আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/কেউ যদি মনে মনে শপথ নেয় যে সে ব্যক্তি ওই কাজটা করবেনা, অর্থাৎ একটা কাজকে নির্দিষ্ট করে কেউ যদি শপথ নেয় যে সে ব্যক্তি ওই কাজটা করবেন।এখন শপথ নেওয়ার কারনে কি উক্ত কাজটা তার জন্য হারাম হয়ে যাবে?

২/যে মুহুর্তে শপথ নেওয়া হয়েছে সে মুহুর্তের কথা স্মরন আছে কিন্তু মুখে উচ্চারণ করে শপথ নিয়েছে নাকি মনে মনে শপথ নিয়েছে সেটা একদম নিশ্চিত হতে পারতেছিনা,আমি পরিপুর্নভাবে নিশ্চিত নই এবং এটাও মনে হচ্ছে যে আমি হয়তো মুখে উচ্চারণ করে শপথ নিয়েছি কিন্তু এখন আমার সন্দেশ হচ্ছে যে মনে মনে নিয়েছি নাকি মুখে উচ্চারণ করে নিয়েছি।শপথ নিয়েছি কিন্তু নিশ্চিত না যে মনে মনে নাকি উচ্চারনে শপথ নিয়েছি,এখন আমার করনীয় কি?

৩/মনে মনে শপথ নিলে সেটা কি শপথ হিসেবে গন্য হবে?

৪/শপথ ভংগের পরে কেউ যদি কাফফারা না দিয়ে তওবা করে তাহলে কি তার তওবা করাটা উচিত হয়েছে নাকি কাফফারা দিতেই হবে?

৫/যে কাজটা না করার শপথ নিয়েছি সে কাজটা কি শপথ নেওয়ার কারনে আমার জন্য হারাম হয়ে গেছে?

৬/যে কাজটা না করার জন্য শপথ নিয়েছি পরে যদি দেখি যে ওই কাজটা করা আমার জন্য ভালো হবে অথবা ওই কাজটা করলে তো কোনো ক্ষতি হচ্ছেনা তাহলেও কি কাফফারা দিতে হবে, আর কাফফারা না দিয়ে যদি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেই?


পুর্বে তালাক বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম, আপনাদের উত্তর পেয়ে অনেক পেরেশানি মুক্ত হয়েছি,আল্লাহ আপনাদের ভালো করুক(আমিন)

1 Answer

0 votes
by (564,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
কেউ যদি মনে মনে শপথ নেয় যে সে ব্যক্তি ওই কাজটা করবেনা, অর্থাৎ একটা কাজকে নির্দিষ্ট করে কেউ যদি শপথ নেয় যে সে ব্যক্তি ওই কাজটা করবেন।

এখন এভাবে মনে মনে শপথ নেওয়ার কারনে উক্ত কাজটা তার জন্য হারাম হয়ে যাবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে প্রবল ধারনার উপর আমল করবেন।

আপনার যদি প্রবল ধারনা হয় যে আপনি আল্লাহর কসম করে বলেছেন যে অমুক কাজ করবেননা,তবেই এট শপথ হবে।

নতুবা নয়।

(০৩)
মনে মনে শপথ নিলে সেটা শপথ হিসেবে গন্য হবেনা।

(০৪)
তওবা করা ঠিক আছে,তবে তাকে কাফফারা দিতেই হবে।

(০৫)
না,প্রশ্নের বিবরণ মতে হারাম হয়ে যায়নি।

(০৬)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এটি শপথ হয়নি।
তাই শপথ ভঙ্গ করলে কাফফারা দিতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...