ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كُتِبَتْ لَهُ حَسَنَةً وَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَعَمِلَهَا كُتِبَتْ لَهُ عَشْرًا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ وَمَنْ هَمَّ بِسَيِّئَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا لَمْ تُكْتَبْ وَإِنْ عَمِلَهَا كُتِبَتْ " .
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যাক্তি নেক কাজের ইচ্ছা করে অথচ সস্পাদন করে নি, তার জন্য একটি সাওয়াব লেখা হয়। আর যে ইচ্ছা করার পর কার্যত সস্পাদন করে, তবে তার ক্ষেত্রে দশ থেকে সাতশ, গুন পর্যন্ত সাওয়াব লেখা হয়। পক্ষান্তরে যে কোন মন্দ কাজের ইচ্ছা করে আর তা না করে তবে কোন গুনাহ লেখা হয় না; আর তা করলে (একটি) গুনাহ লেখা হয়।(সহীহ মুসলিম-২৩৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুযোগের অভাবে গুনাহ ছাড়লে যেমন কেউ কোনো নারীর সাথে অবৈধতায় লিপ্ত হবে কিন্তু মানুষ এসে যাওয়াতে লিপ্ত হলনা অথবা মোবাইলে নীল ছবি দেখবে কিন্তু চার্জ শেষ হওয়াতে দেখলনা।এক্ষেত্রে তার গুনাহ লিখা হবে না। সে একদম স্থির নিয়ত করেছে গুনাহ করবে তারপরও গোনাহ না লিখে রাব্বে কারীমের বিশেষ অনুগ্রহ।
(২)
কারো কথায় বা ভয়ে গুনাহ ছাড়লে(প্রভাবিত হয়ে নয়)।মানে সে এম্নিতেই গুনাহ করে কিন্তু আমি তাকে বলায় শুধু আমার সামনে গুনাহ ছাড়ল (প্রভাবিত হয়ে নয়,আল্লাহর ভয়েও নয়,বা আমাকেও এতটা ভয় পায়না বা মান্য করে না যেটা একজন রব্বের অধিকার) স্রেফ এম্নিতেই আমার কথা শুনে ছাড়ল যে ভাই যখন বলছে গুনাহ না করি।
এক্ষেত্র যত সময় সে গোনাহ থেকে বিরত থাকবে,তত সময় তার গুনাহ লিখা হবে না।
(৩)
একজন কোনো কার্য সিদ্ধি করার জন্য বা কাজটা যেভাবে হোক করার জন্য গুনাহ করতেও রাজি। নিয়ত পাক্কা। সে গুনাহ করেই আদায় করবে ঠিক করেছে,(যেমন মিথ্যা বলা,সে কিভাবে মিথ্যা বলবে মনে মনে বলে প্র্যাকটিস করেছে) মাঝপথে হালাল বিকল্প পাওয়াতে(সত্য বলে কাজটা পাওয়ার উপায় পাওয়াতে)সে গুনাহের পথ ছেড়ে দিল।
এক্ষেত্রেও গোনাহ লিখা হবে না। তবে সওয়া হবে কি না তা আল্লাহই ভালো জানেন।
(৪)
মেয়েদের পর্দার অপর পাশ থেকে পড়ানো জায়িয তবে তাকওয়া হল না পড়ানো। তো স্ত্রী যদি জোর করে এসবে না এটা পড়াতে।তখন যদি সেরকম পর্দার পাশ থেকেও পড়ানো ছেড়ে দেই।তাক্বওয়ার জন্য না।
এক্ষেত্রে যতক্ষণ গোনাহ থেকে বিরত থাকবে,ততক্ষণ গোনাহ লিখা হবে না।
(৫)
ধরুন,কোনো গাইর মাহরাম আমাদের দোকানে প্রায় প্রায় খরিদ করতে আসে,কিন্তু সে বেপর্দা, আমি বলে দিয়েছি, প্লিজ অন্তত আমার দোকানে আসার সময় যেন পর্দা করে।তো তিনি সেই কাজ করেন।এতে করে শুধু আমার কথা শুনে সেই সময়টুক পর্দা করার জন্য গুনাহ থেকে বিরত থাকবেন। তবে সওয়াব পাবেন কি না? তা আল্লাহই ভালো জানেন।
(৬) আমার বোন বেপর্দা,কিন্তু আমি তাকে বলি আমার সাথে বাইরে বের হতে গেলে ফুল পর্দা করতে হবে।এখন সে আমার সাথে গেলে পর্দা করে যায়।এখন এখানে তো সে দুনিয়া অর্জন বা দুনিয়াবি বিষয় পেতে আমার কথা শুনে পর্দা করতেসে। এতেকরে যতক্ষণ সে পর্দাবৃত থাকবে,ততক্ষণ তার কোনো গোনাহ হবে না।