আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আ'লাইকুম,
আমার পরিবার এর পছন্দে একটা ছেলের সাথে বিয়ের কথা বার্তা হয়েছে। প্রথমে আমার বাবা ছেলের আর্থিক হাল ভালো না, ছেলে বেকার জেনেও রাজি ছিলেন তবে ছেলে দ্বীনে ফিরেছে ৫, ওয়াক্ত স্বলাত পড়া নফল আমল করা আমাদের আইওএম  পড়েন তিনি নতুন ব্যাচের।
যাইহোক আমি দ্বীনের ব্যাপারে দেখে হ্যা বলেছি।  ছেলেকে আমি দেখেছি ছেলে আমাকে একবারো দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেনি কারণ তিনি আমার দ্বীন মানাকে সবার উপরে রেখেছেন৷ তবুও নিকাব খুলেছি আমি অল্প কিছু সময় দেখে তিনি আর দেখতে চান নি।  এবং আমাদের কোনো খোঁজ নেন নি। সেও নিয়নি তার পরিবারও না।  তার পরিবারের ভাষ্যমতে অতীতে অনেক খুত থাকতেই পারে বর্তমান মানুষটা কে যা দেখেছে তারা এটাই চাচ্ছে।
আমার বাবা শুরুতে তাদেরকে বলেছে সমস্যা নেই আমরা রাজি।  কিন্তু তাদের ঘর দেখে আমার বাবা বা বাবার সাথের লোকেরা বাবা কে হয়ত বুঝাইসে, বাবা পিছিয়ে গেছে।  বাবার কথা ছিলো ছেলেকে দেখবে তার কথা বার্তা শুনবে শুনলে যদি ভালো লাগে তাহলে তারিখ দিবে ।  তো সে জায়গা ওনার সব ভালো  লেগেছে কিন্তু ঘর ভালো লাগেনি বেকারত্ব নিয়ে আমার বাবা পরে কনফিউজড হয়ে গেছে।  তাদেরকে উত্তর দিচ্ছিলোনা৷
পরে আমি বুঝানোর ট্রাই করেছি এভাবে কথা দিয়ে আবার খেলাপ করা কেমন হয় গেলো না, গুনাহ গার হয়ে যাবো তো। ৷   তিনদিন পরে জানাইসে আমার বাবা রাজি সমস্যা নেই ডেট দুই তিন দিন বাদে জানাচ্ছে৷
যেহেতু  বাবা  রাজি তারাও রাজি উনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।  দুইদিন বাদে আবার আমার বাবা ছেলের বাবার সাথে খুব কৌশল অবলম্বন করতেছে৷  এতদিন খোঁজ নেইনি বা যতটুকু নিয়েছে সমস্যা ছিলোনা এখন আবার খোঁজ নিবে। ছেলে আগে দ্বীন প্রেকটিস করতো না তার অতীতে যেসব ভুল ত্রুটি সে আমাকে ক্লিয়ার করেছে হয়ত গুনাহ থাকলেও আল্লাহর ভয়ে লুকিয়েছে।  বলে রাখা ভালো আমার পরিবার দ্বীনদার না ছেলের পরিবার পুরোপুরি দ্বীন না মানলেও সাপোর্ট করে,, আমার সব কিছু মেনে নিছে, যেভাবে থাকব সেভাবেই। বাধা দিবে না।

এখন আমার বাবারা খোজ নিলে যদি অতিতের গুনাহ টেনে তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তাহলে আমার এই ব্যাপারে পরিবার কে কি বুঝানোর আছে৷
আমি আমার পরিবার কে যখনই বুঝাতে চাই যে দুনিয়াবি বিষয় ধন সম্পদ এর কারণে কাউকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করতে আমার রবেরই সম্পদ দেয়ার মালিকও তিনি। তিনি চাইলে দিবেন।  আব্বু এই এক জাগায় আটকা পরে গেছে দুনিয়ার সম্পদ কে বড় করে দেখছে৷

আমি গুনাহ এর আশংকা থেকে বাবা মা কে বলেছি দ্রুত করতে ছেলেও তার বাবা মা কে দ্রুত করতে বলতেছে। গুনাহ যেন না হয় যেহেতু আমাদের ইমোশন কাজ করে আমরা মানুষ এবং এই ফিতনার যুগে কঠিন সেই জায়গা থেকে ছেলেরা আব্বুকে একটু দ্রুত করতে বলাতে আব্বু ধারণা করতেসে ছেলে আমাকে বুঝাচ্ছে বা তাবিজ করসে।  আল্লাহুমাগফিরলি।
আমি ৯ বার ইস্তেখারা করেছি দ্বীনের ব্যাপারে বা মনমানসিকতাতে আমি অনেক পজিটিভ আগে আমি কনফিউজড ছিলাম আগাবো কিনা ইস্তেখারার পরেই আর মাশোয়ারা করে আমি আগানোর জন্য সায় দিচ্ছি তবে বার বার জানিয়েছি দুনিয়াবি রিজন যেনো কেউ না আনে ধন সম্পদ অর্থ চাইনা৷  কিন্তু আমার পরিবার এই কারণে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে চাচ্ছে।। এই ক্ষেত্রে আমি যদি ছেলেকে বাবা মা ছাড়া  বিয়ে করি আবার ইস্তেখারা করে তাহলে কি বাবা মায়ের হক্ব নষ্ট করা হবে? আমার বয়স ২৫।  আমি ওনাদের দুনিয়াবি চাহিদা আলা মানুষ কে বিয়ে করতে চাইনি চাইনাই দেখে ওনারা এতদিন আমাকে অন্য আরেক অপবাদ দিত।  এখন এই ছেলের দ্বীনের দিক টা দেখে আমি হ্যা বলে দিসি এখন তারা ধারণা করতেসে আবার অন্য কিছু।
আমি কি করতে পারি এই ব্যাপারে আর তারা আমার কথা শুনতে চায়না।  এবং আমাকে ভুল বুঝে।  যেমন ছোট ভাইকে মাদ্রাসায় দিতে চাইসি তারা নারাজ! আমাড় বোন হারামে আছে তাই মানা করসি বুঝাইসি তারা বলে আমি আমার বোনকে পছন্দ করি না।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা এবং তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।তাদের অবাধ্য হওয়াকে হারাম ঘোষনা দিয়েছেন।এ বিষয়ে সমস্ত উলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করে থাকেন।

মা বাবার সর্বদায় আনুগত্য করতে হবে,তাদের কথার নাফরমানী করা যাবেনা।
তাদের সাথে সর্বদায় ভালো ব্যবহার করতে হবে।
তারা কষ্ট পায়,এমন কাজ কখনোও করা যাবেনা।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

“আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)

আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)

আরো জানুনঃ-

উল্লেখ্য যে  মাতাপিতা সন্তুষ্টি ও অনুমতি নিয়ে সবাইকে অগ্রসর হতে হবে।এবং মাতাপিতার সন্তুষ্টিই দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণের উত্তম মাধ্যম।মাতাপিতাকে কষ্ট দিয়ে জীবনে সূখী হওয়া যাবে না।

তাছাড়া বৈধ ও ভালো কাজে মাতাপিতার নির্দেশ মান্য করাও ওয়াজিব।

সুতরাং আমরা পরামর্শ স্বরুপ বলবো যদিও উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে বাবার মতামতকে উপেক্ষা করে আপনাদের বিবাহ হয়ে যাবে,তারপরেও এভাবে অভিভাবককে না  জানিয়ে চুরি করে,অথবা তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে  বিয়ে করা কখনো উচিৎ হবে না।কেননা মাতাপিতা সব সময় সন্তানের কল্যাণ চায়।তাই মাতাপিতার পরামর্শ ও আদেশ মান্য করাই সবার জন্য কল্যাণকর।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি বাবা মার মতামতকে উপেক্ষা করে এই বিবাহ করেন,বাবা মা কে কষ্ট দেয়া হবে,তাদের আদেশ অমান্য করা হবে।
যাহা জায়েজ নয়।
তাই পরামর্শ থাকবে অভিভাবকদেরকে  রাজি করিয়ে উক্ত বিবাহ করা।
অভিভাবক  রাজি না হলে এক্ষেত্রে বাবার মার পরামর্শে অন্যত্রে বিবাহ করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...