আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
edited by
১) কুরআন তিলাওয়াতের জন্য হরফ এর সিফাত সহ তিলাওয়াত করা কি জরুরি? মাখরাজ মুখে উচ্চারণ হয় মোটামুটি ভালোভাবে, খালি কানে শুনলে মনে হয় যেন উচ্চারণ সঠিক আছে ; কিন্তু হরফের উচ্চারণের স্থান উলটপালট হয়ে যায় । যেমন: 'তা' উচ্চারণের জন্য সামনের দুই দাতের গোড়ায় জিহ্বা না লাগিয়ে আধা জিহ্বা বের হয়ে যায়। এমন উচ্চারণ সঠিক হবে কিনা? নামাজে এমন তিলাওয়াত করলে "লাহনে- জলী" হবে কিনা?

২) নামাজের ভিতরে - বাইরে যেকোনো দুআ পড়ার জন্য কি মাখরাজ/ হরফের সিফাত অনুসরণ করতে হবে? যেমন: তাশাহ্হুদ/ দুরুদ শরীফ পড়ার সময় কি এগুলো খেয়াল রাখতে হবে কিনা?

৩) স্বামী স্ত্রী আলাদা থাকে । স্ত্রী অনেক সময় ফজরের নামাজে ঘুম থেকে উঠতে অপারগ হয়, কল দিলেও ঘুম ভাঙ্গে না । এক্ষেত্রে কি স্বামী গুনাহগার হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সিফাত সহ তিলাওয়াত মুস্তাহাব। সুতরাং চেষ্টা করতে হবে। তবে সিফাত সহ কারো আদায় না হলে লাহনে জলী হবে না। নামায ফাসিদ হবে না।

(২)
মাখরাজ জরুরী।কেননা মাখরাজ আদায় না হলো হরফ বদলে যেতে পারে, অর্থ বিকৃত হয়ে যেতে পারে,তখন নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। তবে সিফাত আদায় না হলেও অর্থে বিকৃতি সম্ভাবনা নিতান্তই কম।

(৩)
স্ত্রী নামায না পড়লে এর গোনাহ স্ত্রীরই হবে। স্বামীর এক্ষেত্রে কোনো গোনাহ হবে না।
যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮)

তবে নামায না পড়ার কারণে স্বামীকে আরেকটু কঠোর ভুমিকা পালন করতে হবে। স্বামী কঠোর ভূমিকা পালন করলে তখন স্বামী আর দায়ূস হিসেবে বিবেচিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 290 views
...