জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
সুপারিশের কথা বর্ণিত হয়েছে পবিত্র কুরআনেও।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
مَنْ یَّشْفَعْ شَفَاعَةً حَسَنَةً یَّكُنْ لَّهٗ نَصِیْبٌ مِّنْهَا، وَ مَنْ یَّشْفَعْ شَفَاعَةً سَیِّئَةً یَّكُنْ لَّهٗ كِفْلٌ مِّنْهَا، وَ كَانَ اللهُ عَلٰی كُلِّ شَیْءٍ مُّقِیْتًا.
যদি কেউ কোনো ভালো (কাজের) সুপারিশ করে তাহলে তাতে তার অংশ থাকবে, আর কেউ কোনো মন্দ (কাজের) সুপারিশ করলে তাতে তার অংশ থাকবে; আর আল্লাহ সর্ব বিষয়ে নযর রাখেন। -সূরা নিসা (৪) : ৮৫
আয়াতের মর্ম স্পষ্ট-কেউ যদি কাউকে সুপারিশ করে কোনো একটি কাজ করিয়ে দেয়, তাহলে এর প্রতিদান সে পাবেই। সুপারিশকৃত কাজটি যদি ভালো হয় প্রতিদানও ভালো হবে। কাজটি মন্দ হলে প্রতিদানও হবে মন্দ। অসহায় গরীব কাউকে দান করলে দানকারী যেমন সওয়াব পায়, সে যদি কারও সুপারিশে দান করে থাকে তাহলে সুপারিশকারীও এ দানের কারণে সওয়াবের অংশীদার হবে।
সহীহ বুখারীর একটি হাদীস, হযরত আবু মূসা রা. বর্ণনা করেন-
كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا جَاءَهُ السّائِلُ، أَوْ طُلِبَتْ إِلَيْهِ حَاجَةٌ قَالَ اشْفَعُوا تُؤْجَرُوا وَيَقْضِي اللهُ عَلَى لِسَانِ نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم مَا شَاءَ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যখন কোনো সাহায্যপ্রার্থী আসত, কিংবা তাঁর কাছে কোনো প্রয়োজনের কথা বলা হতো, তিনি তখন (উপস্থিত সাহাবীদের) বলতেন, তোমরা (তার পক্ষে) সুপারিশ কর, তাহলে তোমরা পুরস্কৃত হবে। আর আল্লাহ যা চান, তাঁর নবীর জবানে সেই ফয়সালাই করাবেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৪৩২
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি ওয়ার্ড থেকে যে সনদ নিবেন, জানা মতে সেটি তৈরীর জন্য তেমন সময় লাগেনা,যেটি কিছু মিনিট অথবা বড়জোড় এক ঘন্টার মধ্যেই হয়ে যাওয়ার কথা।
সুতরাং এখানে যে তারা কয়েকদিন সময় চেয়ে নেয়,এটি অনেকটা অবহেলা।
তাই এক্ষেত্রে দ্রুত কাজ করিয়ে নেয়ার জন্য বৈধ পদ্ধতিতে কাহারো সুপারিশ জায়েজ হবে।
তারপরেও বিষয়টি আপনার জন্য,কারন আপনাকে আগামিকালকেই জমা দিতে হবে।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার গুনাহ হবেনা।