জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হ্যাঁ, এটি ওয়াসওয়াসা।
যেহেতু সেই বেডিং এ বীর্য লেগেছিল অনেক আগে এবং ২ বার রোদে দিয়ে শুকানো হয়েছিল।
সুতরাং সেই বেডিং এর উপর "কুরআনের কাভার" পড়ে যাওয়ার দরুন "কুরআনের কাভার" নাপাক হয়নি।
তাই সেটি পাক করতে হবেনা।
(০২)
হানাফি মাযহাব মতে বিতির নামাযকে কা'যা করা ওয়াজিব।যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
فى تنوير الأبصار- وكذا حكم الوتر
وقال ابن عابدين، لأنه فرض عملى عنده (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب قضاء الفوائت-2/73، سعيد)
মসজিদের বা জনসম্মুখে বিতিরকে কা'যা করলে হাত উত্তোলন করে দোয়ায়ে কুনুত পড়া যাবে না।
যেমন রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে-
أما في القضاء عند الناس فلا يرفع حتى لا يطلع أحد على تقصيره. اه
বিতিরের নামাযকে যদি মসজিদে বা জনসম্মুখে কা'যা করা হয়,তাহলে কুনুতের সময় তাকবীর অবশ্যই বলা যাবে, তবে হাত উত্তোলন করা যাবে না।
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
، قالت أمّ المؤمنين عائشة -رضي الله عنها- أنّ النبيّ صلّى الله عليه وسلّم: (كان إذا غلبه نومٌ أو وجَعٌ عن قيامِ الليلِ صلَّى من النهارِ ثِنتي عشرةَ ركعةً)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যখন বেশ ঘুম চলে আসতো বা শারিরিক ক্লান্তি কারণে কিয়ামুল লাইল করতে পারতেন না তখন দিনে বার রা'কাত নামায পড়ে নিতেন।(সহীহ মুসলিম-৭৪৬)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখন আপনাকে সেই নামাজ গুলোর শুধু বিতর আদায় করতে হবে।
নতুন করে চার রাকাত ফরয সহ বিতর আদায় করতে হবেনা।
আপনার ফরজ গুলি আদায় হয়ে গিয়েছে
আপনি বিতির এর কাজা আদায়ের সময় তিন রাকাত আদায় করবেন।
জন সম্মুখে বিতির কাজা করলে দোয়ায়ে কুনুত পড়ার আগে শুধু তকবির বলবেন,হাত উত্তোলন করবেননা।
তবে একাকী কোনো জায়গায় নামাজ পড়লে যেখানে (কোনো মানুষ নেই) হাত উত্তোলন করবেন।
,
আরো জানুনঃ