আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম  উস্তাজ
একজন বোন তার বিয়ে এবং ইস্তেখারার ফলাফল নিয়ে জানতে চাচ্ছিলো সে এখন কি করবে বুঝতে পারছে না।

ছেলেটার সাথে ২ মাস যাবৎ কথা হয়েছে ছেলেটার পরিবার রাজি এবং বোনটার মা ও খুব খুশি কিন্তু বোনটার বড়আপু খুব সমস্যা করছে তিনি রাজি হচ্ছে না তিনি বড় লোক ছেলে চাই টাকা পয়সা গাড়িবাড়ি আছে এমন ।  আর যে ছেলে পছন্দ হয়েছে উনার নিজের কোচিং আছে এবং তিনি নিজেও টিউশন করেন। তবে বোনটার মা বাবা এগুলোও নিয়ে কোনো সমস্যা করছে না আলহামদুলিল্লাহ্। এমতাবস্থায় বোনটার কি করা উচিত উস্তাদ?
ছেলে মেয়ে উভয় ইস্তেখারা করেছেন বারবার ভলো ফলাফল দেখছেন এবং ছেলে মা শা আল্লাহ মোটামুটি দ্বীনের বুঝ আছে৷
মেয়ের প্রথমবার ইস্তেখারা করার পর সপ্নে দেখেছে একজন মহিলা / মেয়ে তাকে বলছে সে যাকে বিয়ে করতে চাই তাকে বিয়ে করতে পারবে। এবং সে বোনটার মন বলছে সে তার মনের মানুষকে বিয়ে করতে পারবে। কিন্তু সে বোন যখন  তার হাতের বাম পাশে থাকায় অনেক বড় বারান্দা দেখেছে সেখানে ডেকচি দেখলো বড় বড় ডেকচি গুলো উল্টা করে রাখা , এবং সেই সপ্নে দেখা মহিলা তাকে বলছে ডেকচি গুলো তাকে পার করে যেতে হবে এগুলো নাকি তার পরীক্ষা এরপর সে তার মনের মানুষকে পাবে যার সাথে বিয়ে করতে চাচ্ছে।

২। উস্তাজ সে বোন আরও একটা সপ্ন দেখেছে পরেরবার  ইস্তেখারা অনেক বার করেছে প্রতিবার সপ্ন দেখিনি তবে বাস্তব জীবনে অনেক ধরনের ফলাফল এ বুঝতে পেরেছে। এবং  সে ছেলে তার হবে বুঝতে পারছে। তবে বোনটার  আর ও একবার সপ্ন দেখেছিলো ইস্তেখারার পর, ২ জন পুরুষ তাকে বিয়ে করতে চায় কিন্তু তাদের নিয়ত খারাপ। একজন অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীন সে বোনের সাথে জড়াইতে চায় আর একজন এর নিয়ত খারাপ ছিলো। তাই তাদের ছেড়ে সে বোনটার মনের মানুষ এর কাছে ফিরতে চাই। এখন যে ছেলেকে তার পরিবার পছন্দ করেছে এবং বোনটাও।
এখন তার করনীয় কি উস্তাজ?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
আল্লাহ তা'আলা মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা এবং তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।তাদের অবাধ্য হওয়াকে হারাম ঘোষনা দিয়েছেন।এ বিষয়ে সমস্ত উলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করে থাকেন।

মা বাবার সর্বদায় আনুগত্য করতে হবে,তাদের কথার নাফরমানী করা যাবেনা।
তাদের সাথে সর্বদায় ভালো ব্যবহার করতে হবে।
তারা কষ্ট পায়,এমন কাজ কখনোও করা যাবেনা।

তাদের হক বা অধিকারসমূহ এবং তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা সন্তানের ওপর ওয়াজিব বা আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

“আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)

আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)

পিতা মাতার বৈধ আদেশ তরক করলে গোনাহ হবে।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বোনের বাবা মা যেহেতু রাজী,আবার ইস্তেখারায় ভালো ফলাফল এসেছে,সুতরাং এক্ষেত্রে উক্ত মেয়ের জন্য এ বিবাহে রাজী হওয়াই জরুরি বলে মনে করছি।

(০২)
এটিও ভালো স্বপ্ন,ইনশাআল্লাহ অচীরেই সেই ছেলের সাথে উক্ত বোনের বিবাহ হবে।
এমন সম্ভাবনা অনেক প্রবল।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...