আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (46 points)
প্রশ্ন  (১) আসসালামু আলাইকুম। যদি কোন লোক ভাবে ব্যবসার প্রতিষ্ঠানে কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার যার মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন করা হয় সেটা  অন করার জন্য তার সুইস টি যদি পা দিয়ে অন করা হয় তাহলে  অমর্যাদা বা অসম্মান হতে পারে  হতে পারে এই ভেবে পা দিয়ে সুইচ অন করতে গিয়ে তখনই আবার ভাবে এতে অসম্মানের কি তাই পা দিয়ে কম্পিউটারে সুইচ অন করেছে এতে কি কোন সমস্যা হয়েছে?

প্রশ্ন (২) কোন কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে হয় তাই বিসমিল্লাহ বলে কম্পিউটারের সুইচ পা দিয়ে অন করে তাহলে কি কোন গুনাহ হবে কি? কম্পিউটার সুইচটি পায়ের কাছে অর্থাৎ  টেবিল থেকে নিচে।
প্রশ্ন (৩) বড় ভাই অর্থ উপার্জন বেশি করে তাই সে প্রতি মাসে বাবা মা কে অনেক  টাকা দেয় আর ছোট ভাই খুবই অল্প টাকা উপার্জন  করে তারপরও  তার  ভগ্নিপতির কাছে পাঁচ লাখ টাকা ঋীণ আছে তাই বাবা মা  কে বেশি টাকা দিতে পারে না আর এর জন্য বাবা মা ছোট ছেলেকে বেশি ভালোবাসে না আর ছোট ছেলের  বউকে দিয়ে বেশি কাজ  করায় এমনকি ঠান্ডা লাগলেও তাকে দিয়েই বেশি কাজ করায়। খাবারের সময় বড় ছেলের বউকে ডাকে, তাঁর বাবা আসলে অনেক কদর করে কিন্তু ছোট ছেলের বউ এর বাবা আসলে তাকে ভালো করে আপ্যায়ন করে না। আরও অনেক খারাপ  আচরণ  করে।ছোট ছেলের বউ তার শশুর শাশুড়ী  কে অনেক ভালবাসে সেবা যত্ন করে আর এর জন্য বড় ছেলে ও তার বউ হিংসা করত আর যখন থেকে  তারা বাবা মা কে  বেশি  করে  টাকা দেয় তখন থেকে  এরকম  আচরণ করে। ছোট ছেলে তার মা কে কোরআন হাদীস  দিয়ে ইংগিতে বোঝইছে অনেকবার আবার  বোঝাতে গেলে মা এর মন খারাপ হয়। এরুপ  অবস্থায় ছোট ছেলের মন যদি বাবা মা এর প্রতি দিন দিন ভালবাসা কমে যায় তাহলে কি কোন গুনাহ হবে কি?    হুজুর  এরুপ অবস্থায় ছোট ছেলে কি করবে দয়া করে জানাবেন।
প্রশ্ন (৪) মনে করুন শশুর  যদি প্রকৃতপক্ষে অন্যায়ভাবে তার ছেলের বউ কে মারধর করে তাহলে ছেলে কি তার  বাবার উপর কেসাস করতে পারে কি? মানে বাবার গায়ে হাত  উঠাতে পারে কি? ইসলামে তো কেসাস এর বিধান রয়েছে।  হুজুর এমন প্রশ্ন করতে  বাধ্য হয়েছি  শুধুইমাত্র জানার জন্য যে ইসলাম এবাপারে কি বলে? প্রশ্নগুলো ক্রম অনুযায়ী  দয়া করে জানাবেন। আসসালামু আলাইকুম।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
এতে কোনো সমস্যা হয়নি।

(০২)
এতে গুনাহ হবেনা।
তবে আদবের খেলাফ। 
এক্ষেত্রে হাত দিয়ে সুইচ দেয়ার পরামর্শ থাকবে। 

(০৩)
পরিবারের জন্য খরচ করা,মা বাবার ভরনপোণের জন্য খরচ করা উত্তম কাজ।
মা বাবা নিজেদের ভরনপোষণের ক্ষেত্রে অসমর্থ হলে সন্তানদের জন্য তাদের ভরনপোষণের খরচ দেওয়া শুধু শরীয়তেই নয়  এটা মানবতার দিক লক্ষ্য করেও জরুরি।

হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষের সর্বোত্তম মুদ্রা সেটি, যা সে তার পরিবারের খরচে ব্যয় করে।’ (মুসলিম : হাদিস ৯৯৪) 

অন্য একটি হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি তার পরিবারে যে খরচ করে তা-ও সদকাস্বরূপ, অর্থাৎ এতেও সে সদকার সওয়াব পাবে।’ (বুখারি : হাদিস ৪০০৬)

মা-বাবা  ভরণ-পোষণের অধিকারী হওয়ার জন্য শর্ত হলো দুটি।
★এক. তাঁরা এমন দরিদ্র হতে হবে যে তাঁরা নিজের মালিকানার সম্পদে চলতে অক্ষম। এখন কথা হলো, যদি তাঁরা উপার্জনের শক্তি রাখে, তাহলেও তাঁদের সন্তানদের ভরণ-পোষণ দিতে হবে কি না? এ ক্ষেত্রে বিধান হলো, তাঁদের উপার্জনের শক্তি থাকলেও যদি তাঁদের কাছে চলার মতো নগদ টাকাকড়ি না থাকে, তাঁদের সন্তানদের ভরণ-পোষণ দিতে হবে। তাদের সন্তানরা এ কথা বলতে পারবে না যে আপনি তো উপার্জনে সক্ষম, আপনি নিজে উপার্জন করে চলুন। তবে যদি তাঁরা ধনী হন, তথা তাঁদের মালিকানায় নগদ এমন সম্পত্তি থাকে, যা দ্বারা তাঁরা শান্তিতে কালাতিপাত করতে পারেন, তাহলে সন্তানদের ওপর তাঁদের ভরণ-পোষণ দেওয়া ওয়াজিব নয়।

★দুই. সন্তান-সন্ততি সামর্থ্যবান ও উপার্জনে সক্ষম হতে হবে। তাদের সামর্থ্যবান হওয়ার পরিমাণ হলো, তাদের মালিকানার সম্পত্তি বা উপার্জনকৃত আয়ের দ্বারা নিজের ও নিজের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততির স্বাভাবিক ভরণ-পোষণের পর অতিরিক্ত সম্পদ থাকতে হবে। অন্যথায় তাদের উপার্জনকৃত আয়ের মধ্য থেকে যদি তার নিজের ও স্ত্রী বা সন্তান-সন্ততির ভরণ-পোষণের অতিরিক্ত সম্পদ না থাকে, তাহলে মা-বাবা ও ঊর্ধ্বতন আত্মীয়ের ভরণ-পোষণ দেওয়া ওয়াজিব নয়। যদিও এ ক্ষেত্রে উত্তম হলো, কষ্ট হলেও যথাসাধ্য মা-বাবারও ভরণ-পোষণের খরচ চালিয়ে যাবে। (তাবঈনুল হাকায়েক : ৩/৬৪, রদ্দুল মুহতার : ২/৬৭৮)

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘খরচের ব্যাপারে তুমি আগে নিজের প্রয়োজনীয় খরচের দায়িত্বশীল, তারপর তোমার স্ত্রীর, তারপর সামর্থ্য হলে তোমার নিকটাত্মীয়ের খরচ তোমার ওপর বর্তাবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস ৯৯৭)

আরো জানুনঃ- 
,
প্রশ্নের বিবরণ মতে মা বাবার ভরনপোষণ, তাদেরকে টাকা দেয়া ছোট ছেলের উপর আবশ্যক নয়।
তাই ছোট ছেলে কোনো টাকা না দিলেও তাতে শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো সমস্যা হবেনা। 
সুতরাং এক্ষেত্রে চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে।
চাইলে দয়া করে টাকা দিতেও পারে নাও দিতে পারে,নিজ ঋন পরিশোধ করা আবশ্যক, তাই এদিকে পূর্ণ মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ থাকবে। 

(০৪)
না,ছেলে বাবাকে মারধর করতে পারবেনা।
আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...