আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in পবিত্রতা (Purity) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম
পায়জামায় হায়েয এর রক্ত লেগেছিল ২ মাস হয়ে গেছে। এবং রক্তও শুকিয়ে যায়। এটি পরিমাণে একেবারেই অল্প। এক দিরহাম এর অনেক কম। এখন সেটি অসাবধানতাবশত ধুয়ে ফেলা হয় আরো অন্যান্য কাপড়ের সাথে। কিন্তু রক্ত দেখি আগের মতোই রয়ে গেছে। কিংবা হয়তো কিছুটা হালকা হয়েছে যেটা আমি বুঝতে পারছি না। তবে নাপাকের কোন গন্ধ নেই শুধু দাগ আছে। আর বাসার কাজের লোক কাপড় ধুয়েছে। সচরাচর যেভাবে কাপড় ধোয় সেভাবে এই ময়লা উঠার কথা না। এখন কি করব? বাকি কাপড়গুলো আবার দিতে হবে?? যেটা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আর একটা কাপড় তিনবার ধোয়া আসলেই ঝামেলার। তিনবার ঠিকঠাক মতো ধোয়া হয়েছে কিনা সেটাও বুঝিনা। কাপড় ধোয়ার পরে ফ্লোরে যে পানিটা পড়ে থাকবে সেটাও কি নাপাক মানে ফ্লোর নাপাক হয়ে যাবে?  পরে যদি কেউ অজু করে সেখানে গিয়ে?


আসলে এরকম সন্দেহের কারণে বা এরকম ভুলের কারণে এর আগেও বারবার এরকম এক কাপড় তিনবার করে ধোয়া লাগতো। ধোয়া হয়তো সবসময় ঠিকঠাক মতো হত না কারণ ধুয়ে এসে পানি আশেপাশে ছিটকে পড়ার একটা ভয় থাকতো।
সব মিলিয়ে এখন কি করবো? বাকি কাপড় গুলো কি নাপাক হয়ে গেছে?

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে   এসেছে-

يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ

আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}

আল্লামা হাসক্বাফী রাহঃ লিখেন,

لُفَّ طَاهِرٌ فِي نَجِسٍ مُبْتَلٍّ بِمَاءٍ إنْ بِحَيْثُ لَوْ عُصِرَ قَطَرَ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا. وَلَوْ لُفَّ فِي مُبْتَلٍّ بِنَحْوِ بَوْلٍ، إنْ ظَهَرَ نَدَاوَتُهُ أَوْ أَثَرُهُ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا.

যদি পবিত্র কাপড়কে -অপবিত্র এমন কাপড় যা পানি দ্বারা ভিজা থাকে- এর সাথে ভাজ করা হয়ে থাকে,যদি পবিত্র শুকনো কাপড় এমনভাবে ভিজে যে,তা তাকে চিপানো হলে তা থেকে কিছু বের হবে,তাহলে সেই শুকনো পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হয়ে যাবে।নতুবা অপবিত্র হবে না।আর যদি শুকনো কাপড়কে প্রস্রাব ইত্যাদি দ্বারা ভিজা কাপড়ের সাথে ভাজ করা হয় বা লেপ্টানো হয়,যদি পবিত্র কাপড়ে নাজাসতের কোনে চিহ্ন পরিলক্ষণ করা যায়,তাহলে উক্ত পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হবে, নতুবা অপবিত্র হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৭)

অপবিত্র কাপড় শুকানোর পর আবার ভিজে গেলে অপবিত্রতা চলে আসে।
সুতরাং কোন কাপড়ে নাপাক লেগে ছিল,যেটা শুকায় গেসে।পরে একটা ভেজা কাপড় দিয়ে সেই শুকনা কাপড়টা টাচ করা হইসে।
এখন ঐ শুকনো নাজাসত সম্ভলিত শুকনো কাপড় ভিজা কাপড় দ্বারা ভিজে যায়,এবং ভিজা কাপড়ে নাজাসতের কোনো আছর পরিলক্ষিত হয়,তাহলে ভিজা পবিত্র কাপড়টি নাপাক হবে।নতুবা নাপাক হবে না।

আরো জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার উক্ত পায়জামা যেহেতু আরো অন্যান্য কাপড়ের সাথে ধুয়ে ফেলা হয়েছে,সুতরাং এক্ষেত্রে সব কাপড় তিনবার ধোয়া হলে ও প্রত্যেকবার নিংড়িয়ে নেয়া হলে সব কাপড় পাক হবে।
নতুবা নাপাকই থেকে যাবে।

নাপাক কাপড় কাপড় ধোয়ার পরে ফ্লোরে যে পানিটা পড়ে থাকবে সেটাও নাপাক। 
এতে ফ্লোর নাপাক হয়ে যাবে।

তাই উক্ত স্থান একবার পানি ঢেলে ধুয়ে নিতে হবে। 

★তবে নাপাক কাপড়টি যদি তিনবার ধোয়া হয়,সেক্ষেত্রে তিনবার ধোয়ার পর কাপড়, বালতি,হাত,ফ্লোর সবই পাক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
edited
কিন্তু অন্যান্য কাপড়ে তো নাপাকির কোন আলামত নেই, তাহলে???

আর নাপাকি তো আগের কাপড়ের রয়েই গেছে..

এখন এই ফ্লোরে যারা ওযু গোসল করেছে??

গোসল করলে তো ফ্লোর ধুয়ে পাক হয়ে যাবার কথা তাই না?
আর যে কাপড় ধরেছে সেটা কাপড় ধুয়ে চলে গেছে, এবং আমিও বাসায় ছিলাম না। এবং সে তো এরপর  অনেক কিছুই করেছে অন্যান্য কাজকর্মগুলো করেছে, এখন আমি কি করবো?? এজন্য কি আমাকে গুনাহগার হতে হবে। 

এক্ষেত্রে কি এমন বলা যায় না যে আল্লাহমাফ করে দেবেন তাকে এবং আমাকে???

দয়া করে বলবেন
by (559,260 points)
আপনার কমেন্টের জবাব প্রশ্নেই দেয়া আছে।
জবাব এটাই থাকবে।

পুনরায় পড়ার পরামর্শ রইলো। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 258 views
...