ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) হেলান দিয়ে বা শুয়ে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা যাবে। তবে সাধারণত বসে তিলাওয়াত করাই উত্তম। বিনা জরুরতে শুয়ে বা হেলান দিয়ে তিলাওয়াত না করাই উত্তম।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
فَإِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلَاةَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِكُمْ ۚ فَإِذَا اطْمَأْنَنتُمْ فَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ ۚ إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا-
অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। (সূরা নিসা-১০৩)
২) মোবাইল থেকে কুরআন তিলাওয়াত করতে উযূ লাগবে কি না?
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/145
৩) শুক্রবার সূরা কাহফ অথবা, যেকোনো আমলি সূরা শুয়ে মোবাইল থেকে উযূ ছাড়া পড়া গেলেও বসে পড়াই আদবের তাকাযা।হ্যা, শুয়ে পড়লেও সওয়াব পাওয়া যাবে।
৪) ঈশার নামাজের পর বিতর আদায় করে ফেললেও পরবর্তীতে তাহাজ্জুত নামায পড়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।
রাতের শেষ নামায বিতির হওয়াই কাম্য।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/4129
৫) কেউ যদি স্বাভাবিক হাঁটা চলা করতে পারে, তবে কোমরের ব্যাথা আছে, বয়সের ভারে এবং হাড় একটু ক্ষয় রয়েছে। এক দুই তলা সিড়ি বেয়ে উঠা নামা করতে সক্ষম, এবং স্বাভাবিক হাঁটা চলা করতেও সক্ষম। এমন ব্যক্তি যদি রুকু সিজদা করতে পারেন,তাহলে উনার জন্য বসে ফরয নামায পড়া যথেষ্ট হবে না।তবে রুকু সিজদা করতে সক্ষম না হলে তিনি অবশ্যই বসে নামায পড়তে পারবেন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10313