জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
বিবাহের পূর্ব পাত্র পাত্রীর এমন রোগ যাহা তাদের বৈবাহিক সম্পর্কে একে অপরের হক আদায়ে ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,বা যার চিকিৎসা খুবই কঠিন।
তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত রোগ গোপন করা যাবেনা।
এক্ষেত্রে রোগটি গোপন করলে এটি ধোকা দেওয়া হবে,যাহা জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★আর যদি রোগটি হালকা হয়,সেক্ষেত্রে সেই রোগ গোপন করা যাবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এ রোগটি যদি বিবাহ পরবর্তী আপনার নিয়মিত জীবনযাপনে কোনো প্রভাব না রাখে,স্বামীর হক আদায়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে, এক্ষেত্রে আপনার যদি প্রবল ধারনা হয় যে এই রোগের কারনে স্বামীর হক আদায়ে কোনো ত্রুটি হবেনা, সেক্ষেত্রে রোগটি গোপন করতে পারবেন।