ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/54888/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
বীর্য নাপাক। শুকনা
হলে খুটিয়ে তুলে ফেলা ও ভিজা হলে কাপড়টি ধৌত করার কথা হাদীসে এসেছে। যেমন-
عَمْرُو
بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ [ص:56] فِي الثَّوْبِ
تُصِيبُهُ الجَنَابَةُ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «كُنْتُ أَغْسِلُهُ مِنْ ثَوْبِ
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَى
الصَّلاَةِ، وَأَثَرُ الغَسْلِ فِيهِ» بُقَعُ المَاءِ
অনুবাদ- আমার বিন
মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি
বলেন,হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাঃ এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের
জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯}
অন্যান্য হাদীসে এসেছে-
يَا
عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ
وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ
আম্মার বিন ইয়াসার
রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}
আরো জানুন- https://ifatwa.info/13541/
তোষক পাক করার পদ্ধতি
সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/3358/
নাজাসতে গালিজাহ কাপড়
বা শরীরে লাগলে, এক দিরহাম (তথা বর্তমান সময়ের পাঁচ টাকার সিকি) পরিমাণ বা তার
চেয়ে কম হলে, উক্ত কাপড়ের সাথে
নামায বিশুদ্ধ হবে। যদিও তা ধৌত করা উত্তম যদি সময়-সুযোগ থাকে।
আরো বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/6568/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তোষক না ধুয়ে তার উপর পাক চাদর বা অন্য
কিছু বিছিয়ে ঘুমানো যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। অত:পর তাতে ঘুমানোর পর শরীর ঘামলে বা
ভিজা কাপড় পরিধান করে ঘুমালেও শরীর নাপাক হবে না। কারণ, সে পাক চাদরের উপর ঘুমিয়েছে। আর নাপাক হলো তোষক যা চাদরের নিচে
আছে।
১-২. হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উক্ত বিছানায় শয়ন
করলে, বসলে শরীর ও কাপড় সব কিছু পাক থাকবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
৩-৪.
হ্যাঁ, উক্ত তোষক রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করা যাবে। তবে তার উপর একটা পবিত্র চাদর বিছিয়ে
ব্যবহার করবেন।