আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।।

আমি বিয়ে করেছি ১ বছর হয়েছে।আমার বয়স প্রায় ২১ বছর।বিয়ের আগে আমি কর্মহীন ছিলাম এখনো কর্মহীন আছি।আমার পরিবার বা আমি একদম গরীব।তো কর্ম ছাড়া আমি বিয়ে করতে একদম রাজি ছিলাম না  আমার আব্বা ও তার মামারা আমাকে জোরপূর্বক বিয়ে করিয়ে ছাড়ে।আমি আবার শারীরিক ও মানসিক রোগী।মেয়ে পক্ষ হইতে বিয়ের আগে কথা হয় যে বিয়ের পরে তারা আমাকে একটা ব্যবসার ব্যবস্থা করে দিবে বা তিন লক্ষ টাকা দিবে ব্যবসা করার জন্য।বিয়েতে ঘটক ছিলো মেয়ের আপন মামি এবং সেই জোর গলায় এই কথা বলে কয়েকজন মানুষের উপস্থিততে। ১ বছর পার হয়ে গেলো মেয়ে পক্ষ থেকে ছেলেকে কোন টাকা পয়সা দেয়নি ব্যবসা করার জন্য।আর এ ব্যপারটা বোঝা যাচ্ছে এক ধরনের প্রতারণা ছেলের সাথে।এর মাঝে আমি অসুস্থ অবস্থায় রিজিকের সন্ধানে বাহিরে গিয়েছি কপাল পোড়া আমার কোন কর্ম মিললো না তিন বার গেছি তাও কোন কর্মের ব্যবস্থা হয়নি।
এসব অবস্থা দেখে আমার এক আত্বীয় আমাকে পরামর্শ দিচ্ছে যে বিয়ের আগে তোমাকে তোমার শ্বশুর বাড়ি থেকে টাকা বা ব্যবসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা দিচ্ছে না কেন? তুমি তাদের সাথে যোগাযোগ কথা বার্তা বন্ধ করে দাও আর তোমার বউকে শ্বশুর বাড়ি রেখে দাও তারা তখন বাধ্য হয়ে টাকা দিবে।

প্রিয় শায়েখ,

আমার পরিবার খুবই দারিদ্র্য।আর আমি ইন্টারমিডিয়েট পাশ বেকার একজন ছেলে সেই সাথে শারীরিক ও মানসিক রোগী এবং আমি চেষ্টা করি দ্বীন মেনে চলার।

আমি অনেক চেষ্টা করেছি একটা কর্ম করার কিন্তু আমার কপাল খারাপ তাই কোন কর্ম মিলছে না।এদিকে পরিবার ও মানুষের নানান কথা শুনতে হচ্ছে।
(১) তো আমার ঐ আত্বীয়র পরামর্শ অনুযায়ী শ্বশুর বাড়ির মানুষের সাথে কথা বলা যোগাযোগ বন্ধ করা কি ঠিক হবে?

এই নিয়ে খুব ডিপ্রেশন এ আছি দয়া করে ব্যপারটা ভালোকরে বুঝে পরামর্শ দিবেন কি করবো।।

আমার এই আত্বীয়র কথা হলো হয় আমার পরামর্শ মোতাবেক কাজ কর আর না হয় যেকোনো একটা কর্ম কর দ্রুত।।

1 Answer

0 votes
by (566,640 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান হলো যদি বর বা তার গার্জিয়ানের পক্ষ থেকে এমন শর্ত করা হয় যে কনে বা তার গার্জিয়ানের পক্ষ থেকে হাদিয়া তুহফা বা টাকা-পয়সা ইত্যাদি উপঢৌকন না দিলে, উক্ত কনেকে বিবাহই করবে না, তাহলে শর্ত সাপেক্ষে কনের পক্ষ থেকে উক্ত জিনিসপত্র দেওয়া সুদ হিসেবে হারাম হবে। চাই তা নিজের দিক বা অন্য কারো কাছ থেকে নিয়েই দিক। কেননা বিবাহ বন্ধন হল এমন একটি বেচা-কেনা যেখানে বিনিময়ে কিছু পাওয়া যায় না। 

আর বিবাহের পূর্বে, মেয়ের পিতা ছেলের অসন্তুষ্টিতে, তার নিকট থেকে দাবীর মাধ্যমে যে টাকা গ্রহণ করে, তাও সুদ।  হ্যাঁ ছেলের নিকট দাবী করা ব্যতীত যদি মেয়ের পরিবার সন্তুষ্টচিত্তে যদি দিয়ে থাকে তাহলে সেটা জায়েয হবে।
,

হাদীস শরীফে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছেন-

ألا ولا يحل لامرئ من مال أخيه شيء إلا بطيب نفس منه

সাবধান! কারো জন্য তার ভাইয়ের কিছুমাত্র সম্পদও বৈধ নয়, যদি তার স্বতঃস্ফূর্ত সম্মতি না থাকে।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৫৪৮৮; সুনানে দারাকুতনী, হাদীস : ২৮৮৩; শুআবুল ঈমান বায়হাকী, হাদীস : ৫৪৯২

অর্থাৎ কেউ কিছু দিলেই তা ভোগ করা হালাল হয় না, যে পর্যন্ত না খুশি মনে দেয়। 

কুরআন মজীদে একাধিক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
لا تأكلوا اموالكم بينكم بالباطل
তোমরা বাতিল উপায়ে একে অন্যের সম্পদ গ্রাস করো না।-সূরা বাকারা : ১৮৮; সূরা নিসা : ২৯
.
আরো জানুনঃ  
,

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে টাকা নেয়া স্পষ্ট যৌতুক,যাহা জায়েজ নয়।
আপনার জন্য সেই আত্মীয়ের পরামর্শ অনুযায়ী শ্বশুর বাড়ির মানুষের সাথে কথা বলা, যোগাযোগ বন্ধ করা কোনো ভাবেই জায়েজ হবেনা, ঠিক হবেনা।

এহেন চিন্তা পরিহার করে চাকুরী বা ব্যবসার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
প্রয়োজনে টিউশনি বা নিজের শরীরের শ্রম দিয়ে হলেও যৌতুক না নিয়ে নিজে কোনো কাজ করার পরামর্শ থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (16 points)
জাযাকাল্লাহ শায়েখ।।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...