আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
328 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম, হুজুরের কাছে আরেকটা প্রশ্ন যদি বিরক্ত না হন তাহলে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে উপকার করুন।


১/স্বামীর মনে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার কোনো নিয়ত নেই কিন্তু ওয়াসওয়াসার কারনে তালাক দিয়ে দিলে কি তালাক হয়ে যাবে?অর্থাৎ মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওয়াসওয়াসা এসে জুলুমের মাধ্যমে তালাক দিয়ে দিলে তালাক হবে নাকি?

২/স্বামীর নিয়ত হলো তার স্ত্রীকে তালাক না দেওয়া অর্থাৎ স্ত্রীকে তালাক দিবেনা বা তালাক পড়বে না, তালাক দিলাম না বলার জন্য স্বামী মনে মনে খাটি নিয়ত করেছে। স্বামী যখন স্ত্রীকে  আমি তোমাকে তালাক দিলামনা এই কথাটা বলতে ইচ্ছুক হয় তখন স্বামী মুখে উচ্চারণ করে বলেছে যে আমি তোমাকে তালাক দিলাম আর না শব্দটুকু মনে মনে বলেছে তাহলে কি স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?

অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিলাম না বলার নিয়ত করেছে আর স্বামী ওই নিয়ত অনুযায়ীই বলেছে যে আমি তোমাকে তালাক দিলাম (এখানে দিলাম না এই কারনে বলে নাই যে এইসব আলতু ফালতু শয়তানের ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবনা তাই দিলাম শব্দটুকু পর্যন্তই বলেছে কিন্তু না শব্দটুকু আর বলে নাই কিন্তু স্বামীর নিয়ম ছিলো তালাক দিলামনা বলা)।এখন কি তালাক দিলাম বলার কারনে তালাক হয়ে যাবে যেহেতু স্বামীর নিয়ত ছিলো দিলামনা বলা কিন্তু না শব্দটুকু আর বলে নাই।

৩/ দুই নাম্বার প্রশ্নটাই ভালোভাবে বুঝানোর জন্য আবার বলতেছি,,,,,,

অর্থাৎ স্বামীর নিয়ত ছিলো তার স্ত্রীকে তালাক দিলাম না বলা।
আর স্বামী সেই নিয়ত অনুযায়ীই স্ত্রীকে তালাক দিলাম না বলতে গিয়ে তালাক দিলাম পর্যন্ত বলেছে আর না শব্দটুকু মনে মনে বলেছে অথবা না শব্দটুকু আর বলে নাই, কিন্তু স্বামীর নিয়ত ছিলো তালাক দিলামনা বলা কিন্তু স্বামী ওই নিয়ত অনুযায়ীই কথা বলতে বলতে দিলাম শব্দের পরে না শব্দটা বলেনাই।কিন্তু স্বামী স্ত্রীকে তালাক দিতে চায়নি। এখন স্বামীর ভয় হচ্ছে আমি তো তালাক দিলামনা বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু না শব্দটুকু বলি নাই বা মনে মনে না শব্দটুকু বলেছি তাহলে কি আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিলাম না বা তালাক হয়ে যাবে নাকি?


৩নং প্রশ্নটাই হচ্ছে ২ নং প্রশ্নের মুল কথা
উত্তরের অপেক্ষায় থাকলাম ইনশাআল্লাহ দ্রুত উত্তর পাওয়ার আশা রাখলাম

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


উকবাহ ইবনু আ’মির রাযি. বলেন,

لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ الْمُوَسْوِسِ

‘ওয়াসওয়াসা সম্পন্ন (সন্দেহের বাতিকগ্রস্ত) ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না।’ 
(সহিহ বুখারী, অধ্যায় ৬৮)

চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ: 
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তি ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলাটের দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।
(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
আপনি কি ওয়াসওয়াসার রুগী? ডাক্তার দেখিয়েছেন? ডাক্তার বা কোনো বিজ্ঞ মুফতী সাহেব যদি বলেন যে আপনি ওয়াসওয়াসার রুগী, তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা।

আর যদি আপনি সুস্থ্য মানুষ হোন,ওয়াসওয়াসার রুগি না হোন, তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত সব ছুরতেই তালাক পতিত হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...