জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
(আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।)
কেহ যদি অন্যের জায়গায় অনুমতি ছাড়া গাছ লাগায়,তাহলে এক্ষেত্রে সেই জায়গার মালিকের অধিকার আছে,তার জায়গায় গাছ লাগানোর কারনে গাছের মালিক থেকে ভাড়া নেয়ার।
অথবা জায়গার মালিক চাইলে বলতে পারবে যে আপনি আপনার গাছ কেটে নিয়ে যান,অথবা গাছটি আমার কাছে বিক্রয় করুন।
অথবা তারা পরস্পরে সম্মতিতে গাছ/লতাপাতার ফল খাওয়ার চুক্তি করতে পারে।
সেক্ষেত্রে জায়গার মালিক হিসেবে আপনাদের জন্য ফল খাওয়া জায়েজ হবে।
যদি কোনো কিছুতেই গাছের মালিক উপরোক্ত কোনো বিষয়ের উপর রাজি না হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত জায়গার মালিকের জন্য অনুমতি রয়েছে সে যে গাছের গোড়া সহ কেটে তাহা গাছে মালিককে ফেরত দিবে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
"(ومن بنى أو غرس في أرض غيره بغير إذنه أمر بالقلع والرد) لو قيمة الساحة أكثر كما مر (وللمالك أن يضمن له قيمة بناء أو شجر أمر بقلعه)
(قوله بغير إذنه) فلو بإذنه فالبناء لرب الدار، ويرجع عليه بما أنفق جامع الفصولين من أحكام العمارة في ملك الغير". (6/194، کتاب الغصب، ط؛ سعید)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি অন্যের ভূমিতে অনুমতি ছাড়া ঘর নির্মান করে,অথবা গাছ লাগায়,তাহলে তাহা কেটে ফেলার আদেশ দেয়া হবে।
অথবা মূল্য দিয়ে সেটা নিজ মালিকানাতেও নিতে পারবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে যদি ঐ জমিতে প্রত্যেক শরীকের অংশ নির্দিষ্ট থাকে,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যদি জমির নিজ অংশের মধ্যেই গাছ লাগায়,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।
তবে যদি ঐ জমিতে প্রত্যেক শরীকের অংশ নির্দিষ্ট না থাকে,সেক্ষেত্রে যেই ব্যাক্তি গাছ লাগিয়েছে,সে যদি শরীকদের অনুমতি না নেয়,সেক্ষেত্রে মূলত সমস্যা হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যে ব্যাক্তি উক্ত শরিকানা জমিতে কিছু গাছ লাগিয়েছে, তার ঐ গাছের ও গাছের ফলের উপর মালিকানা থাকবে।
তবে যেহেতু জমিটি শরিকানা জমি,তার একার নয়।
আর ঐ জমিতে প্রত্যেক শরীকের অংশও নির্দিষ্ট নয়।
তাই সকল শরীকদের জন্য অধিকার রয়েছে,তারা চাইলে গাছের মালিককে বলতে পারবে যে আপনি আপনার গাছ কেটে নিয়ে যান,অথবা গাছটি আমাদের কাছে বিক্রয় করুন।
অথবা শরীকরা চাইলে তারা পরস্পরে সম্মতিতে গাছ/লতাপাতা, ফল খাওয়ার চুক্তি করতে পারে।
যদি কোনো কিছুতেই গাছের মালিক উপরোক্ত কোনো বিষয়ের উপর রাজি না হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত জমির শরীকদের জন্য অনুমতি রয়েছে যে তারা চাইলে গাছের গোড়া সহ কেটে ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাহা গাছের মালিককে ফেরত দিবে।
আর যদি উক্ত গাছ এই জায়গায় থাকার কারনে শরীকরা উপরোক্ত কিছুই না বলে,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।