আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
402 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক) সেহরির সময় শেষ হওয়ার পরেও কেউ যদি সেহরি করে আর সেটা নফল রোযার সেহরি হয়। তাহলে কি রোযা কাযা করতে হবে?

খ) আগে কারো সাথে কথা বলা থামাইছিলাম। কিন্তু এখন আর তার সাথে দেখা হয় না। এক্ষেত্রে এখন তো কথা আর সামনা সামনি হচ্ছেও না। তো গুনাহ হচ্ছে কি?
গ) এখন কি আমি তাকে ফোন দিয়ে মাফ চাবো? বা কথা বলবো?  নাকি আর যোগাযোগ এর দরকার নাই।?
closed

1 Answer

+1 vote
by (588,060 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সেহরির সময় শেষ হওয়ার পরেও কেউ যদি সেহরি করে আর সেটা নফল রোযার সেহরি হয়। তাহলেও রোযাকে কাযা করতে হবে।যেভাবে সেহরীর সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ফরয রোযার সেহরী খেলে রোযাকে কা'যা করতে হয়।


(২)
https://www.ifatwa.info/6552 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,হযরত আবু আইয়ুব রাযি থেকে বর্ণিত।রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
 " لا يحل لرجل أن يهجر أخاه المسلم فوق ثلاث ، يلتقيان فيعرض هذا ويعرض هذا وخيرهما الذي يبدأ بالسلام "
মুসলামনের জন্য জায়েয নয় যে,সে তার মুসলমান ভাইয়ের সাথে কথা না বলে তিনদিন অতিবাহিত করবে।সাক্ষাতে একজন একদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে,এবং অন্যজন অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।তাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি যে,সালাম দিয়ে সাক্ষাতের সূচনা করবে।(সহীহ বোখারী-৫৭২৭ সহীহ মুসলিম-২৫৬০)

যদি হিংসাত্বক মনোভাব রেখে কারো সাথে কথা বলা বন্ধ রাখা হয়,তাহলে সেটা জায়েয হয়নি।তবে যদি কেউ কারো উপকার থেকে বাঁচতে বা কারো গোনাহের প্রভাব থেকে বাঁচতে কারো সাথে কথা বলাকে কমিয়ে নেয়,তাহলে সেটা নিন্দনীয় নয়।

যাইহোক, যে কোনো কারণে কারো সাথে কথা বলাকে কমিয়ে নেয়ার পর,উক্ত ব্যক্তির সাথে যোগাযোগে করার ইচ্ছা করার পর উক্ত ব্যক্তিকে না পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির কোরো প্রকার গোনাহ হবে না।তবে অন্যায়ভাবে কারো সাথে কথা বলাকে কমিয়ে নেয়ার ঐ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ রক্ষার সকল প্রকার চেষ্টা অভ্যাহত রাখতে হবে।


(৩)
জ্বী, ক্ষমা তো আল্লাহর কাছে চাইবেন।এবং ঐ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ রক্ষার সকল প্রকার চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখবেন।তবে যদি কারো গোনাহের প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচাতে যোগাযোগকে কমিয়ে নেয়া হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তির সাথে আর যোগাযোগ না করাই উত্তম ও শ্রেয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 322 views
...