আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
191 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১.আমার  আম্মু ও আমি একই ফোন ব্যবহার করি। এখন আম্মু আমাকে বিভিন্ন গায়রে মাহরাম আত্মীয় এর কাছে  কল দিয়ে দিতে বলে। আবার বিভিন্ন আত্মীয়রা  ফোন দিলে আমি আম্মুকে কলটা রিসিভ করে দিই। এখন আম্মু তাদের সাথেও  গীবত করবে,,,, অপ্রয়োজনীয় কথা বলবে,,, এইজন্য আমি বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের ফোন নাম্বার delete করে দিই। তাতেও লাভ হয় না। আবার আম্মু আমাকে নাম্বারগুলো সেভ করে দিতে বলে। তখন আবার সেভ করে দিই। এখন আম্মু এই ফোন চালাতে গিয়ে যেসব গুনাহ করবে, তার জন্য আমিও  কি  গুনাগার হবো??? কারণ আমি যে আম্মুকে কল দিয়ে দিচ্ছি???

২.আমি গতকাল আমার চাচির বাসায় গিয়েছিলাম। যখন আমি চলে আসব তখন চাচি আমার কাছে শুনছে যে আমি বাসায় গিয়ে কি করব। তখন আমি বললাম পড়াশোনা করব।
মূলত আমি বাসায় গিয়ে সন্ধ্যার জিকির করব,এরপর একটু আরবি পড়ব। এরপর যদি সময় পায় তাহলে পড়াশোনা করব আর নাহলে করব না। কিন্তু আমি যে চাচিকে বললাম যে, আমি বাসায় গিয়ে পড়াশোনা করব। এইটা কি মিথ্যা কথা বলা হলো?

৩.আমার আম্মু আমাকে নফল ইবাদত করতে দেয়না। এজন্য আমি লুকিয়ে  লুকিয়ে তা করি। যেমনঃ একাডেমিক বইয়ের নিচে  ফোন রেখে অ্যাপস থেকে কুরআন পড়ি। আবার একাডেমিক বই সামনে রেখে সকাল সন্ধ্যার জিকির ও দোয়া গুলো পড়ি। এখন আম্মু যখন জিজ্ঞেস করে আমি কি করছি,,,,,তখন আমি একাডেমিক বইটা নিয়ে পড়া শুরু করি,,, আর বলি অমুক subject টা পড়ছি। অমুক subject টা পড়বো। এইরকম ভাবে  তাউরিয়া করি। অনেক সময় আমি বইয়ের page উল্টানোর আওয়াজ করি,, যেন আম্মু মনে করে আমি পড়ছি। এই ফাঁকে আমি কুরআন পড়ি। তাছাড়া নফল ইবাদত করার আমার কোন উপায় নেই। এতে কি প্রতারণা করা হবে???

৪.আমার আম্মু আমাকে খুব একটা ওয়াজ নসিয়াত শুনতে দেয় না। এজন্য আমি লুকায়ে ফোন থেকে শুনি আর আম্মু আসলে বই পড়ার ভান করি,, কারণ আম্মু দেখলে বকবে,, দুশ্চিন্তা করবে। এখন এতে কি প্রতারণা করা হয়?
৫.আবার আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি বা তওবা করি তখন তো আর সবার সামনে করা যাবে না। তখনও আমি সামনে নিয়ে পড়ার ভান করি। আর আল্লাহর কাছে দোয়া বা কোনো বিষয়ে তওবা করি।  এইটা কি ঠিক?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আমাদের মনে রাখতে হবে,
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি প্রথমে আপনার মাকে গীবত, গায়রে মাহরাম ইত্যাদি সম্পর্কে বুঝাবেন, তারপর আপনার সহযোগিতা এক্ষেত্রে সমর্থনযোগ্য নয়,সেটাও মাকে বুঝাবেন। বুঝানোর পরও যদি মা না বুঝেন, তাহলে আপনি নিজেকে দায়মুক্ত করে কল দিয়ে দিতে পারবেন। যেহেতু আপনি সন্তুষ্টিচিত্তে কল লাগিয়ে দিচ্ছেন না, তাই আপনার কোনো গোনাহ হবে না।গোনাহ যা হবার আপনার মায়েরই হবে।

(২)
না, এতে মিথ্যা হবে না। কেননা আপনার পড়াশোনার তো নিয়ত রয়েছে।

(৩)
আপনি একাডেমিক পড়ার সময়ে একাডেমিক পড়াই পড়বেন। নফল ইবাদত করার চেয়ে এখন একাডেমিক পড়াই আপনার জন্য কাম্য।হ্যা একাডেমিক পড়াশোনার সমাপ্তির পর আপনি যত ইচ্ছা নফল ইবাদত করতে পারবেন।

(৪)
আপনি একাডেমিক পড়ার সময়ে একাডেমিক পড়াই পড়বেন। ওয়াজ শোনার চেয়ে এখন একাডেমিক পড়াই আপনার জন্য কাম্য। হ্যা একাডেমিক পড়াশোনার সমাপ্তির পর আপনি যত ইচ্ছা ওয়াজ শুনতে পারবেন।

(৫)
এখন শুধুমাত্র একাডেমিক পড়াশোনা করবেন। এবং ফরয ইবাদত করবেন। একাডেমিক পড়াশোনার সমাপ্তির পর বা স্কুল কলেজ বন্ধের সময় আপনি যত ইচ্ছা নফল ইবাদত করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
 সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (36 points)
Amar 5 number prosner answer ta aktu den 

Ai je ai question tar
আবার আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি বা তওবা করি তখন তো আর সবার সামনে করা যাবে না। তখনও আমি সামনে নিয়ে পড়ার ভান করি। আর আল্লাহর কাছে দোয়া বা কোনো বিষয়ে তওবা করি।  এইটা কি ঠিক?

by (589,140 points)
জ্বী, যে কোনো মুহূর্তে আল্লাহর কাছে দু'আ করতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...