بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/44371/ নং
ফাতাওয়ায় বলা হয়েছে যে, হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ ، عَنْ رَسُولِ
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ
وَتَعَالَى كَتَبَ الْإِحْسَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ ، فَإِذَا قَتَلْتُمْ
فَأَحْسِنُوا الْقِتْلَةَ ، وَإِذَا ذَبَحْتُمْ فَأَحْسِنُوا الذَّبْحَ ، وَلْيُحِدَّ
أَحَدُكُمْ شَفْرَتَهُ وَلْيُرِحْ ذَبِيحَتَهُ " . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
শাদ্দাদ
ইবনু আওস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক জিনিসের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং
যখন তোমরা কোন ব্যক্তিকে (ক্বিসাস ইত্যাদিতে) হত্যা করবে, তখন তাকে উত্তম পদ্ধতিতে হত্যা করবে। আর
যখন কোন প্রাণীকে যাবাহ করবে, তখন তাকে উত্তমরূপেই যাবাহ করবে। তোমরা অবশ্যই ছুরি ধার দিয়ে
নেবে এবং যাবাহকৃত পশুকে শান্তি দেবে।
সহীহ :
সহীহ মুসলিম ৫১৬৭, সহীহ ইবনু
হিব্বান ৫৮৮৪, সুনানুন্
নাসায়ী আল কুবরা ৮৬৫৮, শু‘আবুল
ঈমান ১১০৭১, আবূ দাঊদ
২৮১৫, ইবনু মাজাহ ৩১৭০, দারিমী ১৯৭০, নাসায়ী ৪৪১২, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৬৯৭৭, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৬৫০২, আল মু‘জামুল কাবীর ৭১১৪, মুসনাদে আহমাদ ১৭১১৬, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ১০৮৯, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৫৫৯, মুসান্নাফ ‘আবদুর রায্যাক ৮৬০৪, মুসান্নাফ আবী শায়বাহ্ ২৭৯৩১।
★কোন প্রাণীকে কষ্ট দিয়ে হত্যা
করা যাবে না। তবে মাছকে
যবেহ করা শর্ত নয়। বরং যে পন্থায় মাছ কাটলে সেটি কষ্ট কম পাবে সে পন্থায় মাছ কাটতে
হবে।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মাছকে যবেহ
করা শর্ত নয়,কেনো? এ সংক্রান্ত জানুনঃ
হাদীস শরীফে
এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ
الرَّحْمَنِ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " أُحِلَّتْ
لَنَا مَيْتَتَانِ الْحُوتُ وَالْجَرَادُ " .
আবদুল্লাহ
ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাদের
জন্য দু’টি মৃত জীব হালাল করা হয়েছেঃ মাছ ও ট্টিড্ডি। (ইবনে মাজাহ ৩২১৮)
মাছ জবাই
করতে হয় না,মৃত মাছ
খাওয়া যায়। এর কারণ হলো, সেটার মূল
গঠনের ভিত্তি হলো পানি। পানি স্বভাবগতভাবে পবিত্র এবং অন্যকে পবিত্রকারী। সুতরাং যেভাবে
নাপাকি পানির মাঝে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না, তেমনি পানির প্রাণীর রুহ পৃথক হলে তাতে
নাপাকের প্রভাব বিস্তার করে না এবং জবাই করার প্রয়োজন হয় না।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মাছকে জবাই
না করে, জীবিত অবস্থায় কাটতে হলে যে
পন্থায় মাছ কাটলে সেটি কষ্ট কম পাবে সে পন্থায় মাছ কাটতে হবে। তবে কোনো মাছ জিবিত কাটার
ক্ষেত্রে যদি অনেকটা কষ্টকর হয়,তাহলে সেই মাছের ক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন
করা যাবে।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মাছ যেমন শিং, মাগুর, কৈ, সৌল এ জাতীয় মাছ ক্রয় করে আনার পর জীবিত
অবস্থায় কাটতে হলে কাটা অনেক কষ্টকর হয়ে যায়,তাই জীবিত অবস্থায় কাটার প্রিপারেশন হিসেবে লবণ মাখিয়ে
মেরে ফেলা জায়েজ আছে।
উল্লেখিত
ছুরতে ফ্রিজে রাখার পদ্ধতি মাছের জন্য বেশি কষ্টকর মনে হচ্ছে,এ পদ্ধতি অবলম্বন করে সেই মাছ খাওয়া যদিও
জায়েজ,তবে এ পদ্ধতি অবলম্বন না করার
পরামর্শ থাকবে।