আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর, আজ থেকে কয়েক বছর আগে আমি বিপরীত লিঙ্গের একজনকে পছন্দ করতাম, তার সাথে বলা যায়  ইসলাম অনুযায়ী হারাম সম্পর্কে লিপ্ত ছিলাম,তার সাথে নিয়মিত কথাবলতাম। যেনা না করলেও ইসলামে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত যেকোনো প্রেমের সম্পর্কই হারাম, আল্লাহ অবাধ্য হয়ে শয়তান এর ধোঁকায় পড়ে তখন  ভুল করেছি।  হঠাৎ একদিন এক ঘটনার মধ্য দিয়ে আমি তার কাছ থেকে দূরে সরে আসি , আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, যতবারই চেয়েছি তাকে জীবনে ফেরত আনতে , পারি নি ,আমি সার্বোচ্চ চেষ্টা বিফলে গেছে । আমার ইচ্ছা ছিল তাকে বিয়ে করার এবং তওবা করার। কিন্তু একটা বিষয় দেখেছি, পুরো ঘটনাতে আমি যতটুকু বিচলিত, সে তেমন বিচলিত না , যদিও সে বলেছিল যে সে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, কিন্তু আমি দেখতাম সে নিজের জীবনকে ঠিকই উপভোগ করতো, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, গান সবই করতো।আর আমি অনেক কষ্ট ভোগ করেছি, এগুলো আল্লাহর অবাধ্যতার শাস্তি, আমি এর জন্যে কয়েক বছর ধরে আল্লাহর কাছে অনেক কান্নাকাটি করে ক্ষমা চেয়েছি , এখনও চাই, এরপরে কিন্তু আমার জীবনে অল্প হলেও কিছুটা পরিবর্তন আসে ,আমি ধর্মের ব্যাপারে আগের থেকে মনোযোগী হই। কিন্তু আমি নিজে নিজেকে কখনও ক্ষমা করতে পারিনি , এখনও পারি না, কেননা, আল্লাহতালার কাছে বিবাহ বহির্ভূত যেকোনো সম্পর্ক অপছন্দনীয়।  হঠাৎ অনেক দিন পরে সেই মানুষটি আমাকে ফোন করে ক্ষমা চায় সে আমাকে মাঝেমধ্যে ফোন দিতেও চায়, খোঁজখবর নিতে চায়, কিন্তু আমি নিষেধ করি , কারণ আমি যে পথ থেকে সরে এসেছি, সেই পথে আর যাবো না, তবে আমি তাকে বলি হালালভাবে বিয়ে করতে চাইলে যেন আমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে, এছাড়া আর কোন কথা নাই আমাদের মধ্যে। সে এটাও বলে যে এখন ধর্মের পথে গেছে, ধার্মিক কাউকে বিয়ে করবে ,এখন অতীতের জন্যও অনুতপ্ত। ওনার সাথে আমার এটাই শেষ কথা ছিল ,কারণ সে আর আমার কাছে বিয়ের জন্যে ফোন দেয়নি। আসলে শুরু থেকেই সে আমাকে  বিয়ের ব্যাপারে দ্বিধায় ছিল, সিরিয়াস ছিল না । কিন্তু আমি ভাবতাম যদি সবকিছু ঠিক হয়ে যেতো ,ও ঠিক যদি ঠিক এভাবেই  (তওবা করে ধার্মিক হয়ে) আমার কাছে নিজেকে পরিবর্তন করে ফিরে আসতো, কিন্তু হলো না ।যদিও সে বলেছিল ২/৩ বছরের মধ্যে বিয়ে করার পরিকল্পনা তার নাই , কিন্তু সে ঠিক ৬/৭ মাস পর  বিয়ে করে ফেলল , তার সাথে আমার কোন যোগাযোগ ছিল না।হঠাৎ তার  বিয়ের ছবিটা আমার চোখ এ পড়ে এবং এ ছবি দেখার পর থেকেই আমার মনে এক খারাপ লাগা সৃষ্টি হয় এবং নিজেকে অনেক বোকা মনে হয় , আমি নিজের অতীত এর কর্মকান্ড এর জন্য নিজেকে অনেক বেশি দোষারোপ করি। নামাজ, ইসলামী ওয়াজ ,অনেক দোয়া আছেও যে পড়লে বা শুনলে আমি মানসিক শান্তি পাই কিন্তু অনেক সময় হঠাৎ কখনও কখনও আমার মনের মাঝে অতীত ফিরত আসে , অনেক মানুষের মাঝে থেকেও নিজেকে একা লাগে, নিজেকে পাপী, নিজের ওপর জুলুমকারী ও অনেক বোকা মনে হয়, মনে হয় আমি একটা মরিচীকার পিছনে ছুটেছিলাম। নিজেকে আমি ক্ষমা করতে পারছি না কখনও।এ থেকে মুক্তির উপায় কি ?? সারাক্ষণ এতো নেতিবাচক চিন্তা নিয়ে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি প্রথমে বিয়ে করুন।তারপর সবকিছু ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।এবং আল্লাহর কাছে দু'আ করবেন।বিয়ের পর ধীরে ধীরে মন থেকে চলে যাবে।এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং যতদ্রুত সম্ভব বিয়ের পিড়িতে বসে যান।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...