আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম
শায়েখ প্রশ্ন অনেক বড় তাই আগেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি .আমি মুসলিম থাকলেও নামাজ তেমন পড়তাম না গান বাজনা সিনেমা সবই দেখতাম .. আল্লাহর রহমতে দ্বীন এ ফিরেছি এখন আমি অনেক বিষয়ে নিয়েই মাঝে মাঝে চিন্তায় পরে যাচ্ছি এবং বুকের ভিতর ধুকবক করছে . হঠাৎ আগের জীবনের কোনো গুনাহের কথা কোনো বান্দার হকের কথা আগের কোনো নাপাক বিষয়ে এবং যখন যে বিষয়ে নিয়ে টেনশন এ পড়ছি তখন সেই বিষয়ে চিন্তায় আমি ভাবছি এইটা তো আমাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে এমন কিছু চিন্তার কিছু কথা লিখছি
১.আগের নাপাক বিষয়ে তেমন ধারণা ছিলো না তখন এই নাপাকী গুলা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা ছড়িয়েছে এখন এইগুলা থেকে তো আমার নাপাক ছড়িয়ে যাইতেছে আর গুনাহ হয়েই জাসসে
২.একজন এর সাথে হারাম সম্পর্ক ছিলো সম্পর্ক থাকা কালে  গিফট দেয়া নেয়া হয়েছে তো একদিন ২০০ টাকা তার কাছে থেকে নিয়েছিলাম হাওলাদ বলে . পরে ফোন কথা বলার সময় ইয়ার্কি করে বলেছিলাম টাকা কি দেয়া লাগবে সে বলেছিল না.. তাই আর দেই নি.সম্পর্ক এখন নেই তা হঠাৎ করে ইদানিং এই বিষয়টা আমাকে খুব চিন্তা হসসে.. মনে হয় যে এইটা বান্দার হক তাই এইটা শোধ না দেয়া পর্যন্ত আমার কোনো নামাজ রোজা দোয়া কিছুই কবুল হবে না.তাই একজনের কাছ থেকে ফোন নম্বর নিয়ে ওই মেয়েকে ফোন দিয়ে কথা বলেছি এবং মেয়েটা কে টাকা ফেরত দাওয়ার কথা বললে সে নিতে চাই নি আবার বললো হাদীয়া হিসাবে দিয়েছিলাম ..তো আমার নাম আবার ২ টা একটা বশিরুল আর একটা সম্রাট.. কথা বলার সময় নতুন নম্বর দিয়ে কথা বলেছিলাম এবং নাম বলেছিলাম সম্রাট .. তো আমাকে বললো এতদিন পর ফোন দিলেন.. এখন আবার মনে হসছে ওই মেয়ে আমাকে হয়ত চিনিনাই.ওই মেয়ে হয়তো জানতো আমার নাম বশিরুল.সম্রাট  নামে আরেকটা কাউকে ভেবেছে . আবার ভাবছি সম্রাট নাম না জানলেও তো টাকার পরিমাণ এক হওয়ার কথা না.আবার মনে হয় যে সম্রাট নামে অন্য কেউ থাকলে তো বলতো কোন সম্রাট . আবার মনে হসছে মেয়েটা আমার নাম বশিরুল সম্রাট ২ তাই জানে.এইগুলা আমার ওয়াসওয়াসা.কিন্তু আমার শুধু মনে হসসে যদি ওই মেয়ের ২০০ টাকার হক মার হয় তাইলে আমার নামাজ রোজা দোয়া কোনো কিছুই হবেনা আমি যদি এর জন্যই জাহান্নামে চলে যায় ..
৩.পুরনো দিনের এক একটা কথা মনে পড়ছে আর আমি কিছুদিন সেই বিষয় নিয়ে খুব টেনশন থকছি বিশেষ করে যদি হয় বান্দার হক.. ২ নম্বর উদারণ মত অবস্থা হয়ে যাচ্ছে বান্দার হকের বিষয়ে...

আমার এখন কি করনীয় আছে এইসব মুক্তি পাওয়ার জন্যে .. আর ২ নম্বর বিষয়টা এর সমাধান কি??

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
বিশেষ জরুরতের দিক লক্ষ্য করে আপনি আপাতত সব কিছুকেই পাক ধরবেন।

এখন থেকে নতুন করে আপনি পাক নাপাক বিষয়ে সতর্কতা মেনে চলবেন।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে যার সাথে আপনার আগে হারাম সম্পর্ক ছিলো,তাকে টাকা ফেরত দিতে হবেনা।
এটি মাফ হয়েছে।

তদুপরি আপনি যদি ফেরত দিতেই চান,সেক্ষেত্রে তার মোবাইলে ফ্লাক্সিলোড করে বা তার বিকাশ/নগদ ইত্যাদি একাউন্টে পাঠিয়ে দিতে পারেন।

(০৩)
পরামর্শ থাকবে, আপনি এসব ওয়াসওয়াসা গুলিকে পাত্তা দিবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
edited by
শায়েখ ওই মেয়ের যে নম্বর টা ম্যানেজ করেছি ঐটাতে বিকাশ অপশন জাইয়ে দেখি বিকাশ নেই এখন যদি তাকে না জানিয়ে পরে কোন একসময় তার নম্বর এ টাকা ফ্লাক্সিলোড পাঠিয়ে দি তাইলে কি হবে??ওই মেয়েকে জানিয়ে ফ্লেক্সিলোড দিতে হবে নাকি ওই মেয়েকে না জানিয়ে ফ্লেক্সিলোড দিলেও হবে??
by (7 points)
edited by
শায়েখ ওই মেয়ের যে নম্বর টা ম্যানেজ করেছি ঐটাতে বিকাশ অপশন জাইয়ে দেখি বিকাশ  নেই এখন যদি তাকে না জানিয়ে পরে কোন একসময় তার নম্বর এ টাকা  ফ্লাক্সিলোড পাঠিয়ে দি তাইলে কি হবে??ওই মেয়েকে জানিয়ে ফ্লেক্সিলোড দিতে হবে নাকি ওই মেয়েকে না জানিয়ে ফ্লেক্সিলোড  দিলেও হবে??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...