আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
১.আমি এবার ইন্টার পরিক্ষা দিয়েছি। এখন এডমিশনের প্রিপারেশন নিচ্ছি। আমি শুনেছিলাম শুধুমাত্র মেয়েলি সমস্যা গুলোর ক্ষেত্রে সহশিক্ষা যুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানে পর্দা করে পড়াশুনা জায়েজ আছে। কিন্তু মুখস্ত পরা কঠিন লাগায় আমি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রস্তুতি নিচ্ছি। কিন্তু আমাকে তো দেশে পরলে সহশিক্ষা যুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানে পরতে হবে যেটা হারাম। আমি কিছু জায়গায় খুজ নিয়ে জানয়ে পেরেছি কিং আবদুলআজিজ ইউনিভার্সিটি তে মেয়েদের আলাদা পরানো হয় কিন্তু ওইখানেও আমার কোন মাহরাম নেই। তো এখন যদি আমি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রস্তুতি নিতে থাকি এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে যতদেন সহশিক্ষামুক্ত কোন পরিবেশে যেতে না পারছি পরতে থাকি তাহলে কি এটা আমার জন্য জায়েজ হবে! যদি নিয়ত থাকে দীনি খেদমত করবো বলে পরছি। আর আমি এখন আলিম কোর্সে আছি তো আগে যদি দীনি পরা পরে তারপর দুনিয়াবি পরা যদি পড়ি।

২.শুধুমাত্র পড়ার ক্ষেত্রে যে সমস্যা গুলো হয় সেটা নিয়ে কোন গ্রুপে মাহরাম কোন ছেলে থাকলে তার সাথে সেটা নিয়ে আলোচনা করাটা ঠিক হবে!

1 Answer

0 votes
by (597,990 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
(১)
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/434


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যতদেন সহশিক্ষামুক্ত কোন পরিবেশে যেতে না পারছেনন,ততদিন এই সহশিক্ষা মূলক পরিবেশে নিজেকে হেফাজতে রেখা লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবেন।

(২)
ফিতনার আশংকা না থাকলে রুখসত থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...