ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আয়েসা এর সর্বোচ্ছ বয়স হল, ৫৫ বৎসর। ৫৫ বৎসরের পর যদি রক্ত আসে সেটা কি হায়েয না ইস্তেহাযা? এ সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্য হল,যদি সাধারণ হায়েযের মত লাল বা কালো রক্ত আসে তাহলে সেই রক্তকে হায়েয হিসেবে গণ্য করা হবে।এছাড়া অন্য কোনো রক্ত হলে সেটা ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য হবে।
ডাক্তার যদি আপনার আম্মুর ব্যাপারে জড়ায়ু ক্যান্সার জনিত সমস্যার কথা বলে, তাহলে জড়ায়ু কেটে ফেলা আপনার আম্মুর জন্য জায়েয হবে।
জড়ায়ু বের করার পর যদি অনিয়মিত কোনো রক্ত আসে, তাহলে সেটা ইস্তাহাযা তবে হায়েযের মত প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে আসলে, সেটা হায়েয,কেননা তখন বুঝা যাবে জড়ায়ুকে পরিপূর্ণ বের করা হয়নি।যদি জড়ায়ুকে পরিপূর্ণ বের করার পরও প্রতিমাসে কিছুদিন রক্ত যায়, এবং ডাক্তারগণ বলে থাকেন যে, এটা জড়ায়ুর রক্ত নয়, তাহলে সেটা ইস্তেহাযা।জড়ায়ু থেকে যে রক্ত আসে,কেবল সেটাই হায়েয।(কিতাবুন নাওয়াযিল-৩/২০০)
وفي المحيط البرهاني،ج٣ ص:٤٥٨
الدم المرئي بعد هذه المدة إنما يكون حيضاً إذا كان أحمر أو أسود، أما إذا كان أخضر أو أصفر لا يكون حيضاً؛ لأن يكون هذا المرئي ثبت حيضاً بالاجتهاد فلا يبطل حكم الإياس الثابت بالاجتهاد، فعلى قول هؤلاء: يبطل الاعتداد بالأشهر،
ف درر الحكام ج:١ص:٤٤
وَالْمُخْتَارُ أَنَّهَا إنْ رَأَتْ دَمًا قَوِيًّا كَالْأَسْوَدِ، وَالْأَحْمَرِ الْقَانِي كَانَ حَيْضًا وَيَبْطُلُ بِهِ الِاعْتِدَادُ بِالْأَشْهُرِ قَبْلَ التَّمَامِ وَبَعْدَهُ لَا وَإِنْ رَأَتْ أَصْفَرَ أَوْ أَخْضَرَ أَوْ تُرَابِيًّا فَاسْتِحَاضَةٌ.