জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: ” كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقْرِئُنَا الْقُرْآنَ مَا لَمْ يَكُنْ جُنُبًا”
আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, শরীর নাপাক না হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সর্বাবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করাতেন। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৬২৭,সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১৪৬, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৭৯৯]
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لَا تَقْرَأِ الحَائِضُ وَلَا الجُنُبُ مِنَ القُرْآنِ شَيْئًا
ঋতুবতী নারী ও জুনুব ব্যক্তি (যার ওপর গোসল ফরয) কোরআনের কিছুই পাঠ করবে না। (তিরমিযি ১৩১, ইবনু মাজাহ ৫৯৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এ-ই পায়জামা নিয়ে কুরআন পড়া যাবে।
(০২)
যেহেতু সাদা স্রাব পায়জামায় লেগে শুকিয়ে গিয়েছে, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শরীরে কোনো নাপাকি লেগে না থাকলে এ-ই পায়জামা পড়ে অযু করে এসে আরেকটা পায়জামা চেঞ্জ করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে অযু করার আগে চেঞ্জ করা আবশ্যক নয়।
তবে করার সময় পায়জামায় পানির ফোটা পড়ে সাদা স্রাব লেগে থাকা সেই স্থান ভিজেও যেতে পারে,তাই
অযু করার আগে চেঞ্জ করবেন।
ওযু করার পরে এ-ই পায়জামা (সাদাস্রাব শুকিয়ে গেলে) গায়ে লাগলে কোনো প্রবলেম হবেনা।
এতে শরীর অপবিত্র হবেনা।
(০৩)
তিনবার ধোয়া লাগবে,প্রত্যেকবার ধোয়ার পর নিংড়াতে হবে।
প্রত্যেক বার নতুন পানি ব্যবহার করতে হবে
(০৪)
এক্ষেত্রে তারা মা'যুর হলে তাদের পবিত্র হতে হবেনা।
তারা প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য অযু করে সেই ওয়াক্তের মধ্যে যত ইচ্ছা,নামাজ আদায় করতে পারবে।
আর যদি তিনি মা'যুর না হোন,সেক্ষেত্রে নামাজের আগ দিয়ে শরীর ও কাপড় পাক করে নামাজ পড়তে হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-