আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (11 points)
১)একজোড়া স্বর্ণের নাকফুল কেনার আনুমানিক ১ বছর পর ওই একই স্বর্ণের দোকান থেকে ব্যবহৃত এই জোড়া নাকফুল পালটিয়ে  সমমূল্যের অন্য ডিজাইনের একজোড়া নাকফুল নেয়া হয়েছে।
প্রথম বার পালটানো হয়েছে দেখে দোকানী প্রথম জোড়া নাকফুলের সমমূল্যের নতুন জোড়া নাকফুল নিতে দিয়েছে। এরপর থেকে প্রতিবার আসল দাম থেকে কম মূল্যের পণ্য নিতে দিবে।
এই লেনদেন কি জায়েজ হয়েছে?
যদি জায়েজ না হয়ে থাকে তাহলে নাকফুল জোড়া কি করবো, কাউকে দিয়ে দিব বা ফেলে দিব?
২) জমজমের পানি খাওয়ার কোন নির্দিষ্ট সুন্নাহ আছে? যেমন দাঁড়িয়ে পশ্চিম দিকে মুখ করে  নিদিষ্ট দোয়া পড়ে জমজমের পানি খাওয়ার কি কোন নিয়ম আছে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, আমরুন নাকিদ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। 
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ سَوَاءً بِسَوَاءٍ يَدًا بِيَدٍ فَإِذَا اخْتَلَفَتْ هَذِهِ الأَصْنَافُ فَبِيعُوا كَيْفَ شِئْتُمْ إِذَا كَانَ يَدًا بِيَدٍ " .
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বর্ণ স্বর্ণের বিনিময়ে, রৌপ্য বৌপ্যের বিনিময়ে, গম গমের বিনিময়ে, যব যবের বিনিময়ে, খেজুর খেজুরের বিনিময়ে এবং লবন লবনের বিনিময়ে সমান সমান সমপরিমাণ ও হাতে হাতে হতে (নগদ) হবে। অবশ্য এই দ্রব্যগুলো যদি একটা অপরটার সাথে বিনিময় হয়। (অর্থাৎ পণ্য এক জাতীয় না হয়) তোমরা যেরূপ ইচ্ছা করতে পার যদি হাতে হাতে (নগদে) হয়।(সহীহ মুসলিম-৩৯১৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
পুরাতন স্বর্ণের নাকফুলকে পরিবর্তন করে নতুন স্বর্ণের নাকফুল নেওয়া জায়েয হবে না বরং সুদ হয়ে যাবে। হ্যা, পুরাতন স্বর্ণের নাকফুলকে বিক্রয় করে সেই টাকার সাথে কিছু টাকা সংযোজন করে আপনি নতুন নাকফুল ক্রয় করতে পারবেন।

(২)
দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফাতাওয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
জমজমের পানি দাড়িয়ে কিবলামুখী হয়ে পান করা মুস্তাহাব।জমজমের পানি পান করার সময় নিম্নের দু'আটি পাঠ করা মুস্তাহাব।
"আল্লাহুম্মা ইন্নি আস'আলিকা রিযকান ওয়াসিআ ওয়া ইলমান নাফিয়া,ওয়া শিফাআন মিন কুল্লি দায়িন"

فتوی: 131/ م= 131/ م
آپ زمزم کھڑے ہوکر اور قبلہ رخ ہوکر پینا مستحب ہے، زمزم پیتے وقت یہ دعا پڑھنی چاہیے: اللھُمَّ إِنِّيْ أسْألُکَ رزقًا وَّاسِعًا وعلمًا نَافِعًا وَشِفَاءً مِنْ کُلِّ دَاءٍ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...