আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (129 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

১,সুযোগের অভাবে গুনাহ ছাড়লে যেমন কেউ কোনো নারীর সাথে অবৈধতায় লিপ্ত হবে কিন্তু মানুষ এসে যাওয়াতে লিপ্ত হলনা অথবা মোবাইলে নীল ছবি দেখবে কিন্তু চার্জ শেষ হওয়াতে দেখলনা।তবু কি তার গুনাহ হবে যেহেতু সে একদম স্থির নিয়ত করেছে গুনাহ করবে

২,কারো কথায় বা ভয়ে গুনাহ ছাড়লে(প্রভাবিত হয়ে নয়)।মানে সে এম্নিতেই গুনাহ করে কিন্তু আমি তাকে বলায় শুধু আমার সামনে গুনাহ ছাড়ল (প্রভাবিত হয়ে নয়,আল্লাহর ভয়েও নয়,বা আমাকেও এতটা ভয় পায়না বা মান্য করে না যেটা একজন রব্বের অধিকার) স্রেফ এম্নিতেই আমার কথা শুনে ছাড়ল যে ভাই যখন বলছে গুনাহ না করি, এতে কি তার গুনাহ হবে না গুনাহ ছাড়াত পুরস্কার পাবে?

৩ একজন কোনো কার্য সিদ্ধি করার জন্য বা কাজটা যেভাবে হোক করার জন্য গুনাহ করতেও রাজি।নিয়ত পাক্কা।সে গুনাহ করেই আদায় করবে ঠিক করেছে,(যেমন মিথ্যা বলা,সে কিভাবে মিথ্যা বলবে মনে মনে বলে প্র‍্যাকটিস করেছে) মাঝঅথে হালাল বিকল্প পাওয়াতে(সত্য বলে কাজটা পাওয়ার উপায় পাওয়াতে)সে গুনাহের পথ ছেড়ে দিল।এতে কি গুনাহ হবে না সওয়াব হবে?

৪,মেয়েদের পর্দার অপর পাশ থেকে পড়ানো জায়িজ তবে তাকওয়া হল না পড়ানো। ত স্ত্রী যদি জোর করে এসবে না এটা পড়াতে।তখন যদি সেরকম পর্দার পাশ থেকেও পড়ানো ছেড়ে দেই।তাক্বুওয়ার জন্য না।তাহলে কি সওয়াব পাব? যেহেতু স্ত্রীর কথা বা তাকে খুশি করতে ছেড়েছি,তাক্বওয়ার জন্যনা।কারণ স্ত্রী এটা নিয়ে মনমালন্য করসিলো

5,ধরুন,কোনো গাইর মাহরাম আমাদের দোকানে প্রায় প্রায় খরিদ কর‍্যে আসে,কিন্তু সে বেপর্দা, আমি বলে দিয়েছি, প্লিজ অন্তত আমার দোকানে আসার সময় যেন পর্দা করে।ত তিনি সেই কাজ করেন।এতে করে শুধু আমার কথা শুনে সেই সময় টুক পর্দা করার জন্য গুনাহ থেকে বেচে সওয়াব পাবেন? এক্ষেত্রে সে আমার  দোকানের কাছে এক্সট্রা সুবিধার জন্য বা নিজে আমাকে লজ্জা পায় বলে পর্দা করেনা।আমার কথা রাখার জন্য পর্দা করে

৬, আমার বোন বেপর্দা,কিন্তু আমি তাকে বলি আমার সাথে বাইরে বের হতে গেলে ফুল পর্দা করতে হবে।এখন সে আমার সাথে গেলে পর্দা করে যায়।এখন এখানেত ত সে দুনিয়া অর্জন বা দুনিয়াবি বিষয় পেতে আমার কথা শুনে পর্দা করতেসে। এতে কি তার গুনাহ বর্জনের জন্য সওয়াব হবে? নাকি রিয়া হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, 
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كُتِبَتْ لَهُ حَسَنَةً وَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَعَمِلَهَا كُتِبَتْ لَهُ عَشْرًا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ وَمَنْ هَمَّ بِسَيِّئَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا لَمْ تُكْتَبْ وَإِنْ عَمِلَهَا كُتِبَتْ " .
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যাক্তি নেক কাজের ইচ্ছা করে অথচ সস্পাদন করে নি, তার জন্য একটি সাওয়াব লেখা হয়। আর যে ইচ্ছা করার পর কার্যত সস্পাদন করে, তবে তার ক্ষেত্রে দশ থেকে সাতশ, গুন পর্যন্ত সাওয়াব লেখা হয়। পক্ষান্তরে যে কোন মন্দ কাজের ইচ্ছা করে আর তা না করে তবে কোন গুনাহ লেখা হয় না; আর তা করলে (একটি) গুনাহ লেখা হয়।(সহীহ মুসলিম-২৩৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুযোগের অভাবে গুনাহ ছাড়লে যেমন কেউ কোনো নারীর সাথে অবৈধতায় লিপ্ত হবে কিন্তু মানুষ এসে যাওয়াতে লিপ্ত হলনা অথবা মোবাইলে নীল ছবি দেখবে কিন্তু চার্জ শেষ হওয়াতে দেখলনা।এক্ষেত্রে তার গুনাহ লিখা হবে না। সে একদম স্থির নিয়ত করেছে গুনাহ করবে তারপরও গোনাহ না লিখে রাব্বে কারীমের বিশেষ অনুগ্রহ।

(২)
কারো কথায় বা ভয়ে গুনাহ ছাড়লে(প্রভাবিত হয়ে নয়)।মানে সে এম্নিতেই গুনাহ করে কিন্তু আমি তাকে বলায় শুধু আমার সামনে গুনাহ ছাড়ল (প্রভাবিত হয়ে নয়,আল্লাহর ভয়েও নয়,বা আমাকেও এতটা ভয় পায়না বা মান্য করে না যেটা একজন রব্বের অধিকার) স্রেফ এম্নিতেই আমার কথা শুনে ছাড়ল যে ভাই যখন বলছে গুনাহ না করি।

 এক্ষেত্র যত সময় সে গোনাহ থেকে বিরত থাকবে,তত সময় তার গুনাহ লিখা হবে না।

(৩)
একজন কোনো কার্য সিদ্ধি করার জন্য বা কাজটা যেভাবে হোক করার জন্য গুনাহ করতেও রাজি। নিয়ত পাক্কা। সে গুনাহ করেই আদায় করবে ঠিক করেছে,(যেমন মিথ্যা বলা,সে কিভাবে মিথ্যা বলবে মনে মনে বলে প্র্যাকটিস করেছে) মাঝপথে হালাল বিকল্প পাওয়াতে(সত্য বলে কাজটা পাওয়ার উপায় পাওয়াতে)সে গুনাহের পথ ছেড়ে দিল।

এক্ষেত্রেও গোনাহ লিখা হবে না। তবে সওয়া হবে কি না তা আল্লাহই ভালো জানেন।

(৪)
মেয়েদের পর্দার অপর পাশ থেকে পড়ানো জায়িয তবে তাকওয়া হল না পড়ানো। তো স্ত্রী যদি জোর করে এসবে না এটা পড়াতে।তখন যদি সেরকম পর্দার পাশ থেকেও পড়ানো ছেড়ে দেই।তাক্বওয়ার জন্য না।

এক্ষেত্রে যতক্ষণ গোনাহ থেকে বিরত থাকবে,ততক্ষণ গোনাহ লিখা হবে না। 

(৫)
ধরুন,কোনো গাইর মাহরাম আমাদের দোকানে প্রায় প্রায় খরিদ করতে আসে,কিন্তু সে বেপর্দা, আমি বলে দিয়েছি, প্লিজ অন্তত আমার দোকানে আসার সময় যেন পর্দা করে।তো তিনি সেই কাজ করেন।এতে করে শুধু আমার কথা শুনে সেই সময়টুক পর্দা করার জন্য গুনাহ থেকে বিরত থাকবেন। তবে সওয়াব পাবেন কি না? তা আল্লাহই ভালো জানেন।

(৬) আমার বোন বেপর্দা,কিন্তু আমি তাকে বলি আমার সাথে বাইরে বের হতে গেলে ফুল পর্দা করতে হবে।এখন সে আমার সাথে গেলে পর্দা করে যায়।এখন এখানে তো সে দুনিয়া অর্জন বা দুনিয়াবি বিষয় পেতে আমার কথা শুনে পর্দা করতেসে। এতেকরে যতক্ষণ সে পর্দাবৃত থাকবে,ততক্ষণ  তার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...