আসসালামুআলাইকুম, হুজুর আশা করি ভালো আছেন।
আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ যদি আমার প্রশ্নটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার। আমি দু রাকাত নামাজ পড়ে আপনার জন্য দুয়া করবো ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ উত্তম প্রতিদানকারী।
আমি আইবিএস নামক পায়খানা জনিত একটি রোগে ভুগছি। টয়লেট নরম হয়, মাঝেমাঝে ডায়রিয়া, পেটে ও পায়ুপথে ভুটভাট করে, গ্যাস হয়। এই রোগের কোনো ঔষধ নেই। টেনশন, মানসিক চাপ, ঘুম কমের ফলে এটি হয়। এখন সমস্যা অযু থাকা নিয়ে।
মাঝেমধ্যে আসরের থেকে, বেশিরভাগ সময় মাগরিব ও এশার থেকে পায়ুপথে ভুটভাট শুরু হয়ে যায়। এই ভুটভাট বায়ু হয়ে বের হয়না। কিছু বায়ু পায়ুপথে কাটার মত আটকে থাকে, চাপ দিলেও বের হয়না। পায়ুপথের এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করে। আবার একজায়গায় স্থির হয়, আবার দৌড়াদৌড়ি করে।
ফজরের নামাজে সময় সবচেয়ে বেশি হয়। নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়।
★অযুর পরে এই ভুটভাট থেকে কিছু বায়ু, সূক্ষ্ণ বায়ু পায়ুপথের ছিদ্রে প্রবেশ করে এটাই আমি বুঝতে পারি। যেই বায়ু বের হয়ে যায় বা যাবে বুঝতে পেরে আমি অযু ভেঙেছে ধরি।
ভুটভাটের ফলে পায়ুপথ স্বাভাবিকভাবে একটা চাপ থাকে, বা বায়ুর দৌড়াদৌড়ির কারনে পায়ুপথের বাইরের মাংসপেশি, লোম কেপে কেপে উঠে। ফলে সন্দেহের মধ্যে পড়ে যায় অযু আছে কি নাই। নামাজের মধ্যে হলে নামাজের খুসুবুঝু থাকেনা, আমার পা কাপা শুরু হয়ে যায়৷ কারন ওয়াসাওয়াসা রোগী হিসেবে বারবার অযু করা আমার জন্য কঠিন। আবার আমি কি মাজুর কিনা সেটা যাচাই করিনি। তবে আমার মনে হয় মাজুর হবোনা। এই সম্পর্কে আরেকটি প্রশ্ন থাকবে পরে। এই সমস্যার জন্য আমার অনেক নামাজ কাজা হয়ে যায়।
লেখা বড় হতে পারে বলে আরো কিছু কষ্টের কথা লিখতে পারিনি। বিশেষ করে নামাজ সুন্দরভাবে না পড়তে পারার কষ্ট।
এখন আমি কি করতে পারি হুজুর?????
এছাড়া প্রশ্ন
১/আমি কি আমার উপরে বর্ণিত সমস্যার জন্য প্রবল ধারনার ওপর নির্ভর করে আমল করেতে পারবো? যেই মাসয়ালা নামাজের মধ্যে করা হয়। অর্থাৎ পায়ুপথে ভুটভাট ও বায়ুর চাপে যদি প্রবল ধারনা যদি বেশি হয় অযু ভাঙলো তাহলে অযু ভাঙা ধরবো। আর যদি প্রবল ধারনা হয় অযু ভাঙেনি, তাহলে না।