আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (8 points)

আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম। আমি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরি করি। কোম্পানি প্রত্যেক কর্মচারীর জন্য 
১ বছরের জন্য লাইফ ইন্সুরেন্স করেছে। যার ফলে কেও যদি ডাক্তার দেখাতে যায়, তাহলে ডাক্তারের ভিসিটিং এর টাকা
ধরেন ১০০০ টাকা হলে ২০০ টাকা বিমা কোম্পানি দিয়ে দিবে। বীমা করার জন্য আমাদেরকে কোনো টাকা দেওয়া
লাগছে না। পুরো টাকাটা (বিমা করতে যেই টাকা লাগে) আমাদের কোম্পানি দিয়ে দিয়েছে ১ বছরের জন্য এবং সকল কর্মচারীর জন্য। আমি সেই সুবিধা নেই বা না নেই, টাকা পরিশোধ করা হয়ে গিয়েছে। এখন এই সুবিধা গ্রহন করা যায়েয হবে কিনা (মানে ডাক্তার দেখানোর পর ভিসিটিং এর ২০০ টাকা বিমা কোম্পানি থেকে নিবো কিনা) সেটা জানালে উপকৃত হবো। 

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বীমা নাজায়েয ও হারাম।কেননা কম্পানির পক্ষ্য থেকে মাসিক কিস্তিতে যে টাকা উসূল করা হয়, সেটা মূলত কম্পানির নিকট ঋণ হিসেবে থাকে। এবং পরবর্তীতে এ জমাকৃত টাকা তথা ঋণের বিপরিতে যে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হয়,সেটা সুদ। আর সুদ হারাম।

দ্বিতীয়ত বীমার বিষয়টা শর্ত তথা গ্রাহকের কোনো অঘটনের সাথে চুক্তিবদ্ধ। আর শর্তের সাথে কোনো ঋণের আদাণ-প্রদাণ জায়েয না বরং হারাম।

তৃতীয়ত,বীমার টাকা দেড়ীতে গ্রাহকের হস্তগত হওয়ার শর্ত থাকে।আর ঋণের মধ্যে শর্তের মাধ্যমে দেড়ীতে লেনদেনের সমাপ্তি বিশুদ্ধ নয়।
তাছাড়া বীমা কম্পানি গ্রাহকের নিকট থেকে কিস্তিতে টাকা তুলে সেই টাকা দিয়ে সুদি লেনদেনে জড়িয়ে থাকে।

সুতরাং এসমস্ত কারণ বিবেচনায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, জীবন বীমা করা এবং বীমা কম্পানিতে চাকুরী করা জায়েয হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৪) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1204

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু বীমাটা চাকুরীর সাথে সম্পর্কিত। অপশনাল নয়।এখানে নিজেকে টাকা দিতে হচ্ছে না।তাই বীমা জাতীয় লেনদেন কম্পানির জন্য নাজায়েয হলেও শ্রমিকের জন্য নাজায়েয হবে বলে মনে হচ্ছে না।হ্যা, শ্রমিকের জন্যও উত্তম, বীমা থেকে কোনো প্রকার সুবিধা গ্রহণ না করা। কেননা এখানে হালাম হারাম সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

২ লক্ষ টাকা বীমা কম্পানি থেকে যে দিবে, সেটা গ্রহণ করাও জায়েয হবে না।  কম্পানির পক্ষ্য থেকে প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য যত টাকা বীমা কম্পানিকে দেয়া হয়েছে, শুধুমাত্র সেই পরিমাণ টাকার চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা জায়েয হবে, অতিরিক্ত জায়েয হবে না।

انشورنس کامروجہ طریقہ کارشرعاً ناجائزوحرام ہے،اس لیے کہ وہ اپنی اصل وضع کے اعتبارسے  یاتوقمار(جوا)ہے یا ربوا(سود)ہے۔جوااورسود دونوں کی حرمت قرآن وحدیث سے ثابت ہے۔ملازمین اس صورت میں صرف اسی قدرمیڈیکل کی سہولت اٹھاسکتے ہیں جس قدرکمپنی نے اپنے ملازم کے لیے انشورنس کی مدمیں رقم جمع کروائی ہے۔اس سے زائد فائدہ اٹھاناجائزنہیں ہوگا۔بقدررقم علاج معالجہ کراسکتے ہیں۔
فقط واللہ اعلم

ماخذ :دار الافتاء جامعۃ العلوم الاسلامیۃ بنوری ٹاؤن
فتوی نمبر :143702200001
تاریخ اجراء :16-11-2015


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
মুহতারাম, একটি বিষয় যোগ করতে ভুলে গিয়েছিলাম। পরবর্তী বছরে আরো কিছু সুবিধা যোগ হবে, যেমনঃ
১. মেডিকেলে ভর্তি হলে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টাকা ইন্সুরেন্স কোম্পানি প্রদান করবে।
এটা গ্রহন করাও যায়েয হবে কিনা জানালে ভালো হয়।
by (588,060 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
জাযাকআল্লাহ উস্তায

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...