আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,শাইখ।
আমি আলহামদুলিল্লাহ শরীয়াহ মেনে চলার চেষ্টা করি,আল্লাহ যতটুকু হিদায়াহ দিয়েছেন। এমনকি মাকরুহ কাজ থেকেও বিরত থাকার চেষ্টা করি,মোটকথা সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকি যেন কোনো শরীয়াহবিরোধী কাজ বা গুনাহ না হয়। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া এজন্য।
সম্প্রতি আমি যেটা করি,আল্লাহর কাছে কোনো জরুরি কিছু চাওয়ার পর তা যদি নসিব না হয়,আমি এভাবে আল্লাহর সাথে বলি,"তুমি আমাকে দিলা না যেতে আম্মুর কাছে,দেখা করতে দিচ্ছো না কেন,এতো দুয়া করলাম,তুমি শুনছো না কেন।তুমি আমাকে এতো কষ্ট দিলা? তুমি যদি আমার কথা(দুয়া) না-ই শোনো, তাহলে দুয়া করবো না। তুমিই একমাত্র আমার ডাক শোনার ছিলা,তোমাকে ডাকা তাহলে বন্ধ করে দিবো,দুয়া করব না আর। যদি এমন হয়,নিরাশা আমাকে ঈমান নষ্ট করে দিতে থাকে,বা আমি দ্বীন থেকে দূরে চলে যাই,তখন কি হবে বলো,যেহেতু দুয়া কবুল না হলে মানুষ হতাশ হয়ে দ্বীনহারা হতে পারে।"
এরকম দুইবার হয়েছে। অনেক করে অনেক করে,এতোবার চাওয়ার পরও হালাল দুয়া কবুল হয়নি,আর আমি রাগ দেখিয়েছে,অভিমান করেছি,বলেছি যে,করলা না তো দুয়া কবুল?আচ্ছা ঠিক আছে,আমি আর আশা করবো না। আশাই ছেড়ে দিলাম। এরকম অনুযোগ, অভিযোগ, রাগ,আর অভিমান যদি আল্লাহর সাথে করি,
১)এতে কাফির হয়ে গেছি বা ইমান কি চলে গেছে আমার? ২)আমি বিবাহিতা, তো আমার বৈবাহিক সম্পর্ক কি নষ্ট হয়ে গেছে,যদি ইমানহানি হয়ে থাকে?
এখন ইবাদাতেও মনোযোগ আসছে না,মনে হচ্ছে,আল্লহ আমার উপর রাগ,তাই দুয়া কবুল করেন না আর আমি যদি যেহেতু রাগ অভিমানে অনেক কথা আল্লাহকে বলি নারাজ হয়ে তার উপর(আস্তাগফিরুল্লাহ) তাহলে আমার ইবাদাতও কবুল না করেন যদি,তাই মনোযোগ আসে না ইবাদাত এ।