ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/46246/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
কারোর নিকট বান্দার হক পাওনা থাকলে,প্রথমে উক্ত
হক পরিশোধের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে। সাধ্যমত চেষ্টা করার পরও যদি সেই হককে আদায়
করা সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত প্রাপ্য হক্বকে সেই ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকাহ করে
দিবে এবং আল্লাহ তা'আলার নিকট খালিছ নিয়তে তাওবাহ করবে। আল্লাহ তা'আলা কারো প্রতি
সন্তুষ্ট হয়ে গেলে নিজ পক্ষ্য থেকে বান্দার হককে আদায় করে দিবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا
آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ
الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه
وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ
فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ
دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ
وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ
عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের
জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার
পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে
তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের
পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ
২২৭০,
ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
https://www.ifatwa.info/8668 নং ফাতাওয়াতে বলেছি যে,
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয়
না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ
ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ
ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ
ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস
করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা
নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা
নিসা-২৯)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি নিজে সরাসরি না দিয়ে
অন্য কারো (মাহরাম মহিলার) মাধ্যমে বিকাশ
করে তার কাছে ঐ ২ শত টাকা পৌছানোর চেষ্টা করবেন। কারণ, আপনি নিজে তা পৌছাতে গেলে আবার ফিতনার আশংকা রয়েছে। আর যদি এটা সম্ভব না হয় তাহলে অন্য কোনো অপরিচিত নাম্বার থেকে তার নাম্বারে ফ্লেক্সিলোড
করে দিলেও হবে ইনশাআল্লাহ।
২-৩. জী, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ইবাদত কবুল হবে
ইনশাআল্লাহ। তবে খুব দ্রুত ঐ হকগুলো আদায় করে দিবেন। কারণ আল্লাহ তায়ালা বান্দার
হক মাফ করেন না।
উল্লেখ্য যে, যাদের যাদের হক নষ্ট করেছেন হিসেব করে করে তাদের সবার নিকট টাকা
পৌছিয়ে দিবেন। আর লজ্জাবোধ করলে হাদিয়া নামে হলেও দিবেন। পৌছিয়ে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা
করার পরও যদি পৌছানো সম্ভব না হয়,
তখন আপনি তাদের নামে উক্ত টাকা গুলি সদকাহ করে দিবেন। পাশা পাশি
তওবাও করবেন।
উল্লেখ্য যে, শুধু তওবা করলে হবে না। বরং তাদের সবার নিকট টাকা পৌছিয়ে দিতে
হবে। আর এটা সম্ভব না হলে তাদের নামে উক্ত টাকা গুলি সদকাহ করে দিতে হবে।