আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট যখন কোন ঋণী ব্যক্তির জানাযা উপস্থিত করা হ’ত, তখন তিনি জিজ্ঞেস করতেন,
هَلْ تَرَكَ لِدَيْنِهِ فَضْلاً
‘সে তার ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত মাল রেখে গেছে কি?’ যদি তাঁকে বলা হ’ত যে, সে তার ঋণ পরিশোধের মতো মাল রেখে গেছে। তখন তার জানাযার ছালাত আদায় করতেন। নতুবা বলতেন, صَلُّوْا عَلَى صَاحِبِكُمْ ‘তোমাদের সাথীর জানাযা আদায় করে নাও’।
(বুখারী হা/২২৯৮; মুসলিম হা/১৬১৯; মিশকাত হা/২৯১৩।)
অপর বর্ণনায় জাবের (রাঃ) বলেন,
كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُصَلِّي عَلَى رَجُلٍ عَلَيْهِ دَيْنٌ،
‘নবী কারীম (ছাঃ) ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির জানাযা ছালাত আদায় করতেন না’।
(নাসাঈ হা/১৯৬২; মুছান্নাফ আব্দুর রায্যাক হা/১৫২৫৭, সনদ ছহীহ।)
মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনে জাহশ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা মসজিদের চত্বরে অবস্থান করছিলাম, যেখানে জানাযা রাখা হ’ত। রাসূল (ছাঃ)ও আমাদের মধ্যে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি মাথা উঠালেন এবং আসমানের দিকে দৃষ্টিপাত করলেন। অতঃপর দৃষ্টি অবনত করে ললাটের উপর হাত রেখে বললেন, سُبْحَانَ اللهِ سُبْحَانَ اللهِ مَاذَا نَزَلَ مِنَ التَّشْدِيدِ ‘সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! কী কঠোরতাই না অবতীর্ণ হ’ল!’ বর্ণনাকারী বলেন, আমরা সে দিন ও রাত এ ব্যাপারে চুপ থাকলাম। তবে আমরা একে কল্যাণকরই মনে করছিলাম। রাবী মুহাম্মাদ বলেন, পরের দিন সকালে আমি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে জিজ্ঞেস করলাম, কি কঠোরতা অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি বললেন,
فِى الدَّيْنِ وَالَّذِىْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ رَجُلاً قُتِلَ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ ثُمَّ عَاشَ ثُمَّ قُتِلَ فِىْ سَبِيْلِ اللهِ ثُمَّ عَاشَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ مَا دَخَلَ الْجَنَّةَ حَتَّى يُقْضَى دَيْنُهُ-
‘ঋণের ব্যাপারে কঠোরতা অবতীর্ণ হয়েছে। ঐ সত্তার কসম! যাঁর হাতে মুহাম্মাদের জীবন। কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহর পথে শহীদ হয়ে পুনরায় জীবন লাভ করে, আবার শহীদ হয়ে পুনরায় জীবন লাভ করে, আবার শহীদ হয়ে জীবিত হয়, অথচ তার উপর ঋণ থাকে। তাহ’লে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তার ঋণ পরিশোধ করা হয়’।
(মুসনাদে আহমাদ হা/২২৫৪৬; মিশকাত হা/২৯২৯, ছহীহুত তারগীব হা/১৮০৪।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
তবে টাকা পরিশোধের নিয়ত থাকলে ও সামর্থ্য থাকলে এতে সমস্যা নেই,মারা গেলে বিষয়টি ওসিয়ত করে যাবে।