বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সেহরির সময় শেষ হওয়ার পরেও কেউ যদি সেহরি করে আর সেটা নফল রোযার সেহরি হয়। তাহলেও রোযাকে কাযা করতে হবে।যেভাবে সেহরীর সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ফরয রোযার সেহরী খেলে রোযাকে কা'যা করতে হয়।
(২)
" لا يحل لرجل أن يهجر أخاه المسلم فوق ثلاث ، يلتقيان فيعرض هذا ويعرض هذا وخيرهما الذي يبدأ بالسلام "
মুসলামনের জন্য জায়েয নয় যে,সে তার মুসলমান ভাইয়ের সাথে কথা না বলে তিনদিন অতিবাহিত করবে।সাক্ষাতে একজন একদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে,এবং অন্যজন অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।তাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি যে,সালাম দিয়ে সাক্ষাতের সূচনা করবে।(সহীহ বোখারী-৫৭২৭ সহীহ মুসলিম-২৫৬০)
যদি হিংসাত্বক মনোভাব রেখে কারো সাথে কথা বলা বন্ধ রাখা হয়,তাহলে সেটা জায়েয হয়নি।তবে যদি কেউ কারো উপকার থেকে বাঁচতে বা কারো গোনাহের প্রভাব থেকে বাঁচতে কারো সাথে কথা বলাকে কমিয়ে নেয়,তাহলে সেটা নিন্দনীয় নয়।
যাইহোক, যে কোনো কারণে কারো সাথে কথা বলাকে কমিয়ে নেয়ার পর,উক্ত ব্যক্তির সাথে যোগাযোগে করার ইচ্ছা করার পর উক্ত ব্যক্তিকে না পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির কোরো প্রকার গোনাহ হবে না।তবে অন্যায়ভাবে কারো সাথে কথা বলাকে কমিয়ে নেয়ার ঐ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ রক্ষার সকল প্রকার চেষ্টা অভ্যাহত রাখতে হবে।
(৩)
জ্বী, ক্ষমা তো আল্লাহর কাছে চাইবেন।এবং ঐ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ রক্ষার সকল প্রকার চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখবেন।তবে যদি কারো গোনাহের প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচাতে যোগাযোগকে কমিয়ে নেয়া হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তির সাথে আর যোগাযোগ না করাই উত্তম ও শ্রেয়।