আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম, আফওয়ান,আগেই ক্ষমা চেয়ে নিতেছি,একইরকম প্রশ্ন আরেকবার করার জন্য। (উত্তর টা জানা খুবই জরুরি)
আমার বাবা এবং ২ ভাই এর নামে ৯০ লাখের লোন আছে,যেটা বাসা ভাড়া থেকে প্রতি মাসে শোধ হচ্ছে, যেটা শোধ হতে ২০ বছর লাগবে। আমার বাবা এই লোন নিয়ে খুবই অনুতপ্ত কিন্তু দ্রুত শোধ করার কোন উপায় নাই।এই বছর, আমার বাবা হজ্জ করতে চাচ্ছেন,আমার বাবার উপরে কি হজ্জ ফরয নয়?

আর যদি ফরজও না হয় তাহলে হজ্জ করা  কি জায়েজ হবে না?

যদি হজ্জ করেন তাহলে কি সওয়াব পাবেন না?

এখন আমার বাবার করনিয় কি?

1 Answer

0 votes
by (566,640 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরিফে ইরশাদ করেনঃ   
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
 (তরজমা) মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহরউদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিতযে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।-সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এটি দীর্ঘমেয়াদী ঋণ। যা প্রতি মাসে একটি নির্ধারিত পরিমাণ আদায় করতে হয়।
এভাবে ২০ বছর শোধ হবে। 
,
হজ্ব কেন ফরজ হয়? বা কার উপর ফরজ হয়? এটি ভাল করে জানা থাকলে আপনি নিজেই নির্ণিত করে নিতে পারবেন উক্ত ব্যক্তির উপর হজ্ব ফরজ হবে কি না?

★শরীয়তের বিধান হলো,
পরিবারের খরচ, বাসা বাড়ির খরচ, এছাড়া প্রয়োজনীয় খরচ ও হজ্বকালীন সময়ে আবশ্যক ঋণ পরিশোধ করার পর যদি ব্যক্তির হাতে এ পরিমাণ অর্থ থাকে, যা দিয়ে হজ্বে গমণ ও ফিরে আসার খরচ হয়ে যাবে, উক্ত ব্যক্তির উপর হজ্ব আবশ্যক।
,
সুতরাং আপনার বাবার উপর হজ্বকালীন সময়ে যতটুকু ঋণ আদায়ে বাধ্য ততটুকু পরিশোধ পরিমান অর্থ থাকার পর যদি পরিবারের খরচ ও অন্যান্য আবশ্যকীয় খরচ ছাড়াও হজ্বে গমণ ও আসার অর্থ বাকি থাকে, তাহলে আপনার বাবার উপর হজ্ব আদায় করা আবশ্যক।
তাকে হজ্জ আদায় করতে হবে,এবং এতে তিনি ছওয়াব পাবেন।

একসাথে বিশ বছরের ঋণকে আলাদা করে হিসেব করবে না। বরং হজ্বকালীন সময়ে যতটুকু ঋণ আদায় করতেই হবে, শুধু এতটুকু ঋণ বাদ দিয়ে হিসেব করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...