আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
161 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।।

হুজুর স্বামী যদি সহবাসকালীন সময়ে উনার তীব্রতার জন্য একটু ইতস্থতবোধের কারণে ওই সময়েই রেগে গিয়ে, সারাদিন পর এসেও একটু শান্তি পাই না, তোমার মত স্ত্রী লাগবে না; তাইলে তুমি একাই থাক আমি অন্যথায় গিয়ে শোব এখন থেকে ইত্যাদি বলেন, এগুলো কি কেনায়া হবে??! মিলনকালে একটু অসস্থির জন্য এমনটা হয়ে যায় মাঝে মাঝে।। আমাকে উনি ডাক্তারও দেখিয়েছেন যে লজ্জাস্থানে কোন সমস্যা আছে কিনা তার জন্য কিন্তু কোন সমস্যাই নেই, কিন্তু উনার সাথে মিলিত হওয়ার সময়ে এমনটা হয়ে থাকে হুজুর/// আর উনি অনেক মন খারাপ করেন :( ...

হুজুর এগুলো কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা আমার উপর?? তা হয়ে থাকলে কিছু দুয়া বা আমল বাতলিয়ে দিন অনুগ্রহ করে হুজুর প্লিয যাতে করে উনি আমার কাছে আগমন করলে খুশি হতে পারেন, আমিও উনার সাথে তাল মেলাতে পারি ওরকম সময়গুলোতে,,, আর তাও না হলে ওইরকম ইতস্থত বোধের বা অসস্থির উদ্রেগ হলে মনে মনে কিছু বলা যায় কিনা যাতে তা দূরীভূত হয়ে যায়।। উনি আমার প্রতি অনেক স্নেহময়, কিন্তু আমি অন্তরঙ্গ সময়ে উনার সাথে তাল মিলাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছি।। আর কেনায়া হচ্ছে কিনা তাও জানিয়েন হুজুর, আমি চাইনা আমাদের বিয়ের মধ্যে এইটুক ব্যাপারে কোন ঝামেলা তৈরি হোক...
closed

1 Answer

+1 vote
by (583,410 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সহবাসে বিরক্ত হয়ে যদি স্বামী বলে,
তোমার মত স্ত্রী লাগবে না; তাইলে তুমি একাই থাক আমি অন্যথায় গিয়ে শোব এখন থেকে ইত্যাদি বলেন।তাহলে এগুলো দ্বারা কেনায়া তালাক হবে না।

আপনি সহবাসের দু'আ পড়বেন। "আল্লাহুম্মা জান্নিবিশ শায়তানা ওয়া জান্নিবিশ শায়তানা আ'লা মা রাযাকতানা"

ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন-http://ifatwa.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/10103


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
edited by
জাযাকাল্লাহু খাইরান হুজুর, দুয়া গুলো কি সাধারণ সময়েই পড়ার জন্য নাকি যখন ওইরকম অসস্থির বোধ হলেও পড়া দরকার মনে মনে যাতে উনিও আমার জন্য বিব্রত বোধ না করে আপন মর্জিতে চালিয়ে যেতে পারেন? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...