আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (136 points)
আসসালামুআলাইকুম।


আমার মা এর বয়স 55 এর উপরে। উনার মাসিক বন্ধ হয়েছে অনেক আগেই। জরায়ু তে টিউমার আছে উনার। মাসিক বন্ধ হওয়ার 4 বছর পর হঠাৎ উনার আবার মাসিক এর মত রক্ত যাওয়ার শুরু হয়েছে যেটা জরায়ু ক্যান্সার এর মত বড়ো বড় রোগ এর লক্ষণ। এখন ডক্টর তাকে জরায়ু ফেলে দেওয়ার অপারেশন এর জন্য টেস্ট দিয়েছেন। এমতাবস্থায় জরায়ু ফেলে দিলে কি গুনাহ হবে ?

তার জন্য জরায়ু রাখা তাই জীবনের জন্য ঝুঁকি। ওনার দুই সন্তান আছে আমি সহ।

2. এই যে রক্ত যাচ্ছে menopause হয়ে যাওয়ার পর, এখন তার নামাজের হুকুম কেমন হবে? এটা কে হায়েজ ধরবো ?

3. অপারেশন করা লাগলে এর পর যে রক্ত যাবে এটার ক্ষেত্রে নামাজের বিধান কি । দয়া করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আয়েসা এর সর্বোচ্ছ বয়স হল, ৫৫ বৎসর। ৫৫ বৎসরের পর যদি রক্ত আসে সেটা কি হায়েয না ইস্তেহাযা? এ সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্য হল,যদি সাধারণ হায়েযের মত লাল বা কালো রক্ত আসে তাহলে সেই রক্তকে হায়েয হিসেবে গণ্য করা হবে।এছাড়া অন্য কোনো রক্ত হলে সেটা ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য হবে।
ডাক্তার যদি আপনার আম্মুর ব্যাপারে জড়ায়ু ক্যান্সার জনিত সমস্যার কথা বলে, তাহলে জড়ায়ু কেটে ফেলা আপনার আম্মুর জন্য জায়েয হবে।

জড়ায়ু বের করার পর যদি অনিয়মিত কোনো রক্ত আসে, তাহলে সেটা ইস্তাহাযা তবে হায়েযের মত প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে আসলে, সেটা হায়েয,কেননা তখন বুঝা যাবে জড়ায়ুকে পরিপূর্ণ বের করা হয়নি।যদি জড়ায়ুকে পরিপূর্ণ বের করার পরও প্রতিমাসে কিছুদিন রক্ত যায়, এবং ডাক্তারগণ বলে থাকেন যে, এটা জড়ায়ুর রক্ত নয়, তাহলে সেটা ইস্তেহাযা।জড়ায়ু থেকে যে রক্ত আসে,কেবল সেটাই হায়েয।(কিতাবুন নাওয়াযিল-৩/২০০)

وفي المحيط البرهاني،ج٣ ص:٤٥٨
الدم المرئي بعد هذه المدة إنما يكون حيضاً إذا كان أحمر أو أسود، أما إذا كان أخضر أو أصفر لا يكون حيضاً؛ لأن يكون هذا المرئي ثبت حيضاً بالاجتهاد فلا يبطل حكم الإياس  الثابت بالاجتهاد، فعلى قول هؤلاء: يبطل الاعتداد بالأشهر، 

ف درر الحكام ج:١ص:٤٤
وَالْمُخْتَارُ أَنَّهَا إنْ رَأَتْ دَمًا قَوِيًّا كَالْأَسْوَدِ، وَالْأَحْمَرِ الْقَانِي كَانَ حَيْضًا وَيَبْطُلُ بِهِ الِاعْتِدَادُ بِالْأَشْهُرِ قَبْلَ التَّمَامِ وَبَعْدَهُ لَا وَإِنْ رَأَتْ أَصْفَرَ أَوْ أَخْضَرَ أَوْ تُرَابِيًّا فَاسْتِحَاضَةٌ. 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 285 views
0 votes
1 answer 132 views
...