আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
হুযুর,কেউ একজন স্বপ্নে এমন দেখেছে যে,কোনো একজন ছেলে মানুষের প্রতি তার অন্য রকম অনুভূতি কাজ করছে।এবং এতটুকুই দেখেছেন,আর কিছু দেখেন নি।এক্ষেত্রে গোসল ফরজ হবে কি না?উল্লেখ্য তিনি ঘুম থেকে উঠে ফজর সালাত আদায় করেছেন,নামাজ হবে কি।এবং ঘুমালে তার সাধারণ ভাবেই সাদা স্রাব যায়।এক্ষেত্রে কি গোসল ফরজ হয়েছে কি হয় নি?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/3323  নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
স্বপ্নদোষের কারণে গোসল ফরয হবে।মনে থাকুক বা নাই থাকুক।যদি জাগ্রত হওয়া পর বীর্যের আছর পরিলক্ষিত হয়,তাহলেও এক্ষেত্রে গোসল ফরয হবে।
স্বপ্নদোষ হলে শুধুমাত্র নাভী থেকে পা পর্যন্ত ধৌত করলে হবে না বরং গোসল করা লাগবে এবং এক্ষেত্রে গোসল করা ফরয।শরীর অপবিত্র হয়ে যাবে।যে সমস্ত আ'মলের জন্য পবিত্রতা প্রয়োজন তা গোসল ফরয অবস্থায় করতে পারবেন না।যেহেতু ফজরের পূর্বে আর কোনো ফরয আ'মল নেই তাই ফজরের নামাযের পূর্বে গোসল না করলেও চলবে।তবে এক্ষেত্রে অজু করে ঘোমাতে হবে।যেমন এক হাদীসে নবীজী সাঃ বলেনঃ

হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﺎﻥ ﺇﺫﺍ ﺃﺭﺍﺩ ﺃﻥ ﻳﻨﺎﻡ ﻭﻫﻮ ﺟﻨﺐ ﺗﻮﺿﺄ ﻭﺿﻮﺀﻩ ﻟﻠﺼﻼﺓ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﻨﺎﻡ
যখন নবীজী সাঃ জুনুবী(ফরয গোসল)অবস্থায় ঘোমানোর ইচ্ছা করতেন।তখন তিনি নামাযের অজুর মত অজু করতেন।(সহীহ মুসলিম-৩০৫)

হযরত উম্মে সালমা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّهَا قَالَتْ جَاءَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ امْرَأَةُ أَبِي طَلْحَةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ : ( إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنْ الْحَقِّ هَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْ غُسْلٍ إِذَا هِيَ احْتَلَمَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ إِذَا رَأَتْ الْمَاءَ )
তিনি বলেন,হযরত আবু তালহা রাযি এর স্ত্রী উম্মে সুলাইম রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে বললেন,ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! নিশ্চয় আল্লাহ হককে প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না,মহিলার উপর কি গোসল ফরয হবে, যখন মহিলার স্বপ্নদোষ হবে?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,হ্যা মহিলার উপরও গোসল ফরয হবে,যখন মহিলা পানিকে দেখবে।(সহীহ বোখারী-৩৭৩,সহীহ মুসলিম-৪৭১)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি স্বপ্নে কাউকে দেখে যদি শুধুমাত্র আপনার অনুভূতি হয়,তবে তরল কোনো পদার্থ কাপড় বা শরীরে কিংবা বিচানায় পরিলক্ষিত না হয়,তাহলে আপনার উপর গোসল ফরয হয়নি।

আর যদি কাপড়ে বা শরীরে কিংবা বিচানায় বীর্য বা তরল কোনো পদার্থের আছর বা চিন্হ পরিলক্ষিত হয় তাহলে আপনার গোসল ফরয হবে।
জাযাকুমুল্লাহ।


যদি ঘুমানোর পর স্বাভাবিকত কারো সাদাস্রাব পরিলক্ষিত হয়,তাহলে দেখতে হবে সেটা অাসলে কি?কোনো প্রকারের 

https://www.ifatwa.info/6270  নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লোখ করেছি যে,

وَمَنِيُّ الْمَرْأَةِ رَقِيقٌ أَصْفَرُ وَالْمَذْيُ رَقِيقٌ يَضْرِبُ إلَى الْبَيَاضِ يَبْدُو خُرُوجُهُ عِنْدَ الْمُلَاعَبَةِ مَعَ أَهْلِهِ بِالشَّهْوَةِ وَيُقَابِلُهُ مِنْ الْمَرْأَةِ الْقَذْيُ، وَالْوَدْيُ بَوْلٌ غَلِيظٌ وَقِيلَ مَاءٌ يَخْرُجُ بَعْدَ الِاغْتِسَالِ مِنْ الْجِمَاعِ وَبَعْدَ الْبَوْلِ. كَذَا فِي التَّبْيِينِ.
মহিলার বীর্য পাতলা,হলুদ বর্ণাটের হয়,এবং নারীদের মযি পাতলা সাদা বর্ণাটের হয়, মযি সহবাসের সূচনায় পুরুষের লিঙ্গ থেকে বের হয়।সহবাসের সূচনায় মহিলার যোনীপথ থেকে যে পিচ্ছিল পদার্থ বের হয়,সেটার নাম কাযি।ওদি হল,গাঢ় প্রস্রাব কেউ কেউ বলেন,ঐ পানি যা সহবাস পরবর্তী গোসলের পর লিঙ্গ থেকে বের হয়,এবং প্রস্রাবের পর বের হয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১০)

সুতরাং, বীর্য হলে গোসল ফরয হবে,আর কাযী হলে গোসল ফরয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...