ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «جُهْدُ الْمُقِلِّ وَابْدَأْ بِمَنْ تَعُولُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
১৯৩৮-[১০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! কোন্ সদাক্বাহ্ (সাদাকা) বেশী উত্তম? তিনি বললেন, কম সম্পদশালীর বেশী (কষ্টশ্লিষ্ট করে) সদাক্বাহ্ (সাদাকা)। সদাক্বাহ্ (সাদাকা) দেয়া শুরু করবে তাদেরকে দিয়ে যাদের দেখাশুনা তোমার দায়িত্ব। (আবূ দাঊদ ১৬৭৭, আহমাদ ৮৭০২, ইবনু খুযায়মাহ্ ২৪৪৪, ইবনু হিব্বান ৩৩৪৬, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১৫০৯, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৫৬৬, সহীহ আত্ তারগীব ৮৮২, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ১১১২)
ব্যবসায়ী মহলের একটি বিশেষ মৌসুম থাকে যখন তাদের ব্যবসা হয় খুব জমজমাট ও লাভজনক। সে মৌসুমে বৎসরের অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আয় হয়। আখেরাতের ব্যবসায়ীদের জন্য আখেরাতের সওদা করার উত্তম মৌসুম হল এই রমযান মাস। কেননা এ মাসে প্রতিটি আমলের অনেক গুণ বেশি ছওয়াব পাওয়া যায়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘রমযানের ওমরা হজ্জ সমতুল্য।’ -জামে তিরমিযী, হাদীস ৯৩৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৯৮৬
অন্য এক বর্ণনায় (যা সনদের দিক থেকে দুর্বল) বিষয়টি এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘রমযান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল সে যেন অন্য মাসে একটি ফযর আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরয আদায় করল সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করল। -শুআবুল ঈমান ৩/৩০৫-৩০৬
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রজমানের সদকাহর সওয়াব অবশ্যই রয়েছে।তবে রমজানে হয়তো আপনি এমন কাউকে পাবেন না, যার কুরআনের প্রয়োজন। কুরআনের প্রতি অক্ষরে ১০ থেকে সাতশত পর্যন্ত নেকী হয়। তাই আপনার উচিৎ এখনই সদকাহ করে দেওয়া। আপনার নিয়ত বিশুদ্ধ থাকলে হয়তো রমজান থেকেও বেশী সওয়াব পেতে পারেন। আল্লাহ সময় দেখেন না বরং মানুষের অন্তরকে দেখেন।