ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এখন আপনার মায়ের সাথে উপরোক্ত কথোপকথনে কোন তালাক বা মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবেনা এবং আপনার বৈবাহিক জীবন শুদ্ধ।
আলহামদুলিল্লাহ।
(০২)
হ্যাঁ, এগুলো হালাল।
(তবে কোনো জেলিতে যদি নিশ্চিত ভাবে কোনো হারামের মিশ্রণ এর প্রমান পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে সেটি হারাম হবে।)
(০৩)
এক্ষেত্রে যদি সুবহে সাদিক এর আগেই অর্থাৎ সাহরির ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগেই সহবাস শেষ হয়,সেক্ষেত্রে
গোসল না করে রোজার নিয়ত করলে এবং গোসল না করে ইফতার করলে রোজা হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রোযা হয়ে হবে। কিন্তু ফজরের নামায ইচ্ছেকৃত কাযা করলে কবীরা গোনাহ হবে।
,
তাই নামাযের মত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত বিষয়ে অলসতা করা যাবে না।
রাতেই গোসল করে নিতে হবে।
,
أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ [٢:١٨٧]
রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরণ কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। [সূরা বাকারা-১৮৭]
(০৪)
ডাবল গুনাহ হবেনা,তবে আপনার উপর তওবা আবশ্যক।
হ্যাঁ, যদি আপনি পূর্ব কাহারো সাথে মিথ্যা বলার পর সেই মিথ্যা বলার বিষয়টি মায়ের সামন্র এসে বলেন,সেক্ষেত্রে গুনাহ প্রকাশ করার দরুন গুনাহ হবে।
(০৫)
এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সেই গাছ থেকে অন্যরা উপকৃত হলে আপনি সদকার ছওয়াব পাবেন।
(০৬)
এমন কথায় লি'আন বা তালাক হয় না।