ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এক মুসলমানের জন্য অন্য মুসলমানের সম্পদকে অন্যায়ভাবে গ্রহণ করা হারাম।যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
قَالَ: «فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ، وَأَمْوَالَكُمْ، وَأَعْرَاضَكُمْ، بَيْنَكُمْ حَرَامٌ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الغَائِبَ، فَإِنَّ الشَّاهِدَ عَسَى أَنْ يُبَلِّغَ مَنْ هُوَ أَوْعَى لَهُ مِنْهُ»
“নিশ্চয় তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, তোমাদের ইজ্জত-আব্রু তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম (পবিত্র) যেমনিভাবে তোমাদের এই দিনটি তোমাদের এই মাসে ও এই দেশে হারাম (পবিত্র)। এখানে উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট এসব কথা পৌঁছে দেয়।”[সহিহ বুখারী (৬৭) ও সহিহ মুসলিম (১৬৭৯)]
জরিমানা নেয়া হয়। এটা জায়েয হবে না।কেননা অার্থিক জরিমানা অগ্রহণযোগ্য। কেননা এখানে জুলুম নির্যাতন রয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার বিবরণমতে এই বিষয়ের জন্য হিসাবরক্ষকের কাজটি করা আপনার জন্য জায়েয হবে না।
(২)আপনি যদি কোনো কারণে হোমওয়ার্ক না নেন অথবা ক্লাস মিস দেন তাহলে আমার জন্য জরিমানা দেওয়া জায়েয হলেও প্রতিষ্টানের জন্য গ্রহণ করা জায়েয হবে না।কেননা আপনি জরিমানা দিতে অপারগ, তাই আপনার জন্য দেওয়া জায়েয।
(৩)এই টাকা দিয়ে কোর্স শেষে খাবারের আয়োজন করা হলে সেখানে আপনার জন্য যোগ দেওয়া জায়েয হবে না।