আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,
আমি একটা বিষয়ে খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছি।আমি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকি। আমার রুমমেট ফযরে ঘুম থেকে উঠার জন্য অনেক হাই ভলিউমে এলার্ম দিয়ে রাখে।আজকে আমার রাতে ঘুম আসতে চাচ্ছিল না আর মাথাটা একটু যন্ত্রণা করছিল।সেজন্য আমি একটু দেরিতে এলার্ম দিয়ে রেখেছিলাম কিন্তু সেটা ফযরের ওয়াক্ত থাকা অবস্থাতেই।

আমার রুমমেটের জোরে এলার্মের শব্দে আমার ঘুম ভেঙে যায়।আর খারাপ লাগতেছিল খুব।যখন আমাকে ডাকতে আসে তখন আমি একটু রুক্ষভাবে বলেছিলাম একটু পরে উঠতেছি। আবার অন্য জায়গা ফাকা থাকা সত্ত্বেও আমার পায়ের কাছে এসে নামায পড়ছিল সেজন্যও রাগ লেগেছিল। ভাবতেছিলাম কখন আমার রুমমেটের নামায পড়া শেষ হবে আমি পা মেলে দিব।পরে যখন ঘুমের মধ্যেই মনে হল নামায পড়া শেষ আমি পা মেলে দিয়েছিলাম একটু রাগ করেই।আমি সাধারণত এইরকম করিনা কখনোই। কিন্তু রুমমেটের জন্য আগেই ঘুম ভেঙে যাওয়ায় এরকম করেছি।
আমি ইসলামকে অথবা নামাযকে অপছন্দ করে করিনি।

এখন সন্দেহ হচ্ছে আমার ঈমান চলে গেছে কিনা।

দয়া করে জানাবেন শায়েখ।জাযাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ عَلْقَمَةَ بْنَ وَقَّاصٍ اللَّيْثِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ".
আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। আমি ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।]- সহীহ বোখারী-১

উসূলে ফিকহের মূলনীতি হলো,
الأمور بمقاصدها-(شرح المجلة لسليم رستم باز)
প্রত্যেক কাজ তার উদ্দেশ্যর উপর নির্ভরশীল।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1266

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু এখানে ইসলাম বা নামাযকে অস্বীকার করা আপনার উদ্দেশ্য ছিল না, তাই আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...