাই যেগুলো আমাদের জন্য অনুকরণীয় সেগুলোকেই সুন্নাহ বলা হয়,সেগুলোই অনুকরণীয়।
(০৫)
এমনটি বলা যাবেনা।
(০৬)
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার জন্য এভাবে বলা যাবে।
(০৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এভাবে বলায় ঈমান চলে যাবেনা।
(০৮)
এভাবে বলতে পারবেন।
(০৯)
এই ধরনের প্রশ্নের মাধ্যমে ঈমান এর ক্ষতি হয়নি।
(১০)
আপনি মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন সাহেব দাঃবাঃ লিখিত "ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ" পড়তে পারেন।