আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
edited by
1/আসসালামু আলাইকুম,বিয়ের আগে নিয়ত করেছিলাম আমার বিয়ে খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গেলে এরপর একমাস শুকরানা সালাত আদায় করবো কিন্তু আল্লাহ মাফ করুন বিয়ের পর এটা ভুলে যাই দীর্ঘ সময় পর মনে পড়লেও সাত আটদিন পড়া হয়েছিলো এখন কি এ নামায আদায় করা যাবে ?সাত দিন সাথে যোগ করে 23 দিন পড়বো নাকি একমাস একটানাই পড়বো নতুন করে ??(যতদূর মনে পড়ে নিয়তের অংশ একটানাই নামায পড়া ছিলো)

2/দোয়া করতে যেয়ে একটি বিষয় খুব দ্বিধায় পড়ছি , আল্লাহর কাছে কিভাবে চাইবো । আল্লাহ আপনি আমার সন্তানকে শারিরীক মানসিক ভাবে সুস্থ রাখুন এবং তাকে যেই অবস্থায় দুনিয়াতে পাঠান সেই অবস্থায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং সেই অবস্থা মেনে নেয়ার তোফিক দিন ।
নাকি বলবো ইয়া রব আপনি আমার সন্তাকে শারিরীক মানসিক সকল ভাবে সুস্থ রেখে দুনিয়াতে পাঠান,তাকে দেখতে একদম ইউসুফ আঃ এর মতো আর তার এটিচিউট হাসি,কান্না,আবেগ,অনুভূতি ,হাটা ,চলা পুরোটাই যেনো মহানবি সঃ এর মতো হয় । তার সকল কিছু যেনো মহানবি সঃ এর যোগ্য উম্মত এটাই প্রমাণ করে এবং তাকে আল্লাহর রাস্তায় সাদকায়ে জারিয়া করার তাওফিক দিন শোকর গুজার বান্দার অন্তভুক্ত করুন ।

(কিছু কপ্লিকেশনের জন্য আল্লাহ না করুন, ডক্টর বলেছেন সম্ভবনা আছেন,সন্তান মানসিক অথবা শারীরিকভাবে অহুস্থ হতে পার)

আসলে ঠিক কিভাবে দোয়াটা করাটা উত্তম হবে বুঝে উঠতে পারছি না

3/ ফরজ নামাযে কোরআনে বর্ণীত দোয়াগুলো কি আরবিতে সেজদারত অবস্থায় পড়া যাবে ?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হ্যাঁ, এখন পুনরায় সেই নামাজ আদায় করতে পারবেন। 
এক্ষেত্রে ২৩ দিন পড়বেন।

তবে আপনি যেহেতু শুধু নিয়ত করেছিলেন,মান্নত করেননি।
তাই আরো ২৩ দিন নামাজ আদায় আবশ্যক হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে,কুরআনে বর্ণিত সুরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াতে প্রদত্ত দোয়াটি পাঠ করার।

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
নামাযের সেজদায় শুধুমাত্র কুরআন-হাদীসে বর্ণিত দু'আ গুলোই করা যাবে।
সেজদায় গিয়ে سبحان  ربي الأعلى 
ছাড়াও অন্যান্য দোয়া পড়া যাবে। সমস্যা নেই। কিন্তু দুনিয়াবি দোয়া বা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায় অনেক দোয়া পাঠ করতেনঃ

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ফরজ নামাযে কোরআনে বর্ণিত দোয়াগুলো আরবিতে সেজদারত অবস্থায় পড়া যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...