আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,617 views
in সালাত(Prayer) by (49 points)
edited by
১.আজ ফজরে জামাতে ১ রাকাত সালাত আদায়ের পর আমার ওযু নষ্ট হয়ে যায়।প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে ওযু করে এসে দেখি জামাত শেষ হয়ে গেছে। অতঃপর আমি শুধু এক রাকাত সালাত তাকবীর দিয়ে আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ সহকারে সূরাহ মিলিয়ে পড়ে সালাম ফিরাই। আমার সালাত কি শুদ্ধ হয়েছে কিনা সন্দেহ হচ্ছে-দয়া করে জানাবেন।উল্লেখ্য এর ফাকে কারো সাথে কথা,পানাহার বা কিছুই করিনাই।

২.মাসবুক ব্যক্তি জামাতের শেষ রাকাতে কি তাশাহহুদ,দরূদ,দোয়া মাসূরা পড়বে?নাকি নিজের শেষ রাকাতে এগুলা সব পড়বে?

৩.মাসবুক ব্যক্তি সানা পড়বে কখন?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো নামাজের ভিতর অযু নষ্ট হয়ে গেলে অযু করে এসে যেই রাকাতে নামাজ রেখে গেছে,সেই জায়গা থেকেই নামাজ শুরু করা ছহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হলো কোনো নামাজ/অযু ভঙ্গকারী (আগেরটা ব্যাতিত অন্য কোনো কারন) প্রকাশ না পাওয়া। 
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু আপনি অযু করতে  যাওয়ার পর পতিমধ্যে প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরেছেন,তাই আপনার এখন নতুন করে নামাজ পড়তে হবে।
ঐ রেখে যাওয়া জায়গা থেকে নামাজ শুরু করা ছহীহ হবেনা। 

হাদীস শরীফে এসেছে  
إِذَا فَسَا أَحَدُکُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلْیَنْصَرِفْ فَلْیَتَوَضَّأْ وَلْیُعِدْ صَلَاتَهُ.
أبي داود، السنن، 1: 53، رقم: 205، بیروت: دار الفکر
নামাজের ভিতর বায়ু বের সে যেনো অযু করতে যাউ,এবং পুনরায় নামাজ আদায় করে।

عن عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا قالت: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من أصابہ قيء أو رعاف أو قلس أو مذي، فلنصرف فلیتوضأ، ثم لیبن علی صلاتہ وہو في ذٰلک لایتکلم۔ (سنن ابن ماجۃ ۱؍۸۵ رقم: ۱۲۲۱)
যার সারমর্ম হলো উক্ত নামাজের বেনা করতে পারবে,যতক্ষন পর্যন্ত কথা (নামাজ ভঙ্গকারী কাজ) না করবে।  
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ফজরের নামাজ আবার আদায় করতে হবে।  

(০২)

মাসবুক ব্যক্তি ইমামের সাথের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ ধীরে ধীরে পড়বে। এতটা ধীরে যে, ইমাম সাহেব তাশাহুদ শেষ করে, দরূদ ও দুআয়ে মাসুরাও শেষ করে ফেলতে পারে। তারপর ইমাম সালাম ফিরানোর পর মুনফারিদ তথা একাকি নামায পড়া ব্যক্তির মত বাকি নামায পূর্ণ করবে।
(ফাতওয়ায়ে শামী-২/২২০-২২১.
ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/৯১.আল বাহরুর রায়েক-১/৮৭৫.ফাতওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৫৫৯,আহসানুল ফাতওয়া-৩/৩৮১)

আরো জানুনঃ 
,
(০৩)
ইমাম কেরাত রত না হলে মাসবুক ব্যক্তি ইমামের সাথে নামাজ শুরু করা মাত্র ছানা পড়বে,ইমামের সালাম ফিরানোর পর নিজের নামাজ পড়ার জন্য উঠার পরেও ছানা পড়বে।
আর যদি ইমামকে কেরাত পড়া অবস্থায় পায়,তাহলে সে তখন ছানা পড়বেনা।
নিজ নামাজ শুরু করার সময় ছানা পড়বে।
 ফাতাওয়ায়ে উসমানী ১/২৯২

قال فی غنیۃ المستملی: والمسبوق یاتی بالثناء اذا ادرک الامام حالۃ المخافتۃ ثم اذا قام الی قضاء ما سبق یاتی بہ ایضاً، کذا ذخرہ فی الملتقط، و وجھہ ان القیام الی قضاء ما سبق کتحریمۃ اخری للخروج بہ من حکم الاقتداء الی حکم الانفراد۔ (کبیری ص۲۹۷، فصل صفۃ الصلاۃ )
و قال فی الدر المختار: و ھو (ای المسبوق) منفرد حتی یثنی و یتعوذ و یقرأ۔ (شامی ۱/۱۰۴، اواخر باب الامامۃ) 

যদি ইমামকে কেরাত অবস্থায় না পায়,তাহলে তখনই ছানা পড়বে।
পরে আর পড়তে হবেনা।
আর ইমামকে কেরাত পড়া অবস্থায়  পেলে তখন আর ছানা পড়বেনা।
নিজের নামাজ আদায় করার জন্য উঠার পর ছানা পড়বে।
কিতাবুল ফাতওয়া ২/২০৩
وإن أدرک الإمام في السجود ۔۔۔ یأتی بالثناء ۔۔۔ و کذا لو أدرک في القعدہ ‘‘ 
ولو أن المسبوق لم یأت بالثناء في أول الصلاۃ فقام إلی قضاء ما سبق ۔۔۔ إنہ یأتی بالثناء ‘‘
 الفتاوی الہندیۃ : ۱/۸۸۔

মাসবুক ব্যাক্তি সব ছুরতেই ইমামের সালাম ফিরানোর নিজের ছুটে যাওয়া নামাজ আদায় করার জন্য উঠার পর ছানা পড়বে।
(ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ ৫/১৫৮)

(والمسبوق من سبقہ الا مام بھا او ببعضھاوھو منفرد) حتی یثنی ویتعوذو یقرأ وان قرأ مع الا مام لعدم الا عتداد بھا لکراھتھا مفتاح السعادۃ(قولہ حتی یثنی) تفریع علی قولہ منفرد فیما یقضیہ بعد فراغ امامہ فیأ تی بالثناء والتعوذ لا نہ للقراء ۃ ویقرأ لانہ یقضی اول صلاتہ فی حق القراء ۃ کما یأتی حتی لو ترک القراء ۃ فسدت (درمختا و شامی باب الا مامۃ ج۱ ص ۵۵۷،۵۵۸) 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মাসবুক ব্যাক্তি ইমামের সালাম ফিরানোর পর নিজের ছুটে যাওয়া নামাজ আদায় করার জন্য দাড়িয়েই ছানা পড়বে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...