ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের আলোচনা
وَفِي حَالَةِ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ يَقَعُ الطَّلَاقُ فِي سَائِرِ الْأَقْسَامِ قَضَاءً إلَّا فِيمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا فَإِنَّهُ لَا يُجْعَلُ طَلَاقًا كَذَا فِي الْكَافِي
তালাকের আলোচনার পরিস্থিতিতে সকল প্রকার কেনায়া তালাকে তালাক পতিত হবে।তবে যে শব্দগুলো তালাকের আবেদনের জবাব এবং রদ উভয়টা বুঝাবে,সে শব্দুগুলো দ্বারা তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রী তালাক চাইলে স্বামী ঐ সমস্ত শব্দ বললে,যেগুলোতে তালাকের আবেদনের সম্মতি বা প্রত্যাখ্যান উভয় প্রকার বুঝাবে, সেই সব শব্দ বলার বেলায় নিয়ত ব্যতাত তালাক পতিত হবে না।
কেনায়া শব্দ তিন প্রকার,
(১) যা শুধুমাত্র সম্মতি বুঝায়।
(২) যা সম্মতি ও গালি বুঝায়।
(৩)যা তালাকের আবেদনের সম্মতি বুঝায় ও প্রত্যাখ্যান বুঝায়।
(১)স্ত্রী অভিমান করে তালাক চাইলে স্বামী যদি দুষ্টামি করে বলে"" অন্য কাউকে খুজে নাও ""((নিয়ত আর উদ্দেশ্যর প্রশ্নই আসেনা))
এখানে অন্য কাউকে খুজে নাও দ্বারা তালাকের আবেদনের সম্মতি বুঝা যাচ্ছে, তাই কাযা'আন তালাক পতিত হবে।তবে দিয়ানাতান তালাক হবে না।
(ক) দিয়ে দাও বা ছেড়ে দাও এইরকম শব্দাবলী দ্বারাও তালাকের আবেদন বুঝাবে।
(খ) স্ত্রী যদি সরাসরি তালাক সূচক বাক্য বলে, তাহলে সেটা দ্বারাও আবেদন বুঝাবে।
২) স্ত্রী যদি দুষ্টুমি করে তালাক চায় এবং স্বামী ও দুষ্টুমি মজার ছলে উক্ত বাক্য বলে, এমন সব বাক্য যা সম্মতি বা সম্মতি গালি বুঝায়, তাহলে ঐ সব শব্দাবলী দ্বারাও তালাক হবে।
(ক) স্ত্রী যদি দিয়ে দাও বা ছেড়ে দাও, এইরকম কেনায়াসূচক বাক্য বলে, তাহলে এদ্বারাও তালাকের আবেদন বুঝাবে।
(খ)স্ত্রী যদি সরাসরি তালাক সূচক বাক্যে বলে, তাহলে এদ্বারাও তালাকের আবেদন বুঝাবে।
(৩) স্ত্রী যদি অভিমান করে তালাক চায়, অতঃপর স্বামী আবেগঘন মূহুর্তে একটু আহ্লাদী করে অভিমানী সুরে বলে, যেমন "অন্য কাউকে খুজে নাও,idiot,আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি " (নিয়ত আর উদ্দেশ্যের প্রশ্নই আসে না))) অর্থাত অন্য কাউকে খুজে নাও বলার পর যদি অন্যান্য বাক্য বলে৷ ভালোবাসা মূলক বুঝাতে চায় যে সে বউকে অনেক ভালোবাসে।
এক্ষেত্রে তালাক হবে না।
(৪)স্ত্রী তালাক চাইলে স্বামী দুষ্টামি করে অন্যান্য কেনায়া বাক্য বলতে কি বাক্য? সেটা তো বলতে হবে।
(৫) আপনার প্রশ্ন অস্পষ্ট।
৬)অধিকারপ্রাপ্ত স্ত্রী অভিমান করে(নিয়ত বা উদ্দেশ্যর প্রশ্নই আসেনা) স্বামীকে আরেকটা বিয়ে করতে বললে তালাক হবে না। আর নিয়ত করে বললেও তালাক হবে না।
শুধুমাত্র জানার জন্যই প্রশ্নগুলো করা।আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো।এইরকম কথা আমদের কখনো হয়নি,ইনশাআল্লাহ হবেনা।
বিঃদ্রঃ
কাল্পানিক প্রশ্ন সংসারের জন্য ক্ষতিকারক।