জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الْخَطَّابِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا رُزَيْقٌ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الأَلْهَانِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " صَلاَةُ الرَّجُلِ فِي بَيْتِهِ بِصَلاَةٍ وَصَلاَتُهُ فِي مَسْجِدِ الْقَبَائِلِ بِخَمْسٍ وَعِشْرِينَ صَلاَةً وَصَلاَتُهُ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي يُجَمَّعُ فِيهِ بِخَمْسِمِائَةِ صَلاَةٍ وَصَلاَةٌ فِي الْمَسْجِدِ الأَقْصَى بِخَمْسِينَ أَلْفِ صَلاَةٍ وَصَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي بِخَمْسِينَ أَلْفِ صَلاَةٍ وَصَلاَةٌ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ بِمِائَةِ أَلْفِ صَلاَةٍ " .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যদি তার ঘরে সলাত আদায় করে, তাহলে তার এ সলাত এক সলাতের সমান। আর যদি সে এলাকার পাঞ্জেগানা মাসজিদে সলাত আদায় করে তাহলে তার এই সলাত পঁচিশ সলাতের সমান। আর সে যদি জুমু‘আহ্ মাসজিদে সলাত আদায় করে তাহলে তার সলাত পাঁচশত সলাতের সমান। সে যদি মাসজিদে আক্বসা (আকসা) অর্থাৎ- বায়তুল মাক্বদিসে সলাত আদায় করে, তার এ সলাত পঞ্চাশ হাজার সলাতের সমান। আর যদি আমার মাসজিদে (মাসজিদে নাবাবী) সলাত আদায় করে তার এ সলাত পঞ্চাশ হাজার সলাতের সমান। আর সে যদি মাসজিদুল হারামে সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে তবে তার সলাত এক লাখ সলাতের সমান।
(ইবনে মাজাহ্ ১৪১৩,মিশকাতুল মাসাবিহ ৭৫২. আল জামি‘ ৭৫৬,তালীকুর রগীব ১৩৬)
,
সুতরাং জামে মসজিদে নামাজ পড়লে ছওয়াব বেশি।
তবে যদি মহল্লার মসজিদে যদি আযান হয়ে যায়,তাহলে বিশেষ প্রয়োজন ব্যাতিত ছওয়াবে বেশির কারনে অন্য মসজিদে যাওয়া যাবেনা।
,
(০২)
জুমআর দিন গোসল করা সুন্নাত।
ওয়াজিব নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ الْجَرْجَرَائِيُّ، حِبِّي حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، حَدَّثَنِي حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، حَدَّثَنِي أَبُو الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنِي أَوْسُ بْنُ أَوْسٍ الثَّقَفِيُّ، سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : " مَنْ غَسَّلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَاغْتَسَلَ ثُمَّ بَكَّرَ وَابْتَكَرَ وَمَشَى وَلَمْ يَرْكَبْ وَدَنَا مِنَ الإِمَامِ فَاسْتَمَعَ وَلَمْ يَلْغُ كَانَ لَهُ بِكُلِّ خُطْوَةٍ عَمَلُ سَنَةٍ أَجْرُ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا "
আওস ইবনু আওস আস-সাক্বা্ফী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি জুমুআর দিন উত্তম রুপে সুন্নত তরীকায় গোসল করবে, প্রত্যুষে ঘুম থেকে জাগবে এবং জাগাবে, জুমুআর জন্য বাহনে চড়ে নয় বরং পায়ে হেঁটে মাসজিদে যাবে এবং কোনরূপ অনর্থক কথা না বলে ইমামের নিকটে বসে খুতবা শুনবে, তার (মাসজিদে যাওয়ার) প্রতিটি পদক্ষেপ সুন্নাত হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে সে এক বছর যাবত সিয়াম পালন ও রাতভর সলাত আদায়ের (সমান) সাওয়াব পাবে।
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ গোসলের ফাযীলাত, অনুঃ জুমু‘আহর দিনে গোসল, হাঃ ৪৯৬), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ জুমু‘আহ, অনুঃ জুমু‘আহর দিনে গোসল করার ফাযীলাত, হাঃ ১৩৮০), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ সালাত অনুঃ জুমু‘আহর দিনে গোসল, হাঃ ১০৮৭), আহমাদ (৪/১০), ইবনু খুযাইমাহ (১৭৬৭) সকলেই আবূল আশ‘আস সূত্রে।
,
يسن الإغتسال لأربعة أشياء صلواة الجمعة و صلواة العيدين والاحرام و للحاج في عرفة بعد الزوال
যার সারমর্ম হলো জুমআর নামাজ,২ ঈদের নামাজ,ইহরাম বাধা,হাজীর জন্য আরাফার দিন সূর্য ঢলে যাওয়ার পর গোসল করা সুন্নাত।
(নুরুল ইযাহ ৪১. মাকতাবাতুল ফাতহ বাংলাদেশ)